Job

শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব ( Morphology)

- বাংলা বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ) | - | NCTB BOOK
843
843

বাংলা ব্যাকরণের শব্দ বা পদের আলোচনাকে শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব বলে। এক বা একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক সম্মিলনে শব্দ তৈরি হয়, শব্দের ক্ষুদ্রাংশকে বলা হয় রূপ। রূপ গঠন করে শব্দ। তাই শব্দতত্ত্বকে রূপতত্ত্ব বলা হয়। শব্দ, শব্দের শ্রেণিবিভাগ, পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, বচন, পুরুষ বা পক্ষ, প্রত্যয়, উপসর্গ, অনুসর্গ, পদ ও পদের প্রকারভেদ, সমাস, কারক ইত্যাদি শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দেশি উপসর্গ
বিদেশি উপসর্গ
সংস্কৃত উপসর্গ
উপরের কোনোটিই নয়

পদ প্রকরণ

407
407

পদ প্রধানত দুই প্রকার – নামপদ ও ক্রিয়াপদ। 

নামপদ আবার চার প্রকার । যেমন – বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম ও অব্যয়। তাহলে পদ হল মোট পাঁচ প্রকার।

 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

এই যে আসুন, তারপর কী খবর?
খবর কী, কেমন আছেন?
নিজেই চমকে উঠি, কী নিস্পৃহ, কেমন শীতল।
কী সহজেই বলা হয়ে গেল
সৌন্দর্য-সুন্দর
সংবাদ-সাংবাদিক
আকুলতা-আকুতি
সংবাদ-সাংবাদিক

বলক, লগ্নক, পদাশ্রিত নির্দেশক

301
301

কয়েকটি অব্যয় বা প্রত্যয় কোনো না কোনো পদের আশ্রয়ে বা পরে সংযুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপন করে , এগুলোকে পদাশ্রিত অব্যয় বা পদাশ্রিত নির্দেশক বলে । বচন ভেদে পদাশ্রিত নির্দেশকেও বিভিন্নতা প্রযুক্ত হয় ।যেমন-

একবচনেঃ টা,টি খানা খানি,গাছি ইত্যাদি নির্দেশক হয় । যেমন-টাকাটা,বাড়িটা,কাপড়খানা,বইখানি ইত্যাদি।

বহুবচনেঃ গুলি,গুলো গুলা প্রভৃতি নির্দেশক প্রত্যয় সংযুক্ত হয়। যেমন-মানুষগুলি ,লোকগুলো ইত্যাদি ।

পদাশ্রিত নির্দেশকের ব্যবহার

ক) এক' শব্দের সঙ্গে টা টি টু যুক্ত হলে অনির্দিষ্টতা বোঝায় । যেমন- একটি দেশ ,সে যেমনই হোক দেখতে ;এক যে ছিল রাজা।কিন্তু অন্য সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে টা,টি যুক্ত নির্দিষ্টতা বোঝায় ।যেমন- তিনটি বছর ,দশটি বছর ইত্যাদি ।

খ) নিরর্থক ভাবেও নির্দেশক টা টি এর ব্যবহার লক্ষণীয় ।যেমন- সারাটি সকাল তোমার আশায় বসে আছি ।

গ) নির্দেশক সর্বনামের পরে টা টি যুক্ত হলে তা সুনিরররদিষ্ট হয়ে যায় । যেমন - ওটি যেন কার তৈরি ?

বলক

216
216

বলক-

 অনেক সময় আমরা আমাদের বক্তব্যের গুরুত্বকে বাড়ানোর জন্য - অথবা বক্তব্যকে জোরালো করার জন্য কিছু বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ (শব্দাংশ) পদের সঙ্গে যুক্ত করি । এই বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছকে বলক বলে।

 যেমন – আমি বইটি এখন পড়ব। আবার আমি বইটি এখনই পড়ব। দ্বিতীয় বাক্যে ‘এখনই' পদের

 মাধ্যমে বক্তব্য জোরালো হয়েছে। তাই 'এখনই' পদের শেষাংশের 'ই' হলো বলকের উদাহরণ।

Content added By

লগ্নক

227
227

লগ্নক - শব্দ পদে পরিণত হওয়ার পর আরও অতিরিক্ত যে বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ যুক্ত হয় তাদের লগ্নক বলে।

লগ্নক দুই প্রকার – ১) সলগ্নক ২) অলগ্নক

Content added || updated By

সলগ্নক

102
102

বাক্যে যেসব পদে লগ্নক থাকে সেগুলোকে সলগ্নক পদ

Content added || updated By

অলগ্নক

84
84

যেসব পদে লগ্নক থাকে না সেগুলোকে অলগ্নক পদ বলে।

Content added By

নির্দেশক

168
168

কয়েকটি অব্যয় বা প্রত্যয় কোনো না কোনো পদের আশ্রয়ে বা পরে সংযুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপন করে, এগুলোকে পদাশ্রিত অব্যয় বা পদাশ্রিত নির্দেশক বলে। বাংলায় নির্দিষ্টতা জ্ঞাপক প্রত্যয় ইংরেজি Definite Article The'-এর স্থানীয়। বচনভেদে পদাশ্রিত নির্দেশকেরও বিভিন্নতা প্ৰযুক্ত হয় ৷

পদাশ্রিত নির্দেশকের ব্যবহার

১.(ক) ‘এক’ শব্দের সঙ্গে টা, টি, যুক্ত হলে অনির্দিষ্টতা বোঝায়। যেমন- একটি দেশ, সে যেমনই হোক দেখতে। কিন্তু অন্য সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে টা, টি যুক্ত হলে নির্দিষ্টতা বোঝায়। যেমন- তিনটি টাকা, দশটি বছর।

(খ) নিরর্থকভাবেও নির্দেশক টা, টি-র ব্যবহার লক্ষণীয়। যেমন- সারাটি সকাল তোমার আশায় বসে আছি। ন্যাকামিটা এখন রাখ ।

(গ) নির্দেশক সর্বনামের পরে টা, টি যুক্ত হলে তা সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়। যেমন – ওটি যেন কার তৈরি? এটা নয় ওটা আন । সেইটেই ছিল আমার প্রিয় কলম ।

২. ‘গোটা’ বচনবাচক শব্দটির আগে বসে এবং খানা, খানি পরে বসে। এগুলো নির্দেশক ও অনির্দেশক দুই অর্থেই প্রযোজ্য। ‘গোটা’ শব্দ আগে বসে এবং সংশ্লিষ্ট পদটি নির্দিষ্টতা না বুঝিয়ে অনির্দিষ্টতা বোঝায়। যেমন- গোটা দেশই ছারখার হয়ে গেছে। গোটাদুই কমলালেবু আছে (অনির্দিষ্ট)। দুখানা কম্বল চেয়েছিলাম (নির্দিষ্ট)। গোটাসাতেক আম এনো। একখানা বই কিনে নিও (অনির্দিষ্ট)।

কিন্তু কবিতায় বিশেষ অর্থে ‘খানি’ নির্দিষ্টার্থে ব্যবহৃত হয়। যথা—‘আমি অভাগা এনেছি বহিয়া নয়ন জলে ব্যর্থ সাধনখানি ।

৩.টাক, টুক, টুকু, টো ইত্যাদি পদাশ্রিত নির্দেশক নির্দিষ্টতা ও অনির্দিষ্টতা উভয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়। যেমন – পোয়াটাক দুধ দাও (অনির্দিষ্টতা)। সবটুকু ওষুধই খেয়ে ফেলো (নির্দিষ্টতা)।

৪.বিশেষ অর্থে, নির্দিষ্টতা জ্ঞাপনে কয়েকটি শব্দ : তা, পাটি ইত্যাদি। যেমন-

তা : দশ তা কাগজ দাও ।

পার্টি : আমার একপাটি জুতো ছিঁড়ে গেছে।

Content added || updated By

একবচনাত্মক নির্দেশক

76
76

 একবচনাত্মক – টা, টি, খানা, খানি, গাছা, গাছি ইত্যাদি নির্দেশক ব্যবহৃত হয়। যেমন- টাকাটা, বাড়িটা, - কাপড়খানা, বইখানি, লাঠিগাছা, চুড়িগাছি ইত্যাদি।

Content added || updated By

বহুবচনাত্মক নির্দেশক

69
69

 বহুবচনাত্মক-

 গুলি, গুলা, গুলো, গুলিন প্রভৃতি নিদের্শক প্রত্যয় সংযুক্ত হয়। যেমন – মানুষগুলি,লোকগুলো, আমগুলো, পটলগুলিন ইত্যাদি।

Content added || updated By

বিশেষ্য

267
267

বিশেষ্য পদ

কোনো কিছুর নামকে বিশেষ্য পদ বলে।

বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে সমস্ত পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, জাতি, সমষ্টি,বস্তু, স্থান, কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় তাদের বিশেষ্য পদ বলে ।

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সৌকুমার্থ
সুকুমার্য
সোকৌমার্য
সৌকুমার্য

নামবাচক / সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য

152
152

সংজ্ঞা (বা নাম) বাচক বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, ভৌগোলিক স্থান বা সংজ্ঞা এবং গ্রন্থ বিশেষের নাম বিজ্ঞাপিত হয়, তাকে সংজ্ঞা (বা নাম) বাচক বিশেষ্য বলে। যথা-

(ক) ব্যক্তির নাম : নজরুল, ওমর, আনিস, মাইকেল

(খ) ভৌগোলিক স্থানের : ঢাকা, দিল্লি, লন্ডন, মক্কা

(গ) ভৌগোলিক সংজ্ঞা (নদী, পর্বত, সমুদ্র ইত্যাদি) মেঘনা, হিমালয়, আরব সাগর

(ঘ) গ্রন্থের নাম :‘গীতাঞ্জলি’, ‘অগ্নিবীণা’, ‘দেশে বিদেশে’, ‘বিশ্বনবি

Content added By

শ্রেণিবাচক / জাতিবাচক বিশেষ্য

118
118

জাতিবাচক বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা কোনো একজাতীয় প্রাণী বা পদার্থের সাধারণ নাম বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন— মানুষ, গরু, পাখি, গাছ, পর্বত, নদী, ইংরেজ।

Content added || updated By

বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য

135
135

বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য : যে পদে কোনো উপাদানবাচক পদার্থের নাম বোঝায়, তাকে বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য বলে। এই জাতীয় বস্তুর সংখ্যা ও পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। যথা— বই, খাতা, কলম, থালা, বাটি, মাটি, চাল, চিনি, লবণ, পানি।

Content added || updated By

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য

94
94

সমষ্টিবাচক বিশেষ্য :

যে পদে বেশকিছু সংখ্যক ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টি বোঝায়, তা–ই সমষ্টিবাচক বিশেষ্য। যথা— সভা, জনতা, সমিতি, পঞ্চায়েত, মাহফিল, ঝাঁক, বহর, দল।

Content added || updated By

ভাববাচক (ক্রিয়াবাচক) বিশেষ্য

97
97

ভাববাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্য পদে কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যথা— গমন (যাওয়ার ভাব বা কাজ), দর্শন (দেখার কাজ), ভোজন (খাওয়ার কাজ), শয়ন (শোয়ার কাজ), দেখা, শোনা।

Content added || updated By

গুনবাচক বিশেষ্য

144
144

গুণবাচক বিশেষ্য : 

যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো বস্তুর দোষ বা গুণের নাম বোঝায়, তা–ই গুণবাচক বিশেষ্য । যথা—মধুর মিষ্টত্বের গুণ— মধুরতা, তরল দ্রব্যের গুণ—তারল্য, তিক্ত দ্রব্যের দোষ বা গুণ— তিক্ততা, তরুণের গুণ—তারুণ্য ইত্যাদি। তদ্রুপ : সৌরভ, স্বাস্থ্য, যৌবন, সুখ, দুঃখ।

Content added By

বিশেষণ

367
367

বিশেষণ : যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে।

চলন্ত গাড়ি : বিশেষ্যের বিশেষণ ।

করুণাময় তুমি: সর্বনামের বিশেষণ

দ্রুত চল :ক্রিয়া বিশেষণ ৷

 

বিশেষণ দুই ভাগে বিভক্ত। যথা—১. নাম বিশেষণ ও ২. ভাব বিশেষণ।

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

এই যে আসুন, তারপর কী খবর?
খবর কী, কেমন আছেন?
নিজেই চমকে উঠি, কী নিস্পৃহ, কেমন শীতল।
কী সহজেই বলা হয়ে গেল
লাল লাল ফুল
জ্বর জ্বর লাগছে
গ্রামে গ্রামে যাব
ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ

নাম-বিশেষণ

156
156

নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যথা-

বিশেষ্যের বিশেষণ : সুস্থ সবল দেহকে কে না ভালোবাসে ?

সর্বনামের বিশেষণ : সে রূপবান ও গুণবানরূপবাচক ; নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ

Content added || updated By

গুণবাচক বিশেষণ

77
77

গুণবাচক: চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠাণ্ডা হাওয়া।

Content added By

অবস্থাবাচক বিশেষণ

88
88

অবস্থাবাচক : তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা।

Content added By

সংখ‍্যাবাচক বিশেষণ

96
96

সংখ্যাবাচক : হাজার লোক, দশ দশা, শ টাকা।

Content added || updated By

পূরণবাচক বা ক্রমবাচক বিশেষণ

79
79

ক্রমবাচক : দশম শ্রেণি, সত্তর পৃষ্ঠা, প্ৰথমা কন্যা ।

Content added By

পরিমাণবাচক বিশেষণ

68
68

পরিমাণবাচক : বিঘাটেক জমি, পাঁচ শতাংশ ভূমি, হাজার টনী জাহাজ, এক কেজি চাল

দু কিলোমিটার রাস্তা।

Content added By

সংজ্ঞাবাচক বিশেষণ

94
94

অংশবাচক : অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ

Content added By

উপাদানবাচক বিশেষণ

73
73

উপাদানবাচক: বেলে মাটি, মেটে কলসি, পাথুরে মূর্তি।

Content added By

বহুপদী বিশেষণ / বাক‍্যাংশ বিশেষণ

97
97

দুই বা তার বেশি সমাসবদ্ধ পদ বিশেষ্য পদের পূর্বে বসে বিশেষণের কাজ করলে তাকে বহুপদী বিশেষণ বলে। উদাহরণ: পিছনে-ফেলে-আসা দিন। মায়ে-তাড়ানো বাপে-খেদানো ছেলে।

Content added By

ধ্বন‍্যাত্মক বিশেষণ

86
86
Please, contribute by adding content to ধ্বন‍্যাত্মক বিশেষণ.
Content

সর্বনামীয় বিশেষণ

98
98

সর্বনাম জাত : কবেকার কথা, কোথাকার কে, স্বীয় সম্পত্তি।

Content added By

বিধেয় বিশেষণ

110
110
Please, contribute by adding content to বিধেয় বিশেষণ.
Content

ভাব বিশেষণ

208
208

ভাব বিশেষণ : যে পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম ভিন্ন অন্য পদকে বিশেষিত করে তা-ই ভাব বিশেষণ । ভাব বিশেষণ চার প্রকার : ১. ক্রিয়া বিশেষণ ২. বিশেষণের বিশেষণ বা বিশেষণীয় বিশেষণ ৩. অব্যয়ের বিশেষণ ৪. বাক্যের বিশেষণ।

Content added By

ক্রিয়া বিশেষণ

89
89

ক্রিয়া বিশেষণ : যে পদ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে।

ক্রিয়া সংগঠনের ভাব : ধীরে ধীরে বায়ু বয় ।

ক্রিয়া সংগঠনের কাল : পরে একবার এসো।

Content added By

বিশেষণের বিশেষণ

123
123

বিশেষণীয় বিশেষণ : যে পদ নাম বিশেষণ অথবা ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণীয় বিশেষণ বলে। যথা-

ক. নাম বিশেষণের বিশেষণ : সামান্য একটু দুধ দাও। এ ব্যাপারে সে অতিশয় দুঃখিত ।

খ. ক্রিয়া-বিশেষণের বিশেষণ : রকেট অতি দ্রুত চলে।

Content added By

অব্যয়ের বিশেষণ

149
149

অব্যয়ের বিশেষণ : যে ভাব-বিশেষণ অব্যয় পদ অথবা অব্যয় পদের অর্থকে বিশেষিত করে, তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে। যথা— ধিক্ তারে, শত ধিক্ নির্লজ্জ যে জন।

Content added By

বাক্যের বিশেষণ

92
92

বাক্যের বিশেষণ : কখনো কখনো কোনো বিশেষণ পদ একটি সম্পূর্ণ বাক্যকে বিশেষিত করতে পারে, তখন তাকে বাক্যের বিশেষণ বলা হয়। যেমন-

দুর্ভাগ্যক্রমে দেশ আবার নানা সমস্যাজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বাস্তবিকই আজ আমাদের কঠিন পরিশ্রমের প্রয়োজন ।

Content added By

এক পদময় বিশেষণ

87
87

একপদময় বিশেষণ পদে একটীর অধিক শব্দ থাকে না; যথা- 'বড়, ভাল, ছোট, মন্দ, সুন্দর, মুক্ত, অলৌকিক, চতি, এক, পাঁচ, এ, এই, ঐ, সে ” ইত্যাদি । (সমাসে ক্বচিৎ বিশেষণের অর্থ বদলায় যথা--- বড়-মানুষ, ভাল মানুষ, মুক্ত-পুরুষ 1 )

Content added By

বহুপদী বিশেষণ

78
78

বহুপদময় বা বাক্যময় বিশেষণ- যার-পর-নাই পী বৎপরোনাস্তি পরিশ্রম সব-পেরেছি-র দেশ সাত-রাজার-বন নাকি কুরিয় পাওয়া ছেলে; জো হুকুম; আপ-কাওয়াস্তে পড়ে-পাওয়া পাঁচ-ক্রোশের প তিরিশ-দিনের দিন যাচ্ছেতাই (=অপকৃষ্ট, নিকৃষ্ট < যাহা-ইচ্ছা-তাই); আলানে'-পর-ভালানে' ছেলে ; আপন কাজে-আপনিই ব্যস্ত মানুষ "; ইত্যাদি।

Content added By

সর্বনাম

267
267

 

সর্বনাম পদ

বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে।

সর্বনাম সাধারণত ইতোপূর্বে ব্যবহৃত বিশেষ্যের প্রতিনিধি স্থানীয় শব্দ। যেমন— হস্তী প্রাণিজগতের সর্ববৃহৎ প্রাণী। তার শরীরটি যেন বিরাট এক মাংসের স্তূপ।

দ্বিতীয় বাক্যে ‘তার' শব্দটি প্রথম বাক্যের 'হস্তী' বিশেষ্য পদটির প্রতিনিধি স্থানীয় শব্দরূপে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই, ‘তার' শব্দটি সর্বনাম পদ। বিশেষ্য পদ অনুক্ত থাকলেও ক্ষেত্রবিশেষে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন—

ক. যারা দেশের ডাকে সাড়া দিতে পারে, তারাই তো সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ।

খ. ধান ভানতে যারা শিবের গীত গায়, তারা স্থির লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আইজ্যাক নিউটন
আইজ্যাক আশিমো
গ্যালিলিও
অ্যারিস্টোটল
সমাস উপভাষায়
চলিত ভাষারীতি তে
আঞ্চলিক উপভাষায়
সাধু ভাষারীতিতে
ব্যতিহারিক
সাকুল্যবাচক
আত্মবাচক
ব্যক্তিবাচক

ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম ( Personal Pronoun )

116
116

ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক : আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।

Content added By

আত্মবাচক সর্বনাম (Reflexive Pronoun )

70
70

আত্মবাচক : স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি ৷

Content added By

নির্দেশক সর্বনাম

90
90

যেসব pronoun কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা বস্তুর পরিবর্তে বসে সেই ব্যক্তি ববা বস্তুকে নির্দেশ করে তাদেরকে নির্দেশক সর্বনাম (Demonstrative Pronoun) বলে। যেমন- এটা, ওটা, এগুলো ইত্যাদি। 

Content added By

অনির্দেশক সর্বনাম

68
68
Please, contribute by adding content to অনির্দেশক সর্বনাম.
Content

সামীপ্যবাচক (Near Demonstrative Pronoun)

78
78

সামীপ্যবাচক : এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।

Content added By

সাকুল্যবাচক সর্বনাম (Inclusive Pronoun)

90
90

সাকুল্যবাচক : সব, সকল, সমুদয়, ' তাবৎ।

Content added By

প্রশ্নবাচক সর্বনাম (Interrogative Pronoun)

72
72

প্রশ্নবাচক : কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে ?

Content added By

অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম (Indefinite Pronoun)

114
114

অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক : কোন, কেহ, কেউ, কিছু ।

Content added By

সাপেক্ষ সর্বনাম (Relative Pronoun)

102
102

সাপেক্ষ সর্বনাম (Relative Pronoun)

যে সকল সর্বনাম দ্বারা একটি বাক্যের সাপেক্ষে অন্য বাক্যকে যুক্ত করা হয়, তাদেরকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলা হয়।

Content added By

অন্যাদিবাচক সর্বনাম (Denoting other or others)

85
85

অন্যাদিবাচক : অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।

Content added By

অনিশ্চয়বাচক যৌগিক সর্বনাম ( Indefinite Compound Pronoun)

54
54

অনিশ্চয়বাচক যৌগিক সর্বনাম ( Indefinite Compound Pronoun)

যখন একাধিক শব্দ একত্রিত হয়ে একটি সর্বনাম তৈরি করে, তখন তাকে যৌগিক সর্বনাম বলে। যেমন- অন্য-কিছু, অন্য-কেউ, আর-কিছু, আর-কেউ, কেউ-না-কেউ, কেউ-বা, যা-কিছু, যা-তা, যে-কেউ, যে-কোন, যে-সে।

Content added By

ক্রিয়াবিশেষণ

619
619

ক্রিয়া বিশেষণ

যে শব্দ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। নিচের বাক্য তিনটির নিম্নরেখ শব্দগুলাে ক্রিয়া বিশেষণের উদাহরণ:

ছেলেটি দ্রুত দৌড়ায়।

লোকটি ধীরে হাঁটে।

মেয়েটি গুনগুনিয়ে গান করছে।

অনেক সময়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে ‘এ’, ‘তে’ ইত্যাদি বিভক্তি এবং ‘ভাবে’, ‘বশত’, ‘মতাে ইত্যাদি শব্দাংশ যুক্ত হয়ে ক্রিয়াবিশেষণ তৈরি হয়। যেমন – ততক্ষণে, দ্রুতগতিতে, শান্তভাবে, ভ্রান্তিবশত, আচ্ছামতাে ইত্যাদি।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ধরণবাচক ক্রিয়াবিশেষণ

123
123

ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: কোনাে ক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে। যেমন –

টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে।

ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।

Content added By

কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ

89
89

কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: এই ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে। যেমন –

আজকাল ফলের চেয়ে ফুলের দাম বেশি।

যথাসময়ে সে হাজির হয়।

Content added By

স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ

63
63

স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: ক্রিয়ার স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ। যেমন –

মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়।

তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

Content added By

নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ

80
80

নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ: না, নি ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়ার নেতিবাচক অবস্থা বােঝায়। এগুলাে সাধারণত ক্রিয়ার পরে বসে। যেমন –

 

সে এখন যাবে না।

তিনি বেড়াতে যাননি।

এমন কথা আমার জানা নেই।

Content added By

পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ

131
131

পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ: বাক্যের মধ্যে বিশেষ কোনাে ভূমিকা পালন না করলেও ‘কি’, ‘যে’, বা’,না’, ‘তাে’ প্রভৃতি পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে। যেমন –

কি: আমি কি যাব?

যে : খুব যে বলেছিলেন আসিবেন!

বা: কখনাে বা দেখা হবে।

না: একটু ঘুরে আসুন না, ভালাে লাগবে।

তাে: মরি তাে মরব।

গঠন বিবেচেনায় ক্রিয়াবিশেষণকে একপদী ও বহুপদী – এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

Content added By

একপদী ক্রিয়াবিশেষণ

90
90

একপদী ক্রিয়াবিশেষণ: আপ্তে, জোরে, চেঁচিয়ে, সহজে, ভালােভাবে ইত্যাদি।

Content added By

বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ

72
72

বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ ভয়ে ভয়ে, চুপি চুপি ইত্যাদি।

Content added By

অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয়

375
375

বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদ রূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে।
অনুসর্গগুলো কখনো প্রাতিপদিকের পরে ব্যবহৃত হয়, আবার কখনো বা ‘কে’ এবং ‘র’ বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে বসে। যেমন-

  • বিনা : দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? (প্রাতিপদিকের পরে
  • সনে : ময়ূরীর সনে নাচিছে ময়ূর। (ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে
  • দিয়ে : তোমাকে দিয়ে আমার চলবে না। (দ্বিতীয়ার ‘কে' বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)

বাংলা ভাষায় বহু অনুসর্গ আছে। যেমন—
প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি, হেতু, মধ্যে, মাঝে, পরে, ভিন্ন, বই, ব্যতীত, জন্যে, জন্য, পর্যন্ত অপেক্ষা, সহকারে, তরে, পানে, নামে, মতো, নিকট, অধিক, পক্ষে, দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক, সঙ্গে, হইতে, হতে, থেকে, চেয়ে, পাছে, ভিতর, ভেতর ইত্যাদি ।
এদের মধ্যে দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক, হইতে (হতে), চেয়ে, অপেক্ষা, মধ্যে প্রভৃতি কয়েকটি অনুসর্গ বিভক্তিরূপে ব্যবহৃত হয়। কারক প্রকরণে এদের উদাহরণ সন্নিবিষ্ট হয়েছে।


অনুসর্গের প্রয়োগ
১।বিনা/বিনে : কর্তৃ কারকের সঙ্গে – তুমি বিনা (বিনে) আমার কে আছে ?
বিনি :        করণ কারকের সঙ্গে – বিনি সুতায় গাঁথা মালা ।
বিহনে :     উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?


২.সহ : সহগামিতা অর্থে – তিনি পুত্রসহ উপস্থিত হলেন।
সহিত : সমসূত্রে অর্থে – শত্রুর সহিত সন্ধি চাই না।
সনে   : বিরুদ্ধগামিতা অর্থে – ‘দংশনক্ষত শ্যেন বিহঙ্গ যুঝে ভুজঙ্গ সনে।’

সঙ্গে    তুলনায় – মায়ের সঙ্গে এ মেয়ের তুলনা হয় না ।


৩. অবধি : পর্যন্ত অর্থে – সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করব।


৪.পরে : স্বল্প বিরতি অর্থে — এ ঘটনার পরে আর এখানে থাকা চলে না ।
    পর : দীর্ঘ বিরতি অর্থে শরতের পরে আসে বসন্ত ৷

৫. পানে : প্রতি, দিকে অর্থে – ঐ তো ঘর পানে ছুটেছেন
‘             শুধু তোমার মুখের পানে চাহি বাহির হনু।'


৬.মতো           ন্যায় অর্থে – বেকুবের মতো কাজ করো না।
   তরে             মত অর্থে - এ জন্মের তরে বিদায় নিলাম ।


৭. পক্ষে        সক্ষমতা অর্থে – রাজার পক্ষে সব কিছুই সম্ভব।

                    সহায় অর্থে –আসামির পক্ষে উকিল কে?


৮. মাঝে         মধ্যে অর্থে – ‘সীমার মাঝে অসীম তুমি'।
                     একদেশিক অর্থে এ দেশের মাঝে একদিন সব ছিল।
                    ক্ষণকাল অর্থে – নিমেষ মাঝেই সব শেষ ।
      মাঝারে : ব্যাপ্তি অর্থে – ‘আছ তুমি প্রভু, জগৎ মাঝারে। 


৯.কাছে         নিকটে অর্থে – আমার কাছে আর কে আসবে?
                    কর্মকারকে ‘কে’ বোঝাতে – ‘রাখাল শুধায় আসি ব্রাহ্মণের কাছে।'


 ১০.প্রতি          প্রত্যেক অর্থে – মণপ্রতি পাঁচ টাকা লাভ দেব।
                    দিকে বা ওপর অর্থে – ‘নিদারুণ তিনি অতি অতি, নাহি দয়া তব প্রতি।'


১১. হেতু : নিমিত্ত অর্থে –‘কী হেতু এসেছ তুমি, কহ বিস্তারিয়া । '
      জন্যে নিমিত্ত অর্থে – ‘এ ধন-সম্পদ তোমার জন্যে। '
      সহকারে : সঙ্গে অর্থে – আগ্রহ সহকারে কহিলেন।
       বশত : কারণে অর্থে – দুর্ভাগ্যবশত সভায় উপস্থিত হতে পারিনি।

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শব্দের পূর্বে
শব্দের পরে
শব্দের মধ্যে
বাক্যের শেষে
শব্দের আগে
শব্দের পরে
বাক্যের পূর্বে
বাক্যের মধ্যে
অব্যয়
কর্মপ্রবচণীয় শব্দ
প্রদাশ্রিত অব্যয়
বিভক্তি

ক্রিয়াজাত অনুসর্গ

89
89

ক্রিয়াজাত অনুসর্গ: এধরনের অনুসর্গ পদ শুধুমাত্র ক্রিয়াপদ থেকেই উৎপন্ন হয়।যেমন: করে, থেকে, দিয়ে, ধরে, বলে।

Content added By

সাধারণ অনুসর্গ

80
80

সাধারণ অনুসর্গ: এধরনের অনুসর্গ পদ ক্রিয়াপদ ব্যতীত অন্য পদগুলো থেকে উৎপন্ন হয়।যেমন: উপরে, কাছে, জন্য, দ্বারা, বনাম।

Content added By

যোজক, আবেগ

234
234

যোজক

যে শব্দ একটি বাক্য বা বাক্যাংশের সঙ্গে অন্য একটি বাক্য বা বাক্যাংশের কিংবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যোজক বলে। যেমন– আমি গান গাইব আর তুমি নাচবে।

অর্থ এবং সংযোজনের ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যোজক শব্দ পাঁচ প্রকার। 

আবেগ

যেসব শব্দের সাহায্যে মনের নানা ভাব বা আবেগ প্রকাশ করা হয়, সেগুলোকে বলা হয় আবেগ শব্দ। এ ধরনের শব্দ বাক্যের অন্য শব্দের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে বাক্যে ব্যবহূত হয়।

মানুষের বিচিত্র আবেগের প্রকাশ অনুসারে আবেগ শব্দকে আট ভাগে ভাগ করা যায়।

১.সিদ্ধান্তসূচক আবেগ শব্দ ২. প্রশংসাসূচক আবেগ শব্দ ৩. বিরক্তিসূচক আবেগ শব্দ ৪. ভয় ও যন্ত্রণাসূচক আবেগ শব্দ ৫. বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ ৬. করুণাসূচক আবেগ শব্দ ৭. সম্বোধনসূচক আবেগ শব্দ ৮. অলঙ্কারিক আবেগ শব্দ

Content added By

আবেগ

190
190

আবেগ

যেসব শব্দের সাহায্যে মনের নানা ভাব বা আবেগ প্রকাশ করা হয়, সেগুলোকে বলা হয় আবেগ শব্দ। এ ধরনের শব্দ বাক্যের অন্য শব্দের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে বাক্যে ব্যবহূত হয়।

মানুষের বিচিত্র আবেগের প্রকাশ অনুসারে আবেগ শব্দকে আট ভাগে ভাগ করা যায়।

১.সিদ্ধান্তসূচক আবেগ শব্দ ২. প্রশংসাসূচক আবেগ শব্দ ৩. বিরক্তিসূচক আবেগ শব্দ ৪. ভয় ও যন্ত্রণাসূচক আবেগ শব্দ ৫. বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ ৬. করুণাসূচক আবেগ শব্দ ৭. সম্বোধনসূচক আবেগ শব্দ ৮. অলঙ্কারিক আবেগ শব্দ

Content added || updated By

সিদ্ধান্তসূচক আবেগ

85
85

সিদ্ধান্তসূচক আবেগ শব্দ : যে শব্দের সাহায্যে অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ পায়, তাকে সিদ্ধান্তসূচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- বেশ, তুমি যা বলছ, তা-ই হবে।

Content added By

প্রশংসাসূচক আবেগ

114
114

প্রশংসাসূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ প্রশংসার মনোভাব প্রকাশের জন্য ব্যবহূত হয়, সেগুলোকে প্রশংসাবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- বাঃ! চমৎকার একটা গল্প লিখেছ!

Content added By

বিরক্তিসূচক আবেগ

84
84

বিরক্তিসূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ ঘৃণা, অবজ্ঞা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশে ব্যবহূত হয়, সেগুলোকে বিরক্তিসূচক শব্দ বলে।

যেমন- ছি! ছি! এটা তুমি কী বললে!

Content added By

ভয় ও যন্ত্রণাসূচক আবেগ

81
81

ভয় ও যন্ত্রণাসূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ আতঙ্ক, যন্ত্রণা ও ভয় প্রকাশে ব্যবহূত হয়, সেগুলোকে ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- আঃ! কী বিপদ!

 

Content added By

বিস্ময়সূচক আবেগ

79
79

বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে, সেগুলোকে বলা হয় বিস্ময়সূচক আবেগ শব্দ। যেমন- আরে! তুমি আবার কখন এলে!

Content added By

করুণাসূচক আবেগ

127
127

করুণাসূচক আবেগ : যেসব শব্দ করুণা, সহানুভূতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশ করে, সেগুলোকে করুণাসূচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- হায়! হায়! এ অনাথ শিশুদের এখন কে দেখবে!

 

Content added || updated By

সম্বোধনসূচক আবেগ

90
90

সম্বোধনসূচক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহূত হয়, সেগুলোকে সম্বোধনসূচক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- হে বন্ধু, তোমাকে অভিনন্দন।

 

Content added By

আলঙ্কারিক আবেগ

141
141

আলঙ্কারিক আবেগ শব্দ : যেসব শব্দ বাক্যের অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশন, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্য অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহূত হয়, সেগুলোকে আলঙ্কারিক আবেগ শব্দ বলে। যেমন- যাক গে যাক! ওসব ভেবে লাভ নেই।

Content added By

যোজক

255
255

যোজক

যে শব্দ একটি বাক্য বা বাক্যাংশের সঙ্গে অন্য একটি বাক্য বা বাক্যাংশের কিংবা বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে যোজক বলে। যেমন– আমি গান গাইব আর তুমি নাচবে।

অর্থ এবং সংযোজনের ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যোজক শব্দ পাঁচ প্রকার। 

Content added By

সাধারণ যোজক

72
72

সাধারণ যোজক : যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশকে সংযুক্ত করা যায় তাকে সাধারণ যোজক বলে। যেমন– আমি ও আমার বাবা বাজারে এসেছি।

Content added By

বৈকল্পিক যোজক

82
82

বৈকল্পিক যোজক : যে যোজক দ্বারা একাধিক শব্দ, বাক্য বা বাক্যাংশের মধ্যে বিকল্প বোঝায় তাকে বৈকল্পিক যোজক বলে। যেমন– তুমি বা তোমার বন্ধু যে কেউ এলেই হবে।

Content added By

বিরোধমূলক যোজক

84
84

বিরোধমূলক যোজক : এ ধরনের যোজক দুটি বাক্যের সংযোগ ঘটিয়ে দ্বিতীয়টি দ্বারা প্রথমটির বিরোধ নির্দেশ করে। যেমন– আমি চিঠি দিয়েছি কিন্তু উত্তর পাইনি।

Content added By

কারণবাচক যোজক

89
89
Please, contribute by adding content to কারণবাচক যোজক.
Content

সাপেক্ষ যোজক

168
168

সাপেক্ষ যোজক : পরস্পর নির্ভরশীল যে যোজকগুলো একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাদের সাপেক্ষ যোজক বলে। যেমন– যদি টাকা দাও তবে কাজ হবে।

Content added By

ক্রিয়াপদ

294
294

ক্রিয়াপদ 

পদের দ্বারা কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া বলে। অথবা ধাতুর প্রয়োগগত রূপ হলো ক্রিয়া।ক্রিয়াপদের আরেকটি নাম হলো আখ্যাত বা আখ্যাতিক পদ।

[ক্রিয়ামূল তথা ধাতুর সঙ্গে পুরুষ অনুযায়ী কালসূচক ক্রিয়াবিভক্তি যোগ করে ক্রিয়াপদ গঠন করতে হয়। [৩]সংক্ষেপে ধাতু+বিভক্তি = ক্রিয়াপদ

যেমন: √পড়্+এ=পড়ে

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মিশ্র ক্রিয়া
যৌগিক ক্রিয়া
দ্বিকর্মক ক্রিয়া
প্রয়োজক ক্রিয়া
বিশেষ্য ও ক্রিয়া
বিশেষণ ও ক্রিয়া
বিশেষ্য ও বিশেষণ
ক্রিয়া ও সর্বনাম
প্রযোজক ক্রিয়া
যৌগিক ক্রিয়া
মিশ্র ক্রিয়া
নাম ধাতুর ক্রিয়া

সমাপিকা ক্রিয়া

111
111

সমাপিকা ক্রিয়া সম্পাদনা যে ক্রিয়াপদ বাক্যকে পরিপূর্ণ করে এবং বাক্যের অর্থকে সুস্পষ্ট করে তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। আমি বাড়ি যাব। আমরা সন্ধ্যায় পড়তে বসব।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আমি ভাত খাচ্ছি
আমি ভাত খেয়ে স্কুলে যাব
আমি দুপুরে ভাত খাই
তাড়াতাড়ি ভাত খেয়ে ওঠ

অসমাপিকা ক্রিয়া

148
148

অসমাপিকা ক্রিয়া

সম্পাদনা

যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না, বক্তার কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে।

আমরা হাত-মুখ ধুয়ে…

প্রভাতে সূর্য উঠলে…

অসমাপিকা ক্রিয়া ৩ প্রকার ১.ভূত অসমাপিকা ক্রিয়া ২.ভাবী অসমাপিকা ক্রিয়া ৩.শর্ত অসমাপিকা ক্রিয়া

Content added By

অকর্মক ক্রিয়া

113
113

অকর্মক

সম্পাদনা

যে বাক্যে একটিও কর্ম থাকে না তাকে অকর্মক বলে। যেমন:

সে হাসছে ।

রমা নাচছে ।

এখানে 'হাসছে' ও 'নাচছে' ক্রিয়ার কর্ম নেই , আবার এদের ক্রিয়া ধারণের ক্ষমতাও নেই ,তাই এরা অকর্মক ক্রিয়া।

 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আজ তোমাকে দেখিনি।
আকাশে চাঁদ দেখিনি।
আমি চোখে দেখিনা।
সে কোথায় থাকে?
আমি চোখে দেখি না
আকাশে চাঁদ দেখি না
ছেলেটা কথা শোনে
আমি রাতে ভাত খাব না

সকর্মক ক্রিয়া

63
63

সকর্মক সম্পাদনা

যে বাক্যে একটি কর্ম থাকে তাকে সকর্মক বলে।যেমন:

আমি ভাত খাচ্ছি।

সে বই পড়ছে।

এখানে কী খাচ্ছি আর কী পড়ছে' তা বলা রয়েছে। কাজেই বাক্য দুটিতে খাচ্ছি এবং পড়ছে সকর্মক ক্রিয়া।

Content added By

দ্বিকর্মক ক্রিয়া

298
298

দ্বিকর্মক

সম্পাদনা

যে বাক্যে দুটি কর্ম থাকে তাকে দ্বিকর্মক বলা হয়।

এক্ষেত্রে, ববস্তুবাচক কর্মপদটি মুখ্যকর্ম, আর ব্যক্তিবাচক কর্মপদটি গৌণ কর্ম।

শিক্ষক ছাত্রদের(গৌণ কর্ম) বাংলা(মুখ্যকর্ম) পড়াচ্ছেন।

বাবা আমাকে(গৌণ কর্ম) একটি কলম(মুখ্যকর্ম) কিনে দিয়েছেন

Content added || updated By

প্রযোজক ক্রিয়া

217
217

প্রযোজক ক্রিয়া

সম্পাদনা

যে ক্রিয়া অন্যের দ্বারা চালিত হয় তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে।যেমন

মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।

সাপুড়ে সাপ খেলাচ্ছে।

এখানে "মা" এবং "সাপুড়ে" প্রযোজক কর্তা, "শিশু" ও "সাপ" প্রযোজ্য কর্তা। "চাঁদ দেখাচ্ছেন" ও "খেলাচ্ছে" প্রযোজক ক্রিয়া।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সরল ক্রিয়া
প্রযোজক ক্রিয়া
নাম ক্রিয়া
যৌগিক ক্রিয়া

একক ক্রিয়া

96
96
Please, contribute by adding content to একক ক্রিয়া.
Content

যুক্ত ক্রিয়া

116
116

যুক্ত ক্রিয়া - বিশেষ্য ,বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের পরে কর্‌,দি,হ্‌,পা,কাট্‌,মার্‌,ফেল্‌ ইত্যাদি মৌলিকধাতু নিষ্পন্ন সমাপিকা ক্রিয়া যুক্ত হয়ে যে ক্রিয়া গঠন করে তাকে যুক্ত ক্রিয়া বলে । যেমন- উত্তর দিল , সাঁতার কাটে

Content added By

যৌগিক ক্রিয়া

100
100

যৌগিক ক্রিয়া - একটি অসমাপিকা ক্রিয়া ও সমাপিকা ক্রিয়া নিয়ে গঠিত ক্রিয়াকে যৌগিক ক্রিয়া বলে । যেমন- সে বসিয়া পড়িল ।

Content added By

মিশ্র ক্রিয়া

182
182

মিশ্র ক্রিয়া

 বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সঙ্গে কর্, হ্, দে, পা, যা কাট্, গা, ছাড়, ধর্, মার্, প্রভৃতি ধাতু যোগ হয়ে ক্রিয়াপদ গঠন করে কোন বিশেষ অর্থ প্রকাশ করলে তাকে মিশ্র ক্রিয়া বলে।

 যেমন-

 বিশেষ্যের পরে : আমরা তাজমহল দর্শন করলাম। গোল্লায় যাও। বিশেষেণের পরে : তোমাকে দেখে বিশেষ প্রীত হলাম। ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের পরে করে বৃষ্টি পড়ছে। : মাথা ঝিম ঝিম করছে। ঝম ঝম

Content added By

অব্যয় পদ

1.1k
1.1k

অব্যয় পদ

ন ব্যয় = অব্যয়। যার ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না, অর্থাৎ যা অপরিবর্তনীয় শব্দ তাই অব্যয়। অব্যয় শব্দের সাথে

কোনো বিভক্তিচিহ্ন যুক্ত হয় না, সেগুলোর একবচন বা বহুবচন হয় না এবং সেগুলোর স্ত্রী ও পুরুষবাচকতা নির্ণয় করা যায় না ।

যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভা বর্ধন করে, কখনো একাধিক পদের, বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ সম্বদ্ধ ঘটায়, তাকে অব্যয় পদ বলে ।

বাংলা ভাষায় তিন প্রকার অব্যয় শব্দ রয়েছে— বাংলা অব্যয় শব্দ, তৎসম অব্যয় শব্দ এবং বিদেশি অব্যয় শব্দ ।

বাংলা অব্যয় শব্দ : আর, আবার, ও, হ্যাঁ, না ইত্যাদি।

তৎসম অব্যয় শব্দ : যদি, যথা, সদা, সহসা, হঠাৎ, অর্থাৎ, দৈবাৎ, বরং, পুনশ্চ, আপাতত, বস্তুত ইত্যাদি। ‘এবং’ ও ‘সুতরাং’ তৎসম শব্দ হলেও বাংলায় এগুলোর অর্থ পরিবর্তিত হয়েছে। সংস্কৃতে ‘এবং’ শব্দের অর্থ এমন, আর ‘সুতরাং’ অর্থ অত্যন্ত, অবশ্য। কিন্তু এবং = ও (বাংলা), সুতরাং = অতএব (বাংলা)।

৩. বিদেশি অব্যয় শব্দ : আলবত, বহুত, খুব, শাবাশ, খাসা, মাইরি, মারহাবা ইত্যাদি ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আর হায় হায় করে লাভ কী?

উড়ু উড়ু ভাব

দেখতে দেখতে সে চলে গেল

কবি কবি ভাব

অনন্বয়ী অব্যয়
পদান্বয়ী অব্যয়
অনুকার অব্যয়
সংযোজক অব্যয়
অনুসর্গ অব্যয়
অনুকার অব্যয়
অনস্বয়ী অব্যয়
সমুচ্চয়ী অব্যয়

পদান্বয়ী অব্যয়

298
298

পদান্বয়ী অব্যয় :-

যে অব্যয় পদ বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত হয়ে এক পদের সঙ্গে অন্য পদকে সংযুক্ত করে, তাকে পদান্বয়ী অব্যয় বলে।

যেমন - কর্ম ব্যতীত সুখ লাভ সম্ভব নয়। রাকেশ ও তপন আজকে বেড়াতে যাবে। বিয়েতে আপনার কিন্তু আসা চাই।

ওপরে কথিত বাক্য তিনটিতে ব্যতীত, ও, কিন্তু এই অব্যয়গুলি বাক্যের মধ্যে বসে এক পদের সঙ্গে অন্য পদকে যুক্ত করেছে। সুতরাং এগুলি পদান্বয়ী অব্যয়।

 

Content added || updated By

অনন্বয়ী অব্যয়

277
277

অনন্বয়ী অব্যয় :-

যে অব্যয় পদের সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য পদের কোনো সম্বন্ধ থাকে না, তাকে অনন্বয়ী অব্যয় বলে।

যেমন– বাঃ! কী সুন্দর দৃশ্য! হায়। আমার কপালে কি এই ছিল? মা, আমাকে আশীর্বাদ করো।

এখানে বা: হায়, মা—এই তিনটি পদ বাক্যের বাইরে বসে প্রশংসা, খেদ, সম্বোধন ইত্যাদি বুঝিয়েছে। এই পদগুলির দ্বারা মনের বিশেষ ভাব প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু সবকটি ক্ষেত্রেই মূল বাক্যের সঙ্গে এদের কোনো সম্বন্ধ নেই।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বিশেষণের বিশেষণ
পদাশ্রিত নির্দেশক
সমুচ্চয়ী অব্যয়
অনন্বয়ী অব্যয়

বাক্যালঙ্কার অব্যয়

99
99

বাক্যালঙ্কার অব্যয় :-

যে অব্যয় বাক্যের মধ্যে বসে বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তাকে বাক্যালঙ্কার অব্যয় বলে।

যেমন - এ গাড়ি তো গাড়ি নয়। দেখে মনে হয় যেন উরজাহাজ। 'তো' 'যেন' এগুলি বাক্যালঙ্কার অব্যয়। কারণ এগুলি বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।

 

Content added By

ভাবপ্রকাশক অব্যয়

89
89

ভাবপ্রকাশক অব্যয় :-

যে অব্যয় বক্তার মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে ভাব প্রকাশক অব্যয় বলে।

যেমন - মরি মরি! একি লজ্জা! ধন্য ধন্য। বাংলাদেশ।

এখানে মরি মরি, ধন্য ধন্য বিশেষ ভাব প্রকাশ করেছে। তাই এগুলি ভাব প্রকাশক অব্যয়।

 

Content added By

সংযোগমূলক অব্যয়

74
74
Please, contribute by adding content to সংযোগমূলক অব্যয়.
Content

সম্মতিসূচক অব্যয়

103
103

সম্মতি বা অসম্মতিসূচক অব্যয় :-

যে অব্যয় পদের দ্বারা বক্তার মনের ইচ্ছা বা অনিচ্ছা প্রকাশ পায়, তাকে সম্মতি বা অসম্মতিসূচক অব্যয় বলে।

যেমন - হ্যাঁ, আমি তো যাবই। না, কথাটা সত্যি নয়।

এখানে হ্যাঁ সম্মতিসূচক অব্যয় এবং না অসম্মতিসূচক অব্যয়

Content added By

উপমাবাচক অব্যয়

96
96

উপমাবাচক অব্যয় :-

যে সব অব্যয়ের দ্বারা উপমা বা তুলনাকে বোঝায় তাকে, উপমাবাচক অব্যয় বলে।

যেমন - চাঁদের মতো সুন্দর। মিছরির ন্যায় মিষ্টি। তুলোর মতো নরম।

 

Content added || updated By

অনুকার অব্যয়

191
191

অনুকার অব্যয় :-

যে সব শব্দ ধ্বনির ব্যঞ্জনা দেয় তাকে, ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বা অনুকার অব্যয় বলে।

যেমন - ঝমঝম্ করে বৃষ্টি পড়ছে। শোঁ শোঁ শব্দে বাতাস বইছে। হনহন করে হেঁটে যাচ্ছে।

Content added || updated By

বাক্যান্বয়ী অব্যয়

103
103

বাক্যান্বয়ী অব্যয় :-

যে অব্যয় বাক্যে অন্বয় বা সম্বন্ধ স্থাপন করে তাদের বাক্যান্বয়ী বা সমুচ্চয়ী অব্যয় বলে।

Content added By

সংযোজক অব্যয়

254
254

সংযোজক অব্যয় :-

যে অব্যয় পদ বাক্যের সঙ্গে বাক্যের বা পদের সঙ্গে পদের সংযোগ সাধন করে, তাকেই সংযোজক অব্যয় বলে।

যেমন - আমি খেলার মাঠে গিয়েছিলাম; কিন্তু তোমায় দেখতে পাইনি। বাবা এবং মায়ের কথা শোনা উচিত।

Content added By

বিয়োজক অব্যয়

165
165

বিয়োজক অব্যয় :-

বিকল্প বোঝাতে বাক্যের মধ্যে যে অব্যয় ব্যবহৃত হয়, তাকেই বিয়োজক অব্যয় বলে।

যেমন - হয় তুমি একাজ কর নয় তাকে কাজটি করতে দাও। তুমি অথবা সমর সেখানে যাবে।

Content added By

সংকোচক অব্যয়

129
129

সংকোচক অব্যয় :-

যে অব্যয় একটি বিষয়কে সংকুচিত করে কিন্তু অন্য বিষয়কে প্রাধান্য দেয়, তাকে সংকোচক অব্যয় বলে।

যেমন - এখন খেলা বন্ধ করে বরং পড়াশোনায় মন দাও। ভালো খেলোয়াড় হয়েছ জানি; তবুও মন দিয়ে পড়াশোনা করো।

Content added By

হেতুবাচক অব্যয়

84
84

হেতুবাচক অব্যয় :-

কারণ বোঝাতে যে অব্যয় বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাকে হেতুবাচক অব্যয় বলে।

যেমন - বাবা আমাকে মেরেছেন কারণ আমি তাঁর কথা শুনিনি। আপনি তাড়াতাড়ি আসবেন কেননা আমি পড়তে যাবো।

Content added By

সিদ্ধান্তবাচক অব্যয়

87
87

সিদ্ধান্তবাচক অব্যয় :-

যে অব্যয়ের দ্বারা সিদ্ধান্ত বোঝায় তাকে সিদ্ধান্তবাচক অব্যয় বলে।

যেমন - মশায় কামড়েছে তাই ম্যালেরিয়া হয়েছে। শ্যাম আসবে বলে রাম বসেছিল।

 

Content added By

নিত্যসম্বন্ধীয় অব্যয়

129
129

নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় :-

এমন কতগুলো অব্যয় আছে যারা একে অপরের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত একটি বসলে অপরটি বসবেই, একে নিত্য সম্বন্ধীয় অব্যয় বলে।

যেমন - বটে কিন্তু, যেমন-তেমন, যখন-তখন, যেমনি কর্ম তেমনি ফল।

Content added By

ক্রিয়ার কাল ও ভাব

216
216
Please, contribute by adding content to ক্রিয়ার কাল ও ভাব.
Content

ক্রিয়ার কাল

208
208

কাল : ক্রিয়া সংঘটনের সময়কে কাল বলে।

১. আমরা বই পড়ি। ‘পড়া’ ক্রিয়াটি এখন অর্থাৎ বর্তমানে সংঘটিত হচ্ছে।

২. কাল তুমি শহরে গিয়েছিলে। ‘যাওয়া’ ক্রিয়াটি পূর্বে অর্থাৎ অতীতে সম্পন্ন হয়েছে।

৩. আগামীকাল স্কুল বন্ধ থাকবে। ‘বন্ধ থাকা' কাজটি পরে বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হবে। সুতরাং, ক্রিয়া, বর্তমান, অতীত বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হওয়ার সময় নির্দেশই ক্রিয়ার কাল। এ হিসেবে ক্রিয়ার কাল প্রধানত তিন প্রকার : ১. বর্তমান কাল, ২. অতীত কাল এবং ৩. ভবিষ্যৎ কাল।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ধ্বনিতত্ত্ব
রূপতত্ত্ব
বাক্যতত্ত্ব
ছন্দতত্ত্ব

বর্তমান কাল

188
188

বর্তমান কাল  :-

যে ক্রিয়া এখন সম্পন্ন হয় বা হচ্ছে বুঝায়, তাকে বর্তমান কাল বলে। যেমন:

আমি পড়ি।

সে যায়।

কাকলি দৌড়ায়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সাধারন বর্তমান
নিত্যবৃত্ত বর্তমান
ঘটমান বর্তমান
পুরাঘটিত বর্তমান

সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল

135
135

নিত্য বা সাধারণ বর্তমান :-

সাধারণভাবে যে ক্রিয়া বর্তমানে ঘটে, বা নিত্যই ঘটে, তাকে বলা হয় নিত্য-বর্তমান।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর সঙ্গে ই, অ, এন, ইস্, এ ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

সে হাসে। আমি পড়ি। সূর্য ওঠে। মানুষ মরে। বাতাস বয়।

 

Content added By

ঘটমান বর্তমান কাল

98
98

ঘটমান বর্তমান :-

বর্তমানে যে ক্রিয়ার কাজ আরম্ভ হয়েও শেষ হয়নি, অর্থাৎ যে-ক্রিয়ার কাজ এখনও চলছে, তাকে বলা হয় ঘটমান বর্তমান।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে ইতেছে’ (ছে), ইতেছ (ছ), ইতেছি (ছি) প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি বসে। সাধুভাষায় ইতেছে, ইতেছ, ইতেছি এবং চলিতভাষায় ছে, ছ, ছি প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি বসে। যদিও বর্তমানে চলিতভাষা প্রাধান্য পেয়েছে, তবুও সাধুভাষায় ক্রিয়া-বিভক্তির রূপগুলি জানা প্রয়োজন।

 

বন্ধনীর মধ্যে চলিতভাষার ক্রিয়ারুপ দেখানো হয়েছে। যেমন :

সে হাসিতেছে (হাসছে)‌।

তুমি কাঁদিতেছ, (কাঁদছ)।

আমি পড়িতেছি (পড়ছি)।

সূর্য উঠিতেছে (উঠছে) ইত্যাদি।

Content added By

পুরাঘটিত বর্তমান কাল

82
82

পুরাঘটিত বর্তমান :-

কিছুক্ষণ পূর্বে যে ক্রিয়া সংঘটিত হয়েছে, অথচ যার ফল এখনও বর্তমান, তার কালকে বলা হয় পুরাঘটিত বর্তমান।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে ইয়াছে (এছে), ইয়াছ (আছ), ইয়াছি (এছি) প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়।

যেমন : 

সে হাসিয়াছে (হেসেছে)।

তুমি কাঁদিয়াছ (কেঁদেছ)‌।

আমি পড়িয়াছি (পড়েছি) ইত্যাদি।

Content added By

অতীত কাল

228
228

ক্রিয়া আগেই সম্পন্ন হয়েছে, তার কালকে অতীত কাল বলে। যেমন:

আমি তাকে দেখেছিলাম।

গতকাল ঢাকা গিয়েছিলাম।

মা রান্না করছিলেন।

অতীত কালের প্রকারভেদ :-

অতীত কালকে চারভাগে ভাগ করা যায়।

যেমন -

১.নিত্য-অতীত;

২. ঘটমান অতীত;

৩. পুরাঘটিত অতীত এবং

৪. নিত্যবৃত্ত-অতীত।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সামাজিক- অর্থনৈতিক
সামাজিক- রাজনৈতিক
সামাজিক-মানসিক
সামাজিক- সাংস্কৃতিক
চোখের আলোয় দেখেছিলাম
আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে
গাইতাম গীত শুনি কোকিলের ধ্বনি
বেলা যে পড়ে এল
সাধারণ অতীত কাল
ঘটমান অতীত কাল
পুরাঘটিত অতীত কাল
নিত্তবৃত্ত অতীত কাল
সাধারণ অতীতকাল
ঘটমান অতীতকাল
পুরাঘটিত অতীতকাল
নিত্যবৃত্ত অতীতকাল

সাধারণ অতীত কাল

166
166

নিত্য বা সাধারণ অতীত :-

সাধারণভাবে যে-ক্রিয়ার কাজ পূর্বে অর্থাৎ, অতীতে সম্পূর্ণ হয়েছে তার কালকে বলা হয় নিত্য-অতীত। এতে নির্দিষ্ট কোনো সময়ের উল্লেখ থাকে না। তবে বাক্য থেকে বুঝা যায় যে, এই শ্রেণির কাজ খুব বেশি পূর্বে নিষ্পন্ন হয়নি।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে-ইলাম (লাম), ইলে (লে), ল প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

হেনা গান গাহিল (গাইল)। 

আমি একটি গল্প লিখিলাম (লিখলাম)। 

বাবা বাজার হইতে (থেকে) আসিলেন (এলেন)।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিত্যবৃত্ত অতীত কাল

110
110

নিত্যবৃত্ত অতীত :

পূর্বে যে ক্রিয়ার কাজ কিছুকাল ধরে চলত বা নিয়মিত ভাবে যে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হত, তার কালকে বলা হয় নিত্যবৃত্ত অতীত।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে-ইত (-ত), ইতাম (-তাম), ইতে (-তে) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনঃ

প্রত্যহ সকালে হেনা সঙ্গীতচর্চা করিত (রোজ সকালে হেনা গানের রেওয়াজ করত)। 

আমি যখন ঘুম হইতে উঠিতাম (আমি যখন ঘুম থেকে উঠতাম)। 

বাবা তখন প্রাতর্জ সারিয়া বাড়িতে ফিরিতেন।

Content added || updated By

ঘটমান অতীত কাল

156
156

ঘটমান অতীত কাকে বলে :-

পূর্বে যে-ক্রিয়ার কাজ হচ্ছিল এবং তখনও যা সম্পূর্ণ হয়নি, তার কালকে বলা হয় ঘটমান অতীত।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে- ইতেছিলাম (ছিলাম), -ইতেছিলে (ছিলে). ইতেছিল (ছিল) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

হেনা গান গাহিতেছিল (গাইছিল, গাচ্ছিল)। 

আমি একটি গল্প লিখিতেছিলাম (লিখছিলাম)। 

বাবা বাজার হইতে (থেকে) আসিতেছিলেন (আসছিলেন)।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পুরাঘটিত অতীত কাল

122
122

পুরাঘটিত-অতীত :

অনেক পূর্বেই যে ক্রিয়ার কাজ ঘটেছিল, তাকে বলা হয় পুরাঘটিত-অতীত।

এই ঝাল বুঝাতে ধাতুর শেষে ইয়াছিল (এছিল), ইয়াছিলাম (এছিলাম), ইয়াছিলে (-এছিলে) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

হেনা গান গাহিয়াছিল (গেয়েছিল)। 

আমি একটি গল্প লিখিয়াছিলাম (লিখেছিলাম)। 

তখন বাবা বাজার থেকে আসিয়াছিলেন (এসেছিলেন)।

Content added By

ভবিষ্যৎ কাল

190
190

ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে :-

যে ক্রিয়া আগামীতে বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হবে এমন বোঝায়, তার কালকে ভবিষ্যৎ কাল বলে। যেমন:

বৃষ্টি আসবে।

সীমা কাল গান গাইবে।

পার্থ নাচবে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আমি হব সকাল বেলার পাখি
তুমি বোধ হয় কঠিন অঙ্কটা বুঝবে
আমিনা কথা বলতে থাকবে
আমার ছোট ভাই লিখছে
চেষ্টা কর বুঝতে পারবে
সদা সত্য কথা বলতে হবে
রোগ হলে ঔষধ খেতে হবে
কোনটিই নয়

সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল

93
93

সাধারণ ভবিষ্যৎ :-

পরে অর্থাৎ ভবিষ্যতে যে ক্রিয়ার কাজ অনুষ্ঠিত হবে, তার কালকে বলা হয় সাধারণ ভবিষ্যৎ।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে হবে -ইব (-ব), (-বে) ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনঃ

কাল পরীক্ষা হইবে (হবে)। 

আমি তোমার গান শুনিব (শুনব)। 

বাবা বেড়াইতে যাইবেন (বেড়াতে যাবেন)।

Content added By

ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল

97
97

ঘটমান ভবিষ্যৎ :-

পরে যে ক্রিয়া ঘটতে থাকবে, তার কালকে বলা হয় ঘটমান-ভবিষ্যৎ।

এই কাল বুঝাতে মূল ধাতুর শেষে-ইতে (-তে) ক্রিয়া-বিভক্তি এবং তার পরে আছ (থাক্) ধাতুর সাথে -ইব (-ব), ইবে (-বে), ইবি (-বি) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনঃ

সে তখন হাঁটিতে থাকিবে (হাঁটতে থাকবে)। 

আমি যখন লিখিতে থাকিব (লিখতে থাকব)।

পাশের বাড়িতে তখন কাসরঘণ্টা বাজিতে থাকিবে (বাজতে থাকবে)।

Content added By

পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল

137
137

পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ :-

পূর্বে যে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকবে, তার কাল হয় পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ। যেমন :

আপনি সেদিন আমাকে ভুল বুঝিয়া থাকিবেন (বুঝে থাকবেন)। সেই হয়তো লিখিয়া থাকিবে (লিখে থাকবে) ইত্যাদি।

 

Content added By

ক্রিয়ার ভাব

208
208

ক্রিয়ার ভাবের সংজ্ঞা : যা দ্বারা ক্রিয়াপদের বর্ণিত কার্য ঘটার ধরন, প্রকার বা রীতিবোধ প্রকাশ পায়, তাকে ক্রিয়ার প্রকার বা ভাব বা ধরন বলে।

অথবা, যা দ্বারা কোনো কাজ সংঘটিত হওয়ার ভাব অর্থাৎ রীতি প্রকাশ পায় তাকে ক্রিয়ার ভাব বা প্রকার বলে।

ক্রিয়ার ভাবের প্রকারভেদ : ক্রিয়ার প্রকার বা ভাব চার ভাগে বিভক্ত। যথা–

(১) নির্দেশক ভাব

(২) অনুজ্ঞা ভাব

(৩) শর্তবাচক ভাব

(৪) আকাঙ্ক্ষাবাচক ভাব

Content added By

নির্দেশক ভাব

130
130

নির্দেশক বা অবধারক ভাব : সাধারণভাবে কোনো কিছু নির্দেশ করলে তখন তাকে ক্রিয়াপদের নির্দেশক ভাব বলে। যেমন– “অর্থ, হায়রে পাতকী অর্থ, তুই জগতের সকল অনর্থের মূল।”

যারা দিনে পাঁচবার প্রার্থনা করে তারা মুসলমান।

Content added By

অনুজ্ঞা ভাব

118
118

অনুজ্ঞা বা নিয়োজক ভাব : যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, উপদেশ, আশীর্বাদ, প্রার্থনা, কামনা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করে তাকে ক্রিয়া পদের অনুজ্ঞা বা নিয়োজক ভাব বলে। যেমন– এখন পড়। সদা সত্য কথা বলবে। গোলমাল করো না। সুখে থাক।

Content added By

সাপেক্ষ ভাব

125
125

শর্তবাচক বা সাপেক্ষ ভাব : কোনো বাক্যে একটি ক্রিয়া শর্তের ওপর নির্ভর করে সম্পাদিত হলে তাকে ক্রিয়াপদের শর্তবাচক ভাব বলে। যেমন– প্রভু, এমন শক্তি দাও যাতে জাতির কল্যাণ সাধন করতে পারি। পরিশ্রম করলে তোমরা অবশ্যই সাফল্য লাভ করবে।

Content added By

আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব

74
74
Please, contribute by adding content to আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব.
Content

শব্দ

483
483

শব্দ :

অর্থ হলো শব্দের প্রাণ। এক বা তার অধিক ধ্বনির সমন্বয়ে যদি কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ পায় তবে তাকে শব্দ বলে।

শব্দের উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: ক্+অ+ল+অ+ম্ = ধ্বনি। এ ধ্বনি পাঁচটির মিলিত রূপ হলো 'কলম'। 'কলম' এমন একটি বস্তুকে বোঝাচ্ছে, যা দিয়ে লেখা যায়। 'কলম'- 'ক', 'ল', 'ম' ধ্বনিসমষ্টির মিলিত রূপ, যা অর্থপূর্ণ। সুতরাং 'কলম' একটি শব্দ।

এ রকম : আমি, বাজার, যাই ইত্যাদিও শব্দ। এগুলোর আলাদা আলাদা অর্থ আছে। কিন্তু এ রকম আলাদা আলাদা শব্দ মনের ভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ করতে পারে না। তাই অর্থপূর্ণ শব্দ জুড়ে জুড়ে মানুষ তার মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে থাকে।

যেমন - "আমি বাজারে যাই।" এটি একটি বাক্য। এখানে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণ প্রকাশ পেয়েছে

অন্য একটি উদাহরণ হিসেবে বললে বাক্যের মধ্যে কতকগুলি শব্দ থাকে। যেমন - 'গাছে অনেক ফুল ফুটেছে'; এখানে- গাছে , অনেক, ফুল ও ফুটেছে , এখানে এই চারটি শব্দ।

বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শব্দের শ্রেণিবিভাগ হতে পারে।

১. গঠনমূলক শ্রেণিবিভাগ : (ক) মৌলিক ও (খ) সাধিত

২. অর্থমূলক শ্রেণিবিভাগ : (ক) যৌগিক, (খ) রূঢ়ি এবং (গ) যোগরূঢ়

৩. উৎসমূলক শ্রেণিবিভাগ : (ক) তৎসম, (খ) অর্ধ-তৎসম (গ) তদ্ভব (ঘ) দেশি ও (ঙ) বিদেশি ।

Content added By
Content updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মৌলিক শব্দ

128
128

মৌলিক শব্দ : যেসব শব্দ বিশ্লেষণ করা যায় না বা ভেঙে আলাদা করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন – গোলাপ, নাক, লাল, তিন ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বড়াই
বিদ্যালয়
গোলাপ
পরিপূর্ণ

সাধিত শব্দ

507
507

সাধিত শব্দ : যেসব শব্দকে বিশ্লেষণ করা হলে আলাদা অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়, সেগুলোকে সাধিত শব্দ বলে। সাধারণত একাধিক শব্দের সমাস হয়ে কিংবা প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগ হয়ে সাধিত শব্দ গঠিত হয়ে থাকে। উদাহরণ : চাঁদমুখ (চাঁদের মতো মুখ), নীলাকাশ (নীল যে আকাশ), ডুবুরি (ডুর্+উরি), চলন্ত (চল্ + অন্ত), প্রশাসন (প্র+শাসন), গরমিল (গর+মিল) ইত্যাদি ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দ্বিচক্র
চৌরাস্তা
ধোয়ামোছা
বুদ্ধিজীবী

যৌগিক শব্দ

323
323

যৌগিক শব্দ : যে সকল শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ একই রকম, সেগুলোকে যৌগিক শব্দ বলে। যেমন- গায়ক = গৈ + ণক (অক) – অর্থ : গান করে যে । - কর্তব্য = কৃ + তব্য – অর্থ : যা করা উচিত । বাবুয়ানা = বাবু + আনা – অর্থ : বাবুর ভাব। মধুর = মধু + র -অর্থ : মধুর মতো মিষ্টি গুণযুক্ত দৌহিত্র = দুহিতা+ষ্ণ্য –অর্থ : কন্যার পুত্র, নাতি । চিকামারা = চিকা+মারা – অর্থ : দেওয়ালের লিখন ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মৌলিক শব্দ হয়
যৌগিক শব্দ হয়
রূঢ়ি শব্দ হয়
যোগরূঢ় শব্দ হয়
হস্তী
গবেষণা
পঙ্কজ
জলধি
কোনটিই নয়
তৈল
রেশম
দৌহিত্র
মহাযাত্রা
হস্তী, বাঁশ
গায়ক, বাবুয়ানা
রাজপুত, সহযাত্রা
ঢাকা, গোলাপ

রূঢ়ি শব্দ

380
380

রূঢ়ি শব্দ : যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গযোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনো বিশিষ্ট অর্থ জ্ঞাপন করে, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন—হস্তী=হস্ত + ইন, অর্থ-হস্ত আছে যার; কিন্তু হস্তী বলতে একটি পশুকে বোঝায়। গবেষণা (গো+এষণা) অর্থ— গরু খোঁজা। বর্তমান অর্থ ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।

এ রকম-

বাঁশি বাঁশ দিয়ে তৈরি যে কোনো বস্তু নয়, শব্দটি সুরের বিশেষ বাদ্যযন্ত্র, বিশেষ অর্থে প্রযুক্ত হয় ।

তৈল শুধু তিলজাত স্নেহ পদার্থ নয়, শব্দটি যে কোনো উদ্ভিজ্জ পদার্থজাত স্নেহ পদার্থকে বোঝায়। যেমন- বাদাম-তেল।

প্রবীণ শব্দটির অর্থ হওয়া উচিত ছিল প্রকৃষ্ট রূপে বীণা বাজাতে পারেন যিনি। কিন্তু শব্দটি ‘অভিজ্ঞতাসম্পন্ন -বয়স্ক ব্যক্তি' অর্থে ব্যবহৃত হয় ।

সন্দেশ – শব্দ ও প্রত্যয়গত অর্থে ‘সংবাদ’। কিন্তু রূঢ়ি অর্থে ‘মিষ্টান্ন বিশেষ'।

Content added By

যোগরূঢ় শব্দ

274
274

যোগরুঢ় শব্দ : সমাস নিষ্পন্ন যে সকল শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদসমূহের অনুগামী না হয়ে কোনো বিশিষ্ট অর্থ গ্রহণ করে, তাদের যোগরুঢ় শব্দ বলে। যেমন-

পকজ পঙ্কে জন্মে যা (উপপদ তৎপুরুষ সমাস)। শৈবাল, শালুক, পদ্মফুল প্রভৃতি নানাবিধ উদ্ভিদ পঙ্কে জন্মে থাকে। কিন্তু ‘পঙ্কজ' শব্দটি একমাত্র ‘পদ্মফুল’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়। তাই পঙ্কজ একটি যোগরুঢ় শব্দ । রাজপুত – ‘রাজার পুত্র' অর্থ পরিত্যাগ করে যোগরূঢ় শব্দ হিসেবে অর্থ হয়েছে ‘জাতিবিশেষ’।

মহাযাত্রা – মহাসমারোহে যাত্রা অর্থ পরিত্যাগ করে যোগরূঢ় শব্দরূপে অর্থ ‘মৃত্যু”।

জলধি – ‘জল ধারণ করে এমন' অর্থ পরিত্যাগ করে একমাত্র ‘সমুদ্র’ অর্থেই ব্যবহৃত হয়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

গায়ক
সন্দেশ
মহাযাত্রা
বাবুয়ানা

তৎসম শব্দ

339
339

তৎসম শব্দ : যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। তৎসম একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ [তত্ (তার)+ সম (সমান)]=তার সমান অর্থাৎ সংস্কৃত। উদাহরণ : চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

চলিত রীতি
সাধু রীতি
মিশ্র রীতি
আঞ্চলিক রীতি

তদ্ভব শব্দ

290
290

তদ্ভব শব্দ : যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তদ্ভব শব্দ। তদ্ভব একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ, ‘তৎ’ (তার) থেকে ‘ভব' (উৎপন্ন)। যেমন – · সংস্কৃত-হস্ত, প্রাকৃত-হ, তদ্ভব—হাত। সংস্কৃত-চর্মকার, প্রাকৃত-চম্মআর, তদ্ভব-চামার ইত্যাদি। এই তদ্ভব শব্দগুলোকে খাঁটি বাংলা শব্দও বলা হয় ।

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

অর্ধ-তৎ্সম শব্দ

103
103

অর্ধ-তৎসম শব্দ : বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলে অর্ধ-তৎসম শব্দ। তৎসম মানে সংস্কৃত। আর অর্ধ তৎসম মানে আধা সংস্কৃত। উদাহরণ : জ্যোছনা, ছেরাদ্দ, গিন্নী, বোষ্টম, কুচ্ছিত— এ শব্দগুলো যথাক্রমে সংস্কৃত জ্যোৎস্না, শ্রাদ্ধ, গৃহিণী, বৈষ্ণব, কুৎসিত শব্দ থেকে আগত

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দেশি শব্দ

197
197

দেশি শব্দ : বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের (যেমন : কোল, মুণ্ডা প্রভৃতি) ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত রয়েছে। এসব শব্দকে দেশি শব্দ নামে অভিহিত করা হয়। অনেক সময় এসব শব্দের মূল নির্ধারণ করা যায় না; কিন্তু কোন ভাষা থেকে এসেছে তার হদিস মেলে। যেমন-কুড়ি (বিশ) – কোলভাষা, পেট (উদর)—তামিল ভাষা, চুলা (উনুন)—মুণ্ডারী ভাষা। এরূপ-কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ঢেঁকি ইত্যাদি আরও বহু দেশি শব্দ বাংলায় ব্যবহৃত হয়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আলমারি
ঢেঁকি
রিক্সা
সাইকেল

বিদেশি শব্দ

242
242

বিদেশি শব্দ : রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সংস্কৃতিগত ও বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলায় এসে স্থান করে নিয়েছে। এসব শব্দকে বলা হয় বিদেশি শব্দ। এসব বিদেশি শব্দের মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সে কালের সমাজ জীবনের প্রয়োজনীয় উপকরণরূপে বিদেশি শব্দ এ দেশের ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এছাড়া পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, , তুর্কি এসব ভাষারও কিছু শব্দ একইভাবে বাংলা ভাষায় এসে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারত, মায়ানমার (বার্মা), মালয়, চীন, জাপান প্রভৃতি দেশেরও কিছু শব্দ আমাদের ভাষায় প্রচলিত রয়েছে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মিশ্র শব্দ

260
260

মিশ্র শব্দ : কোনো কোনো সময় দেশি ও বিদেশি শব্দের মিলনে শব্দদ্বৈত সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন রাজা- বাদশা (তৎসম+ফারসি), হাট-বাজার (বাংলা+ফারসি), হেড-মৌলভি (ইংরেজি+ফারসি), হেড-পণ্ডিত (ইংরেজি+তৎসম) খ্রিষ্টাব্দ (ইংরেজি+তৎসম), ডাক্তার-খানা (ইংরেজি+ফারসি), পকেট-মার (ইংরেজি+বাংলা), চৌ-হদ্দি (ফারসি+আরবি) ইত্যাদি। -

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তুর্কি ও ফারসি
হিন্দি ও তুর্কি
ফারসি ও বাংলা
হিন্দি ও ফারসি
চা - চিনি
চৌ - হদ্দি
নামাজ - রোজা
স্কুল-কলেজ

ইংরেজি + বাংলা

ইংরেজি + আরবি

ইংরেজি + ফারসি

ইংরেজি + তৎসম

ফটোকপি
হরতাল
আলকাতরা
খ্রিস্টাব্দ
বেতার
হাট-বাজার
হেড-মাষ্টার
সবজি

শব্দের অর্থ

213
213
Please, contribute by adding content to শব্দের অর্থ.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সম্প্রীতি
সংবর্ধনা
সংলাপ
কোনোটিই নয়
আশার কথা
সৌভাগ্যের বিষয়
মজা পাওয়া
আনন্দের বিষয়

উপসর্গ

943
943

বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে, যা স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না। এগুলো অন্য শব্দের আগে বসে। এর প্রভাবে শব্দটির কয়েক ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়। যেমন-

১. নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি হয়।

২. শব্দের অর্থের পূর্ণতা সাধিত হয় ।

৩. শব্দের অর্থের সম্প্রসারণ ঘটে।

৪. শব্দের অর্থের সংকোচন ঘটে। এবং

৫. শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটে।

ভাষায় ব্যবহৃত এসব অব্যয়সূচক শব্দাংশেরই নাম উপসর্গ। যেমন ‘কাজ' একটি শব্দ । এর আগে ‘অ’ - অব্যয়টি যুক্ত হলে হয় ‘অকাজ’ যার অর্থ নিন্দনীয় কাজ। এখানে অর্থের সংকোচন হয়েছে। -

‘পূর্ণ’ (ভরা) শব্দের আগে ‘পরি’ যোগ করায় ‘পরিপূর্ণ' হলো। এটি পূর্ণ শব্দের সম্প্রসারিত রূপ (অর্থে ও আকৃতিতে)। ‘হার’ শব্দের পূর্বে ‘আ’ যুক্ত করে ‘আহার’ (খাওয়া), ‘প্র’ যুক্ত করে ‘প্রহার’ (মারা), 'বি' যুক্ত করে ‘বিহার' (ভ্রমণ), 'পরি' যোগ করে ‘পরিহার' (ত্যাগ), ‘উপ’ যোগ করে ‘উপহার’ (পুরস্কার), ‘সম’ যোগ করে ‘সংহার’ (বিনাশ) ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থে বিভিন্ন শব্দ তৈরি হয়েছে।

এ উপসর্গগুলোর নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে এদের অর্থদ্যোতকতা বা নতুন শব্দ সৃজনের ক্ষমতা থাকে।

বাংলা ভাষায় তিন প্রকার উপসর্গ আছে : বাংলা, তৎসম (সংস্কৃত) এবং বিদেশি উপসর্গ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ

282
282

তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ

বাংলা ভাষায় বহু সংস্কৃত শব্দ হুবহু এসে গেছে। সেই সঙ্গে সংস্কৃত উপসর্গও তৎসম শব্দের আগে বসে শব্দের নতুন রূপে অর্থের সংকোচন সম্প্রসারণ করে থাকে।

তৎসম উপসর্গ বিশটি : প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দূর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।

বাংলা উপসর্গ যেমন বাংলা শব্দের আগে বসে, তেমনি তৎসম উপসর্গ তৎসম (সংস্কৃত) শব্দের আগে বসে। বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি- এ চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়। বাংলা ও সংস্কৃত উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য এই যে, যে শব্দটির সঙ্গে উপসর্গ যুক্ত হয়, সে শব্দটি বাংলা হলে উপসর্গটি বাংলা, আর সে শব্দটি তৎসম হলে সে উপসর্গটিও তৎসম হয়। যেমন –আকাশ, সুনজর, বিনামা, নিলাজ বাংলা শব্দ । অতএব উপসর্গ আ, সু, বি, নি-ও বাংলা। আর আকণ্ঠ, সুতীক্ষ্ণ, বিপক্ষ ও নিদাঘ তৎসম শব্দ। কাজেই এসব শব্দের উপসর্গ আ, সু, বি, নি–ও তৎসম উপসর্গ নিচে বিশটি তৎসম উপসর্গের উদাহরণ দেওয়া হলো-

 

 

 

 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সু, বি, নি অ
স, সা, বি, নি
সু, বি, নি , আ
সু, বি, নি , হা
কোনোটিই নয়
নি, অব, দুর, অপি
অপ, নির, সু , আ
আব, স, না , কার
উৎ , বি, অভি, পরা

খাঁটি বাংলা উপসর্গ

135
135

বাংলা উপসর্গ

বাংলা উপসর্গ মোট একুশটি : অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।

নিচে এদের প্রয়োগ দেখানো হলো।

জ্ঞাতব্য : বাংলা উপসর্গ সাধারণত বাংলা শব্দের পূর্বেই যুক্ত হয়ে থাকে।

বাংলা উপসর্গযুক্ত শব্দের বাক্যে প্রয়োগ : ‘আমি অবেলাতে দিলাম পাড়ি অথৈ সায়রে।' অঘারাম বাস করে অজ পাড়াগাঁয়ে। ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাড়া। আকাঠার নায়ে দিলাম কাঁঠালের গলুই। ‘মা বলিতে প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে'। ইতিহাস কথা কয়। উনাভাতে দুনা বল। নিনাইয়ার শতেক নাও। ভর দুপুরে কোথায় যাও? এতদিন কোথায় নিখোঁজ হয়েছিলে?

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বিদেশি উপসর্গ

229
229

বিদেশি উপসর্গ

আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত রয়েছে। এর কতগুলো খাঁটি উচ্চারণে আবার কতগুলো বিকৃত উচ্চারণে বাংলায় ব্যবহৃত হয়। এ সঙ্গে কতগুলো বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু রয়েছে। দীর্ঘকাল ব্যবহারে এগুলো বাংলা ভাষায় বেমালুম মিশে গিয়েছে। বেমালুম শব্দটিতে ‘মালুম' আরবি শব্দ আর ‘বে' ফারসি উপসর্গ। এরূপ- বেহায়া, বেনজির, বেশরম, বেকার ইত্যাদি । নিচে কয়েকটি বিদেশি উপসর্গের উদাহরণ দেয়া হলো।

 

ক. ফারসি উপসর্গ

 

 

ঘ. উর্দু-হিন্দি উপসর্গ

হর : প্রত্যেক অর্থে – হররোজ, হরমাহিনা, হরকিসিম, হরহামেশা

বাক্যে বিদেশি উপসর্গের উদাহরণ-

হিসেবে গরমিল থাকলে খাসমহল লাটে উঠবে। বহাল তবিয়তে দস্তখত করে ফিরোজ হেড অফিসে আসা যাওয়া কর।

Content added By

ধাতু, প্রকৃতি এবং প্রত্যয়

1.1k
1.1k

ধাতু : ক্রিয়ার মূল অংশকে ধাতু বলে। বাংলা ভাষায় বা ব্যাকরণে অনেক ক্রিয়াপদ আছে। সেই সব ক্রিয়াপদের প্রধান অংশকে ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলা হয়।

প্রকৃতি : যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।

প্রত্যয় : শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। 

 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সাধিত ধাতু
সংযোগমূলক ধাতু
যৌহিক ধাতু
মৌলিক ধাতু

প্রকৃতি

118
118

প্রকৃতি : যে শব্দকে বা কোনো শব্দের যে অংশকে আর কোনো ক্ষুদ্রতর অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।

প্রকৃতি দুই প্রকার : নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ধাতুর মূল
শব্দের মূল
প্রত্যয়যুক্ত শব্দ
শব্দ ও ধাতুর মূল

নাম প্রকৃতি

158
158

নাম প্রকৃতি : হাতল, ফুলেল, মুখর— এ শব্দগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই – হাত + ল = হাতল (বাঁট), -

ফুল + এল = ফুলেল (ফুলজাত) এবং মুখ + র = মুখর (বাচাল)। এখানে হাত, ফুল ও মুখ শব্দগুলোকে বলা হয় প্রকৃতি বা মূল অংশ। এগুলোর নাম প্রকৃতি।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ক্রিয়া প্রকৃতি

101
101

ক্রিয়া প্রকৃতি : আবার চলন্ত, জমা ও লিখিত— এ শব্দগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই √চল্‌+অন্ত= চলন্ত (চলমান), √জম্ + আ [ = জমা (সঞ্চিত) এবং √লিখ্ + ইত লিখিত (যা লেখা হয়েছে)। এখানে চল্, জম্ ও লিখ্ = এ তিনটি ক্রিয়ামূল বা ক্রিয়ার মূল অংশ। এগুলোকে বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু

Content added By

প্রত্যয়

1.1k
1.1k

প্রত্যয় : শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। কয়েকটি শব্দের প্রকৃতি ও প্রত্যয় বিশ্লেষণ করে দেখানো হলো ।

 

বাংলা শব্দ গঠনে দুই প্রকার প্রত্যয় পাওয়া যায় : ১. তদ্ধিত প্রত্যয় ও ২. কৃৎ প্রত্যয় ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

422
422

তদ্ধিত প্রত্যয় : শব্দমূল বা নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। যেমন-হাতল, ফুলেল ও মুখর শব্দের যথাক্রমে ল, এল এবং র তদ্ধিত প্রত্যয় ।

Content added By

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

118
118

ক) বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

১. আ-প্রত্যয়

(ক) অবজ্ঞার্থে : চোর + আ চোরা, কেষ্ট + আ = কেষ্টা।

(খ) বৃহদার্থে : ডিঙি + আ= ডিঙা (সপ্তডিঙা মধুকর)

(গ) সদৃশ অর্থে : বাঘ+আ=বাঘা, হাত + আ=হাতা। এরূপ : কাল - কালা (চিকন কালা), কান–কানা ।

(ঘ) ‘তাতে আছে’ বা ‘তার আছে' অর্থে : জল + আ=জলা, গোদ + আ=গোদা। এরূপ : রোগ -রোগা, : চাল- চালা, লুন-লুনা>লোনা ।

(ঙ) সমষ্টি অর্থে : বিশ –বিশা, বাইশ-বাইশা (মাসের বাইশা> বাইশে।

(চ) স্বার্থে : জট+আ=জটা, চোখ-চোখা, চাক—চাকা ।

(ছ) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনে : হাজির - হাজিরা, চাষ-চাষা।

(জ) জাত ও আগত অর্থে : মহিষ ভইস-ভয়সা (ঘি), দখিন-দখিনা> দখনে (হাওয়া)।

২. আই-প্রত্যয়

(ক) ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে : বড়+আই=বড়াই, চড়া +আই=চড়াই।

(খ) আদরার্থে : কানু+আই=কানাই, নিম+আই=নিমাই।

(গ) স্ত্রী বা পুরুষবাচক শব্দের বিপরীত বোঝাতে : বোন+আই= বোনাই, ননদ-নন্দাই, জেঠা-জেঠাই (মা) (ঙ) জাত অর্থে : ঢাকা+আই=ঢাকাই (জামদানি), পাবনা-পাবনাই (শাড়ি)।

(ঘ) সমগুণবাচক বিশেষ্য গঠনে : মিঠা +আই=মিঠাই।

(ঙ) বিশেষণ গঠনে : চোর চোরাই (মাল), মোগল-মোগলাই (পরোটা)।

৩. আমি/আম/আমো / মি 2 -প্রত্যয়

(ক) ভাব অর্থে : ইতর+আমি =ইতরামি, পাগল+ আমি = পাগলামি, চোর+আমি =চোরামি, বাঁদর+আমি =বাঁদরামি, ফাজিল +আমো=ফাজলামো । (খ) বৃত্তি (জীবিকা) অর্থে : ঠক+আমো=ঠকামো (ঠকের বৃত্তি বা ভাব), , ঘর+আমি=ঘরামি ।

(গ) নিন্দা জ্ঞাপন : জেঠা+আমি-জেঠামি, ছেলে+আমি=ছেলেমি।

৪. ই/ঈ-প্রত্যয়

(ক) ভাব অর্থে : বাহাদুর + ই = বাহাদুরি, উমেদার-উমেদারি।

(খ) বৃত্তি বা ব্যবসায় অর্থে : ডাক্তার-ডাক্তারি, মোক্তার-মোক্তারি, পোদ্দার-পোদ্দারি, ব্যাপার- ব্যাপারি, চাষ-চাষি ।

(গ) মালিক অর্থে : জমিদার-জমিদারি, দোকান-দোকানি।

(ঘ) জাত, আগত বা সম্বন্ধ বোঝাতে : ভাগলপুর-ভাগলপুরি, মাদ্রাজ -মাদ্রাজি, রেশম-রেশমি,

৫. ইয়া> এ-প্রত্যয়

সরকার—সরকারি (সম্বন্ধ বাচক)।

(ক) তৎকালীনতা বোঝাতে : সেকাল + এ-সেকেলে, একাল+এ=একেলে, ভাদর +ইয়া = ভাদরিয়া> ভাদুরে (কইমাছ)।

(খ) উপকরণ বোঝাতে : পাথর - পাথরিয়া পাথুরে, মাটি –মেটে, বালি- বেলে।

(গ) উপজীবিকা অর্থে : জাল-জালিয়া জেলে, মোট-মুটে।

(ঘ) নৈপুণ্য বোঝাতে : খুন-খুনিয়া খুনে, দেমাক-দেমাকে, না (নৌকা) – নাইয়া নেয়ে ৷

(ঙ) অব্যয়জাত বিশেষণ গঠনে : টনটন— টনটনে (জ্ঞান), কনকন – কনকনে (শীত), গনগন –গনগনে (আগুন), চকচক— চকচকে (জুতা)।

৬. উয়া> ও-প্রত্যয়

(ক) রোগগ্রস্ত অর্থে : জ্বর + উয়া = জ্বরুয়া জ্বরো। বাত+উয়া=বাতুয়া> বেতো (ঘোড়া)।

(খ) যুক্ত অর্থে : টাক – টেকো ।

(গ) সেই উপকরণে নির্মিত অর্থে : খড়খড়ো (খড়োঘর)।

(ঘ) জাত অর্থে : ধান–ধেনো ।

(ঙ) সংশ্লিষ্ট অর্থে : মাঠ-মেঠো, গাঁ-গাঁইয়া গেঁয়ো ।:

(চ) উপজীবিকা অর্থে : মাছ-মাছুয়া> মেছো ।

(ছ) বিশেষণ গঠনে : দাঁত-দেঁতো (হাসি), ছাঁদ-ছেঁদো (কথা), তেল-তেলো> তেলা (মাথা), কুঁজ- কুঁজো (লোক) ।

৭. উ-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে : ঢাল +উ = ঢালু, কল+উ= =কলু।

৮. উক-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে : লাজ-লাজুক, মিশ-মিশুক, মিথ্যা-মিথ্যুক ।

১. আরি/আরী/আরু-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে : ভিখ-ভিখারি, শাঁখ-শাখারি, বোমা-বোমারু

১০. আলি/আলো/আলি/আলী>এল-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনে : দাঁত-দাঁতাল, লাঠি-লাঠিয়াল> লেঠেল, তেজ-তেজাল, ধার-ধারাল, শাঁস-শাঁসাল, জমক-জমকালো, দুধ দুধাল > দুধেল, হিম-হিমেল, চতুর চতুরালি, ঘটক — ঘটকালি, সিঁদ-সিঁদেল, গাঁজা-গেঁজেল।

১১. উরিয়া>উড়িয়া/উড়ে/রে-প্রত্যয় : হাট-হাটুরিয়া> হাটুরে, সাপ সাপুড়িয়া সাপুড়ে, কাঠ-কাঠুরে।

১২. উড়-প্রত্যয় : অর্থহীনভাবে : লেজ-লেজুড় ।

১৩. উয়া/ওয়া>ও-প্রত্যয় : সম্পর্কিত অর্থে : ঘর+ওয়া = ঘরোয়া, জল+ উয়া=জলুয়া>জলো (দুধ)। ১৪. আটিয়া / টে—প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে : তামা-তামাটিয়া> তামাটে, ঝগড়া-ঝগড়াটে, ভাড়া— ভাড়াটে, রোগা-রোগাটে ।

১৫. অট>ট-প্রত্যয় : স্বার্থে : ভরা ভরাট, জমা-জমাট।

১৬. লা-প্রত্যয় : (ক) বিশেষণ গঠনে : মেঘ-মেঘলা

(ক) স্বার্থে : এক-একলা, আধ-আধলা ।

Content added By

তৎসম বা সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

219
219

 সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

ষ্ণ, ষ্ণি, ষ্ণ্য, ষ্ণিক, ইত, ইমন, ইল, ইষ্ট, ঈন, তর, তম, তা, ত্ব, নীন, নীয়, বতুপ্, বিন্, র, ল প্রভৃতি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে যে সমস্ত শব্দ গঠিত হয়, সেগুলো বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় । এখানে কতগুলো সংস্কৃত ' তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ দেয়া হলো ।

কয়েকটি সাধারণ সূত্র

১. যে শব্দের সঙ্গে ষ্ণ (অ)-প্রত্যয় যুক্ত হয়, তার মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যথা— নগর+ষ্ণ=নাগর, মধুর +ষ্ণ= =মাধুর্য।

বৃদ্ধি : (১) অ-স্থানে আ, (২) ই, ঈ-স্থানে ঐ, (৩) উ, ঊ-স্থানে ঔ এবং (৪) ঋ-স্থানে আর হওয়াকে বৃদ্ধি বলে।

২.যে শব্দের সঙ্গে ষ্ণ (অ) প্রত্যয় যুক্ত হয়, তার প্রাতিপদিকের অন্ত্যস্বরের উ-কারও ও-কারে পরিণত হয়। ও +অ সন্ধিতে ‘অব’ হয়। যথা—গুরু+ষ্ণ=গৌরব, লঘু+ষ্ণ =লাঘব, শিশু +ষ্ণ=শৈশব, মধু +ষ্ণ=মাধব, মনু + ষ্ণ=মানব।

৩. দুটি শব্দের দ্বারা গঠিত সমাসবদ্ধ শব্দের অথবা উপসর্গযুক্ত শব্দের সঙ্গে তদ্ধিত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে উপসর্গসহ শব্দের বা শব্দ দুটির মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যথা—

পরলোক + ষ্ণিক =পারলৌকিক।

সুভগ+ষ্ণ্য=সৌভাগ্য।

পঞ্চভূত+ষ্ণিক=পাঞ্চভৌতিক ।

সর্বভূমি+ ষ্ণ=সার্বভৌম ।

ব্যতিক্রম : ‘বর্ষ’ শব্দ পরপদ হলে পূর্বপদের সংখ্যাবাচক শব্দের মূল স্বরের বৃদ্ধি হয় না। যথা—দ্বিবর্ষ + ষ্ণিক= দ্বিবার্ষিক। সংখ্যাবাচক শব্দ না থাকলেও নিয়মমতো মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যেমন –বর্ষ + ষ্ণিক=বার্ষিক।

৪. ‘য’ প্রত্যয় যুক্ত হলে প্রাতিপদিকের অন্তে স্থিত অ, আ, ই এবং ঈ-এর লোপ হয়। যথা – সম্+য =সাম্য, কবি +য =কাব্য, মধুর + য =মাধুর্য, প্রাচী+য=প্রাচ্য।

ব্যতিক্রম : সভা+য=সভ্য (‘সাভ্য' নয়)

বিশেষ নিয়মে : পর-পরকীয়, স্ব-স্বকীয়, রাজা-রাজকীয় ।

১০. বতুপ্ (বৎ) এবং মতুপ্ (মৎ)-প্রত্যয় [প্রথমার এক বচনে যথাক্রমে ‘বান্ এবং ‘মান্’ হয়] : বিশেষণ গঠনে : গুণ+বতুপ্=গুণবান, দয়া+বতুপ্ = দয়াবান ৷ শ্রী+মতুপ্=শ্রীমান, বুদ্ধি+মতুপ্=বুদ্ধিমান

১১. বিন (বী) প্রত্যয় : আছে অর্থে বিশেষণ গঠনে মেধা+বিন্=মেধাবী, মায়া+বিন্ = মায়াবী, তেজঃ+বিন্= তেজস্বী, যশঃ +বিন্=যশস্বী।

১২. র-প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে

মধু+র=মধুর, মুখ+র=মুখর।

১৩. ল-প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে

শীত +ল = শীতল, বস +ল= বৎসল।

১৪. ফ (অ) প্রত্যয়

(ক) অপত্য অর্থে: মনু+ষ্ণ =মানব, যদু +ষ্ণ=যাদব।

(খ) উপাসক অর্থে: শিব+ ষ্ণ= শৈব, জিন+ষ্ণ=জৈন। এরূপ : শক্তি-শাক্ত, বুদ্ধ-বৌদ্ধ,

গ) ভাব অর্থে : শিশু +ষ্ণ = শৈশব, গুরু+ষ্ণ =গৌরব, কিশোর+ষ্ণ=কৈশোর।

ঘ) সম্পর্ক বোঝাতে : পৃথিবী+ ষ্ণ = পার্থিব, দেব+ষ্ণ=দৈব, চিত্র (একটি নক্ষত্রের নাম)+ ষ্ণ=চৈত্র।

Content added By

বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়

193
193

বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়

১. ওয়ালা > আলা (হিন্দি) : বাড়ি-বাড়িওয়ালা (মালিক অর্থে), দিল্লি-দিল্লিওয়ালা (অধিবাসী অর্থে), মাছ-মাছওয়ালা (বৃত্তি অর্থে), দুধ-দুধওয়ালা (বৃত্তি অর্থে)।

ওয়ান>আন (হিন্দি) : গাড়ি-গাড়োয়ান, দার -দারোয়ান ৷

৩. আনা>আনি (হিন্দি) : মুনশি-মুনশিয়ানা, বিবি-বিবিআনা, হিন্দু-হিন্দুয়ানি 

8. সা (হিন্দি) : পানি-পানসা> পানসে, এক–একসা, কাল (কাল) – কালসা> কালসে।

৫.গর> কর (ফারসি) : কারিগর, বাজিকর, সওদাগর ।

৬. দার (ফারসি) : তাঁবেদার, খবরদার, বুটিদার, দেনাদার, চৌকিদার, পাহারাদার

৭.বাজ (দক্ষ অর্থে –ফারসি) : কলমবাজ, ধড়িবাজ, ধোঁকাবাজ, গলাবাজ+ই=গলাবাজি (বিশেষ্য)।

৮.বন্দি (বন্দ্-ফারসি) : জবানবন্দি, সারিবন্দি, নজরবন্দি, কোমরবন্দ।

৯. সই : মতো অর্থে : জুতসই, মানানসই, চলনসই, টেকসই। ১০. পনা : মতো অর্থে : গিন্নীপনা, বেহায়াপনা

দ্রষ্টব্য : ‘টিপসই’ ও ‘নামসই’ শব্দ দুটোর ‘সই’ প্রত্যয় নয়। এটি ‘সহি’ (অর্থ-স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উৎপন্ন । (গ) সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়

ষ্ণ, ষ্ণি, ষ্ণ্য, ষ্ণিক, ইত, ইমন, ইল, ইষ্ট, ঈন, তর, তম, তা, ত্ব, নীন, নীয়, বতুপ্, বিন্, র, ল প্রভৃতি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে যে সমস্ত শব্দ গঠিত হয়, সেগুলো বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় । এখানে কতগুলো সংস্কৃত ' তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ দেয়া হলো ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়

কৃৎ প্রত্যয়

546
546

কৃৎ প্রত্যয় : ধাতু বা ক্রিয়া প্রকৃতির সাথে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি হয়, তাকে বলে কৃৎ প্রত্যয় উদাহরণে চলন্ত, জমা ও লিখিত শব্দের যথাক্রমে অন্ত, আ এবং ইত কৃৎ প্রত্যয়।

তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয় তদ্ধিতান্ত শব্দ এবং কৃৎ প্রত্যয় সাধিত শব্দকে বলা হয় কৃদন্ত শব্দ যেমন— হাতল, ফুলেল ও মুখর তদ্ধিতান্ত শব্দ এবং চলন্ত, জমা ও লিখিত কৃদন্ত শব্দ ।

তোমরা লক্ষ করেছ যে, ক্রিয়ামূলকে বলা হয় ধাতু, আর ধাতুর সঙ্গে পুরুষ ও কালবাচক বিভক্তি যোগ করে গঠন করা হয় ক্রিয়াপদ। ধাতুর সঙ্গে যখন কোনো ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টি যুক্ত হয়ে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ তৈরি হয়, তখন (১) ক্রিয়ামূল বা ধাতুকে বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা প্রকৃতি; আর (২) ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয়, তাকে বলে কৃৎ-প্রত্যয়। যেমন- চল্ (ক্রিয়া প্রকৃতি)+ অন (কৃৎ-প্রত্যয়)= চলন (বিশেষ্য পদ) । চল্ (ক্রিয়া প্রকৃতি) + অন্ত (কৃৎ-প্রত্যয়)=চলন্ত (বিশেষণ পদ ৷

‘প্রকৃতি' কথাটি বোঝানোর জন্য প্রকৃতির আগে √ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এ প্রকৃতি চিহ্নটি ব্যবহার করলে ‘প্রকৃতি' শব্দটি লেখার প্রয়োজন হয় না। যেমন -√পড়+ উয়া =পড়ুয়া। √নাচ্+উনে = নাচুনে ।

কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত পদটিকে বলা হয় কৃদন্ত পদ। যেমন – ওপরের উদাহরণে ‘পড়ুয়া' ও ‘নাচুনে’ কৃদন্ত পদ

তৎসম বা সংস্কৃত প্রকৃতির সঙ্গেও অনুরূপভাবে কৃৎ-প্রত্যয় যোগে কৃদন্ত পদ সাধিত হয়। যেমন √গম্+অন=গমন, √কৃ+তব্য=কর্তব্য । কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৃৎ-প্রত্যয় যোগ করলে কৃৎ-প্রকৃতির আদিস্বর পরিবর্তিত হয়। এ পরিবর্তনকে বলা হয় গুণ ও বৃদ্ধি ।

১. গুণ : (ক) ই, ঈ-স্থলে এ, (খ) উ, ঊ-স্থলে ও এবং (গ) ঋ-স্থলে অর্ হয়। যেমন - √চিন্+আ=চেনা (ই স্থলে এ হলো); (নী+আ=নেওয়া (ঈ স্থলে এ); ' √ধু+আ =ধোয়া (উ স্থলে ও) ; কৃ+তা = করতা> কর্তা (ঋ স্থলে অর্) ।

২. বৃদ্ধি : (ক) অ-স্থলে আ, (খ) ই ও ঈ-স্থলে ঐ, (গ) উ ও ঊ স্থলে ঔ এবং (ঘ) ঋ-স্থলে আর্ হয়। যেমন – পচ্ + অ (ণক) - পাচক (পচ-এর অ স্থলে ‘আ’); শিশু+ অ(ষ্ণ) = শৈশব (ই স্থলে ঐ); যুব+ - = অন= যৌবন (উ স্থলে ঔ); কৃ+ঘ্যণ= কার্য (ঋ স্থলে আর্)।

 

বাংলা কৃৎ-প্রত্যয়

কৃৎ-প্রত্যয়যোগে শব্দ গঠন : বাংলা

১. (০) শূন্য-প্রত্যয় : কোনো প্রকার প্রত্যয়-চিহ্ন ব্যতিরেকেই কিছু ক্রিয়া-প্রকৃতি বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ রূপে বাক্যে ব্যবহৃত হয়। এরূপ স্থলে (০) শূন্য প্রত্যয় ধরা হয়। যেমন এ মোকদ্দমায় তোমার জিত্ হবে না, হার্–ই হবে। গ্রামে খুব ধব্ পাকড় চলছে।

২. অ-প্রত্যয় : কেবল ভাববাচ্যে অ-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন - √ধর্+ অ=ধর, √মার +অ=মার। আধুনিক বাংলায় অ-প্রত্যয় সর্বত্র উচ্চারিত হয় না। যেমন – √হার্ + অ=হার, √জিত্ + অ = জিত।কোনো কোনো সময় অ-প্রত্যয়যুক্ত কৃদন্ত শব্দের দ্বিত্ব প্রয়োগ হয়। যেমন (আসন্ন সম্ভাব্যতা অর্থে দ্বিত্বপ্রাপ্ত) √কাঁদ্ + অ কাঁদকাঁদ (চেহারা)। এরূপ - √পড়+অ=পড়পড়, √মর্+অ=মরমর (অবস্থা) ইত্যাদি। কখনো কখনো দ্বিত্বপ্রাপ্ত কৃদন্ত পদে উ-প্রত্যয় হয়। যেমন – √ডু+উ= ডুবুডুবু। √উড়+উ = উড়ুউডু।

৩।অনু-প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনে ‘অন’ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয়। যেমন – √কাঁদ্ + অন= কাঁদন (কান্নার ভাব)। এরূপ – নাচন, বাড়ন, ঝুলন, দোলন ৷

বিশেষ নিয়ম

(ক) আ-কারান্ত ধাতুর সঙ্গে অন্ স্থলে ‘ওন’ হয়। যেমন -√খা+অন=খাওন, √ছা+অন=ছাওন, √দে+অন=দেওন । (খ) আ-কারান্ত প্রযোজক (ণিজন্ত ধাতুর পরে ‘আন’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ‘আনো’ হয়। যেমন √জানা+আন= - জানানো। এরূপ –শোনানো, ভাসানো।

৪. অনা-প্রত্যয় : √দুল্‌+ অনা= দুলনা> দোলনা। √খেল্‌+ অনা=খেলনা।

৫. অনি (বিকল্পে) উনি-প্রত্যয় : √চির্+অনি=চিরনি>চিরুনি। বাঁধ + অনি =বাঁধনি বাঁধুনি। √আঁট+অনি=আঁটনি> আঁটুনি ।

৬. অন্ত-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ‘অন্ত’ প্রত্যয় হয়। যেমন - √উড়+অন্ত =উড়ন্ত, √ডুর্+অন্ত=ডুবন্ত।

৭. অক-প্রত্যয় : √মুড়+অক=মোড়ক। √ঝল্+অক=ঝলক।

৮. আ-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনে ‘আ’ প্রত্যয় হয়। যেমন √পড়+আ=পড়া (পড়া বই)। এরূপ রাঁধ (বিশেষ্য), রাঁধা (বিশেষণ), কেনা, বেচা, ফোটা ইত্যাদি ৷ ৯. আই-প্রত্যয় : ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে ‘আই প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন- চড়ু+আই = চড়াই সিল+আই=সিলাই> সেলাই

১০. আও-প্রত্যয় : ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে ‘আও’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন- √পাকড়+আও= পাকড়াও, √চড় +আও=চড়াও।

১১. আন (আনো) প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন/আনো' প্ৰত্যয় হয় । যেমন – √চাল্‌ =আন =চালান/চালানো। √মান্+ আন = মানান/মানানো।

১২. আনি -প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে প্রযুক্ত হয়। যেমন √জান্ + আনি=জানানি, √শুন্+আনি=শুনানি, - √উড় + আনি=উড়ানি, √উড়+উনি=উড়ুনি।

১৩. আরি বা আরী বিকল্পে রি/উরি-প্রত্যয় : যেমন – / ডুর্+আরি / উরি-ডুবুরী। এরূপ –ধুনারী, পূজারী ইত্যাদি

১৪. আল-প্রত্যয় : √মাত্+আল = মাতাল, মিশ্+আল =মিশাল।

১৫. ই-প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে ‘ই’ প্রত্যয় প্রযুক্ত হয়। যথা- 1 -Vভাজ্‌+ই = ভাজি, √বেড়+ই= বেড়ি।

১৬. ইয়া > ইয়ে-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ইয়া/ ইয়ে প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন - √মর্ +ইয়া=মরিয়া (মরতে প্রস্তুত), √বল্ + ইয়ে=বলিয়ে (বাকপটু)। এরূপ – নাচিয়ে, গাইয়ে, লিখিয়ে, বাজিয়ে, কইয়ে ইত্যাদি।

১৭. উ-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনে ‘উ’ প্রত্যয়ের প্রয়োগ হয়। যথা – √ডাক্ + উ= ডাকু, ঝাড় + উ= ঝাড়ু, √উড়+উ= উড়ু (দ্বিত্ব উড়ুউড়ু)

১৮. ‘উয়া’ বিকল্পে 'ও' · প্রত্যয় : বিশেষ্য বিশেষণ গঠনে ‘উয়া’ এবং ‘ও’ প্রত্যয় হয়। যথা – √পড় + - উয়া= পড়ুয়া > পড়ো, √উড়+ উয়া= উড়ুয়া > উড়ো, √উড়+ও +উড়ো (চিঠি)। ১৯. তা-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ‘তা’ প্রত্যয় হয়। যেমন – √ফির্+তা = ফিরতা> ফেরতা, √পড় + তা= পড়তা, √বহ্+ তা = বহতা ।

২০. তি-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনে ‘তি' প্রত্যয় হয়। যেমন √ঘাট্+তি=ঘাটতি, √বাড়+তি=বাড়তি। এরূপ – কাটতি, উঠতি ইত্যাদি।

২১. না-প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে ‘না’ প্রত্যয় যুক্ত হয় যেমন √রাধ+না=রাধনা> রান্না। এরূপ-ঝরনা ইত্যাদি।

 

কৃৎ-প্রত্যয় যোগে শব্দ গঠন : সংস্কৃত

১. অনট্—প্রত্যয় : (‘ট' ইৎ (বিলুপ্ত) হয়, ‘অন’ থাকে) : √নী+অন= √নী+অন>নে+অন (গুণসূত্রে) = নয়ন, √শু+ অনট্= √শু+অন (গুণ ও সন্ধির ফলে) = শ্রবণ। এরূপ – স্থান, ভোজন, নর্তন, দর্শন ইত্যাদি।

২. ক্ত-প্রত্যয় ('ক্' ইৎ 'ত' থাকে) : √জ্ঞা+ক্ত (জ্ঞা+ত) = জ্ঞাত, √খ্যা+ক্ত=খ্যাত।

বিশেষ নিয়ম

(ক) ক্ত-প্রত্যয় যুক্ত হলে নিম্নলিখিত ধাতুর অন্ত্যস্বর ‘ই’ কার হয়। যেমন √পঠ+ক্ত=(পঠ+ই+ত) পঠিত। এরূপ –লিখিত, বিদিত, বেষ্টিত, চলিত, পতিত, লুণ্ঠিত, ক্ষুধিত, শিক্ষিত ইত্যাদি । =

(খ) ক্ত প্রত্যয় যুক্ত হলে, ধাতুর অন্তস্থিত ‘চ’ ও ‘জ’ স্থলে ‘ক’ হয়। যেমন- √সিচ্+ক্ত=(সিক্‌+ত) সিক্ত। এরূপ-√মুচ্+ক্ত=মুক্ত, Vভুজ্‌+ক্ত=ভুক্ত।

(গ) এ ছাড়া ক্ত প্রত্যয় পরে থাকলে ধাতুর মধ্যে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন হয়। এখানে এরূপ কয়েকটি প্রকৃতি— প্রত্যয়ের উদাহরণ দেওয়া হলো। যেমন- √গম্ +ক্ত গত, √গ্ৰন্থ +ক্ত গ্রথিত, √চুর্+ক্ত চূর্ণ, = = √ছিদ্+ক্ত=ছিন্ন, √জন্+ক্ত=জাত, √দা+ক্ত=দত্ত, √দহ্+ক্ত=দগ্ধ, √বচ্+ক্ত=উক্ত, √বপ্‌+ক্ত=উপ্ত, √মুহ্+ক্ত=মুগ্ধ, √ষুধ+ক্ত=যুদ্ধ, √ল+ক্ত=লব্ধ, √স্বপ্+ক্ত=সুপ্ত, √সৃ+ক্ত=সৃষ্ট, √হন্+ক্ত= হত ইত্যাদি। ৩. ক্তি-প্রত্যয় (‘ক' ইৎ ‘তি' থাকে) : √গম্+ ক্তি=√গম্+তি=গতি (এখানে ‘ম’ লোপ হয়েছে)।

:

বিশেষ নিয়ম

(ক) ক্তি-প্রত্যয় যোগ করলে কোনো কোনো ধাতুর অন্ত ব্যঞ্জনের লোপ হয়। যথা- √মন্+ক্তি=মতি, √রম্+ক্তি=রতি

(খ) কোনো কোনো ধাতুর উপধা অ-কারের বৃদ্ধি হয়, অর্থাৎ আ-কার হয়। যেমন √শ্রম্+ক্তি=শ্রান্তি (সন্ধিসূত্রে মন), √শম্+ক্তি=শান্তি ।

(গ) ‘চ’ এবং ‘জ’ স্থলে ‘ক’ হয়। যেমন -√বচ্+ক্তি=উক্তি, √মুচ্+ক্তি=মুক্তি, √ভজ্‌+ক্তি=ভক্তি। √কাঁদ্ + না কাঁদনা > কান্না,

(ঘ) নিপাতনে সিদ্ধ : √গৈ+ক্তি=গীতি, √সিধ+ক্তি=সিদ্ধি, √বুধ+ক্তি=বুদ্ধি, √শক্‌+ক্তি=শক্তি। ৪. তব্য ও অনীয় প্রত্যয় : কর্ম ও ভাববাচ্যের ধাতুর পরে (ক) তব্য ও (খ) অনীয় প্রত্যয় হয় ।

(ক) তব্য : √কৃ+তব্য=কর্তব্য, √দা+তব্য=দাতব্য, পিঠ+ত = পঠিতব্য। +তব্য=' (খ) অনীয় : √কৃ+অনীয়=করণীয়, রক্ষ্+অনীয় = রক্ষণীয়। এরূপ-দর্শনীয়, পানীয়, শ্রবণীয়, পালনীয় ইত্যাদি।

৫. তৃচ্-প্রত্যয় (‘চ' ইৎ ‘তৃ’ থাকে) : প্রথমা একবচনে ‘তৃ’ স্থলে ‘তা’ হয় । যেমন- √দা+তৃচ্=√দা+তৃ=√দা+তা= দাতা √মা+তৃচ্=মাতা, √ক্রী+তৃচ্= =ক্রেতা। বিশেষ নিয়মে : √ষুধ +তৃচ=Vযুধ+তা=যোদ্ধা।

৬. ণক—প্রত্যয় (‘ণ' ইৎ ‘অক' থাকে) : (পর্+ণক=√পত্+অক=পাঠক। মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়ে ‘অ’ স্থানে ‘আ’ হয়েছে। যেমন-√নী=ণক=(নৈ+অক-প্রথম স্বরের বৃদ্ধি) নায়ক, /গৈ+ণক=গায়ক, √লিখ্+ণক= লেখক ইত্যাদি ।

 

বিশেষ নিয়ম

(ক) ণক-প্রত্যয় পরে থাকলে ণিজন্ত ধাতুর ‘ই’ কারের লোপ হয়। যেমন – i+ণক=পূজক। এরূপ- জনক, চালক, স্তাবক।

(খ) আ-কারান্ত ধাতুর পরে ণক প্রত্যয় হলে ধাতুর শেষে ‘য়’ আসে। যথা-√দা+ণক=দায়ক, বি- √ধা+ণক=বিধায়ক

৭. ঘাণ-প্রত্যয় [ঘ,ণ–ইৎ, য (য-ফলা) থাকে] : কর্ম ও ভাববাচ্যে ঘ্য হয়। যথা- √কৃ+ঘ্য=কাৰ্য্য কাৰ্য, √ধৃ+ঘ্য=ধার্য। এরূপ -পরিহার্য, বাচ্য, ভোজ্য, যোগ্য, হাস্য ইত্যাদি ।

(দ্রষ্টব্য : আধুনিক বাংলা বানানে রেফ+য+য=র্য্য হয় না, র্য হয়।)

৮. য-প্রত্যয় : কর্ম ও ভাববাচ্যে যোগ্যতা ও ঔচিত্য অর্থে ‘য’ প্রত্যয় প্রযুক্ত হয়। ‘য’ যুক্ত হলে আ-কারান্ত ধাতুর আ-কার স্থলে এ-কারান্ত হয় এবং ‘য’ ‘য়’ হয়। যেমন - √দা +য=দা>দে+যয় দেয়।

√হা+য=হেয় ৷

এরূপ –বিধেয়, অজেয়, পরিমেয়, অনুমেয় ইত্যাদি।

বিশেষ নিয়ম : ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর ‘য’ প্রত্যয় স্থলে য-ফলা হয়। যথা-√গম্+য=গম্য, √লভ্+য=লভ্য। ১. ণিন—প্রত্যয় (ণ ইৎ, ইণ থাকে, ইন্‌ ‘ঈ'-কার হয়) : √গ্রহ + ণিন=গ্রাহী, √পা+ণিন=পায়ী। এরূপ- কারী, দ্রোহী, সত্যবাদী, ভাবী, স্থায়ী, গামী। কিন্তু ‘ণিন' যুক্ত হলে ‘হন’ ধাতুর স্থলে ‘ঘাত' হয়। যথা - -√হণ্+ণিন=আত্মঘাতী। আত্ম-V

১০. ইন্ প্রত্যয় (ইন্)=ঈ-কার হয়) : √শ্রম্+ইন্=শ্রমী ।

১১. অল্-প্রত্যয় (ল ইৎ, অ থাকে) : (জি+অল্-জয়, √ক্ষি+অল্ = ক্ষয়। এরূপ-ভয়, নিচয়, বিনয়, ভেদ, বিলয়। ব্যতিক্রম : √হণ্+অ=বধ ৷

কৃদন্ত বিশেষণ গঠনে কতিপয় কৃৎ-প্রত্যয়

১. ইষ্ণু-প্রত্যয় : √চল্‌+ইষ্ণু = চলিষ্ণু। এরূপ ক্ষয়িষ্ণু, বর্ধিষ্ণু।

২. বর-প্রত্যয় : √ঈশ্+বর=ঈশ্বর, Vভাস্+বর =ভাস্বর। এরূপ-নশ্বর, স্থাবর।

৩. র-প্রত্যয় : √হিন+স্+র=হিংস্র, Vনম্+র=নম্র।

৪. উক/উক-প্রত্যয় : √ভু+উক=(ভৌ+উক) =ভাবুক, জাগ্‌+উক=(জাগর+উক) জাগরূক

৫. শানচ্-প্রত্যয় (‘শ’ ও ‘চ’ ইৎ, ‘আন’ বিকল্পে 'মান' থাকে) : √দীপ্‌+ শানচ্=দীপ্যমান। এরূপ - √চল্‌+শানচ্=চলমান, √বৃধ+শানচ্=বর্ধমান ৬. ঘঞ-প্রত্যয় [(কৃদন্ত বিশেষ্য গঠনে), ঘৃ এবং ঞ ইৎ, ‘অ’ থাকে] : √বস্+ঘঞ্=বাস, √যুজ্+ঘঞ= :

যোগ, √ক্রুধ+ঘঞ=ক্রোধ, , √খুদ্+ঘঞ=খেদ, , √ভিদ্+ঘঞ=ভেদ।

বিশেষ নিয়ম : √ত্য+ঘঞ=ত্যাগ, √পচ্ +য=পাক, /শুচ্+ঘঞ=শোক

 

কিন্তু, নিন্দি+ত +অন=নন্দন। এক্ষেত্রে আ যোগে ‘নন্দনা’ হয় না।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শব্দের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যয়কে
অর্থের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যয়কে
ধাতুর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যয়কে
উপসর্গের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যয়কে

ধাতু (বাংলা ব্যাকরণ)

409
409

ক্রিয়ামূল বলতে ক্রিয়াপদের অবিভাজ্য বা মূল অংশের অন্তর্নিহিত ভাবটির দ্যোতনা [টীকা ১] করে[১] অথবা বিশ্লেষণ করা যায় না এ রকম যে ক্ষুদ্রতম ধ্বনিসমষ্টি ক্রিয়ার বস্তু বা গুণ বা অবস্থানকে বুঝায়। ক্রিয়ামূলকে ধাতুও বলে। ক্রিয়ামূল বা ধাতু নির্দেশ করতে মূল শব্দের পূর্বে "√" করণী চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু

133
133

মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু

সম্পাদনা

যেসকল ধাতুকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না তাদের মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু বলে। উদাহরণ: √কর্‌, √চল, √দেখ্‌, √খেল,√পড়, √খা।

উৎস বিবেচনায় মৌলিক ধাতুগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়: (ক) বাংলা ধাতু (খ) সংস্কৃত ধাতু এবং (গ) বিদেশি ধাতু

Content added By

বাংলা ধাতু

116
116

বাংলা ধাতু কাকে বলে :-

যেসব ধাতু সংস্কৃত থেকে প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়, তাকে বাংলা ধাতু বলে।যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলা ভাষায় আসেনি সেগুলো হলো বাংলা ধাতু।

যেমন -

আঁক্ + আ = আঁকা - কী সব আঁকাআঁকি করছ? 

দেখ্‌ + আ = দেখা - জাদুঘর আমার কয়েকবার দেখা।

কক্ + অ = কর - তুমি কী কর?

হাস + ই = হাসি - তোমার হাসিটি খুব সুন্দর

Content added By

সংস্কৃত ধাতু

117
117

. সংস্কৃত ধাতু কাকে বলে :-

তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতুকে সংস্কৃত খাতু বলে।

অথবা আমরা বলতে পারি, বাংলা ভাষায় যেসব তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতু প্রচলিত রয়েছে তাদের সংস্কৃত ধাতু বলে।

যেমন -

অঙ্ক + অন = অঙ্কন : ছোটদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় কিছু প্রথম হয়েছে।

দৃশ + য = দৃশ্য : দুর্ঘটনার মর্মান্তিক দৃশ্য বর্ণনা করা যায় না।

কৃ + তব্য = কর্তব্য : ছাত্রদের কর্তব্য লেখাপড়া করা।

হস্ + য = হাস্য: অকারণ হাস্য-পরিহাস ত্যাগ কর

Content added || updated By

বিদেশি ধাতু

147
147

বিদেশাগত ধাতু কাকে বলে :-

বিদেশি ভাষা থেকে যেসব ধাতু বাংলা ভাষায় প্রয়োগ হয় , তাকে বিদেশাগত ধাতু বা বিদেশি ধাতু বলে।

প্রধানত হিন্দি এবং আরবি-ফারসি ভাষা থেকে যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বিদেশাগত ধাতু বা ক্রিয়ামূল বলা হয়।

যেমন -

খাট্ + বে = খাটবে - যত বেশি খাটবে ততই সুফল পাবে।

বিগড় + আনো  = বিগড়ানো - তোমার বিগড়ানো ছেলেকে ভালো করার সাধ্য আমার নেই। 

টান্ + আ = টানা - আমাকে নিয়ে টানাটানি করো না, আমি যাব না।

জম্ + আট = জমাট - অন্ধকার বেশ জমাট বেঁধেছে।

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সাধিত ধাতু

162
162

সাধিত ধাতু কাকে বলে :-

মৌলিক ধাতু বা নাম শব্দের পরে আ-প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয়ে থাকে, তাকেই সাধিত ধাতু বলে।

যেমন - দেখ্‌ + আ = দেখা, পড়+আ = পড়া, বল+আ = বলা।

সাধিত ধাতুর সঙ্গে কাল ও পুরুষসূচক বিভক্তি যুক্ত করে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়। যেমন মা শিশুকে চাঁদ দেখায়। (এখানে দেখ্‌+আ+বর্তমান কালের সাধারণ নামপুরুষের ক্রিয়া বিভক্তি 'য়' দেখায়)। এরূপ শোনায়, বসায় ইত্যাদি।

সাধিত ধাতুর কয় প্রকার ও কি কি :-

সাধিত ধাতু তিন প্রকার। যথা:

ক. প্রযোজক ধাতু,

খ. নাম ধাতু এবং

গ. কর্মবাচ্যের ধাতু।

 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সিদ্ধ ধাতু
ণিজন্ত ধাতু
নাম ধাতু
প্রযোজক ধাতু

নাম ধাতু

163
163

নাম ধাতু কাকে বলে :-

বিশেষ্য, বিশেষণ ও অনুকার অব্যয়ের পরে আ-প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে নাম ধাতু বলে।

যেমন -

ঘুম্ + আ = ঘুমা : বাবা ঘুমাচ্ছেন।

ধমক্ + আ = ধমকা : আমাকে যতই ধমকাও, আমি কাজ করব না।

হাত্‌ + আ = হাতা : অন্যের পকেট হাতানো আমার স্বভাব নয়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

প্রযোজক ধাতু বা ণিজন্ত ধাতু

231
231

মৌলিক ধাতুর পরে আ-প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে প্রযোজক ধাতু বা ণিজন্ত ধাতু বলে।

যেমন -

পড়্ + আ = পড়া : শিক্ষক ছাত্রদের পড়াচ্ছেন।

কর্ + আ = করা : সে নিজে করে না, অন্যকে দিয়ে করায়।

নাচ্ + আ = নাচা : 'ওরে ভোঁদড় ফিরে চা, খুকুর নাচন দেখে যা।

Content added By

কর্মবাচ্যের ধাতু

141
141

কর্মবাচ্যের ধাতু কাকে বলে :-

বাক্যে কর্তার চেয়ে কর্মের সাথে যখন ক্রিয়ার সম্পর্ক প্রধান হয়ে ওঠে, তখন সে ক্রিয়াকে কর্মবাচ্যের ক্রিয়া বলে। কর্মবাচ্যের ক্রিয়ার মূলকে কর্মবাচ্যের ধাতু বলে।

মৌলিক ধাতুর সাথে আ-প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয় তা কর্মবাচ্যের ধাতু। যেমন :

কর্ + আ = করা : আমি তোমাকে অঙ্কটি করতে বলেছি।

হার্ + আ = হারা : বইটি হারিয়ে ফেলেছি।

খা + ওয়া = খাওয়া : তোমার খাওয়া হলে আমাকে বলো।

Content added By

যৌগিক বা সংযোগমূলক ধাতু

96
96
Please, contribute by adding content to যৌগিক বা সংযোগমূলক ধাতু.
Content

বিশেষ্যের সাথে যুক্ত হওয়া ধাতু

92
92

বিশেষণের সাথে যুক্ত হওয়া ধাতু

80
80
Please, contribute by adding content to বিশেষণের সাথে যুক্ত হওয়া ধাতু.
Content

ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সাথে যুক্ত হওয়া ধাতু

72
72
Please, contribute by adding content to ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সাথে যুক্ত হওয়া ধাতু.
Content

প্রাতিপাদিক

95
95

প্রতিপাদিক হলো বিভক্তিহীন নাম-প্রকৃতি বা সাধিত শব্দ এবং বিভক্তিহীন তবে প্রত্যয়যুক্ত ক্রিয়ামূল বা ক্রিয়া-প্রকৃতি। প্রকৃতির সাথে প্রত্যয়ের যোগে যে শব্দ ও ক্রিয়ামূল গঠিত হয় তার নাম প্রাতিপাদিক

Content added By

নাম-প্রাতিপাদিক

76
76

নাম-প্রাতিপাদিক

সম্পাদনা

বিভক্তহীন ও প্রত্যয়হীন কিংবা বিভক্তিহীন অথচ প্রত্যয়যুক্ত নাম-প্রকৃতিকে নাম প্রাতিপাদিক বলে। উদাহরণ: দোকান + দার = দোকানদার + কে = দোকানদারকে 

Content added By

ক্রিয়া-প্রাতিপাদিক

80
80

ক্রিয়া-প্রাতিপাদিক

সম্পাদনা

বিভক্তহীন ও প্রত্যয়যুক্ত ধাতু-প্রকৃতিকে ক্রিয়া-প্রাতিপাদিক বলে। উদাহরণ: কর্‌ + অ = করা + কে = করাকে

Content added By

সমাস

620
620

সমাস মানে সংক্ষেপ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ। অর্থসম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। যেমন : দেশের সেবা = দেশসেবা, বই ও পুস্তক = বইপুস্তক, নেই পরোয়া যার বেপরোয়া। বাক্যে শব্দের ব্যবহার সংক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে সমাসের = সৃষ্টি। সমাস দ্বারা দুই বা ততোধিক শব্দের সমন্বয়ে নতুন অর্থবোধক পদ সৃষ্টি হয়। এটি শব্দ তৈরি ও প্রয়োগের একটি বিশেষ রীতি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে। তবে খাঁটি বাংলা সমাসের দৃষ্টান্তও প্রচুর পাওয়া যায়। সেগুলোতে সংস্কৃতের নিয়ম খাটে না।

সমাসের প্রক্রিয়ায় সমাসবদ্ধ বা সমাসনিষ্পন্ন পদটির নাম সমস্ত পদ।

 

সমস্ত পদ বা সমাসবদ্ধ পদটির অন্তর্গত পদগুলোকে সমস্যমান পদ বলে। সমাসযুক্ত পদের প্রথম অংশ (শব্দ)-কে বলা হয় পূর্বপদ এবং পরবর্তী অংশ (শব্দ)-কে বলা হয় উত্তরপদ বা পরপদ ।

সমস্ত পদকে ভেঙে যে বাক্যাংশ করা হয়, তার নাম সমাসবাক্য, ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য। উদাহরণ-বিলাত – ফেরত রাজকুমার সিংহাসনে বসলেন। এখানে বিলাত-ফেরত, রাজকুমার ও সিংহাসন এ তিনটিই - সমাসবদ্ধ পদ। এগুলোর গঠন প্রক্রিয়া ও রকম বিলাত হতে ফেরত, রাজার কুমার,সিংহ চিহ্নিত আসন এগুলো হচ্ছে ব্যাসবাক্য। এসব ব্যাসবাক্যে 'বিলাত’, ফেরত’, ‘রাজা, ‘কুমার,’ ‘সিংহ’, ‘আসন' হচ্ছে এক একটি সমস্যমান পদ। আর বিলাত-ফেরত, রাজকুমার এবং সিংহাসন সমস্ত পদ। বিলাত, রাজা ও সিংহ হচ্ছে পূর্বপদ এবং ফেরত, কুমার ও আসন হচ্ছে পরপদ। -

 

সমাস প্রধানত ছয় প্রকার : দ্বন্দ্ব, কর্মধারয়, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, দ্বিগু ও অব্যয়ীভাব সমাস ।

 

[ দ্বিগু সমাসকে অনেক ব্যাকরণবিদ কর্মধারয় সমাসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আবার কেউ কেউ কর্মধারয়কেও তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেছেন। এদিক থেকে সমাস মূলত চারটি : দ্বন্দ্ব, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি, অব্যয়ীভাব। কিন্তু সাধারণভাবে ছয়টি সমাসেরই আলোচনা করা গেল। এছাড়া, প্রাদি, নিত্য, অলুক ইত্যাদি কয়েকটি অপ্রধান সমাস রয়েছে। সংক্ষেপে সেগুলোরও আলোচনা করা হয়েছে। ]

Content added By
Content updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সমানাধিকরণ বহুব্রীহি
ব্যতিহার বহুব্রীহি
ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

সাধারণ কর্মধারয়

উপমিত কর্মধারয়

উপমান কর্মধারয়

মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

অন্যকাল
ক্ষুদ্রকাল
কালের অন্তর
কাল ও অন্তর
দ্বন্দ্ব সমাস
দ্বিগু সমাস
কর্মধারয় সমাস
অব্যয়ীভাব সমাস

দ্বন্দ্ব সমাস

222
222

দ্বন্দ্ব সমাস

যে দ্বন্দ্ব সমাসে কোনো সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে। যেমন: দুধে-ভাতে, জলে-স্থলে, দেশে-বিদেশে, হাতে-কলমে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বিপরীতার্থে
মিলনার্থে
বিরোধার্থে
সমার্থে

সমার্থক দ্বন্দ্ব

92
92

বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব

88
88

২। বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব: দিন ও রাত= দিন-রাত

Content added By

বিকল্পর্থক দ্বন্দ্ব

91
91

৩। বিকল্পর্থক দ্বন্দ্ব: হার অথবা জিৎ = হার-জিৎ

Content added By

সমাহার দ্বন্দ্ব

71
71

সমাহার দ্বন্দ্ব: দুধ ও কলা= দুধ-কলা

Content added By

মিলনার্থক দ্বন্দ্ব

76
76

মিলনার্থক দ্বন্দ্ব: চাল ও ডাল= চাল-ডাল

Content added By

অলুক দ্বন্দ্ব

92
92

অলুক দ্বন্দ্ব: যে দ্বন্দ্ব সমাসে কোনো সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ হয় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলে। যেমন দুধে-ভাতে, জলে-স্থলে, দেশে-বিদেশে, হাতে-কলমে।

কাগজে ও কলমে= কাগজে-কলমে

Content added By
Content updated By

বহুপদী দ্বন্দ্ব

73
73

বহুপদী দ্বন্দ্ব: রূপ, রস, গন্ধ ও স্পর্শ= রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ, সাহেব-বিবি-গোলাম, নাক-কান-গলা।

Content added By
Content updated By

একশেষ দ্বন্দ্ব

71
71

একশেষ দ্বন্দ্ব: সে, তুমি ও আমি = আমরা

Content added By
Content updated By

অনুকার দ্বন্দ্ব

84
84
Please, contribute by adding content to অনুকার দ্বন্দ্ব.
Content

কর্মধারয় সমাস

778
778

কর্মধারয় সমাস

যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন নীল যে পদ্ম নীলপদ্ম। শান্ত অথচ = শিষ্ট শান্তশিষ্ট। কাঁচা অথচ মিঠা = কাঁচামিঠা।

কর্মধারয় সমাস কয়েক প্রকারে সাধিত হয়।

১. দুটি বিশেষণ পদে একটি বিশেষ্যকে বোঝালে। যেমন যে চালাক সেই চতুর = চালাক-চতুর। -

২. দুটি বিশেষ্য পদে একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালে। যেমন – যিনি জজ তিনিই সাহেব = জজ সাহেব।

৩. কার্যে পরম্পরা বোঝাতে দুটি কৃতন্ত বিশেষণ পদেও কর্মধারয় সমাস হয়। যেমন – আগে ধোয়া পরে মোছা= ধোয়ামোছা ।

৪. পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষ বাচক হয়। যেমন – সুন্দরী যেল তা = সুন্দরলতা, মহতী যে কীর্তি = মহাকীর্তি ।

৫. বিশেষণবাচক মহান বা মহৎ শব্দ পূর্বপদ হলে,‘মহৎ’ ও ‘মহান’ স্থানে ‘মহা’ হয়। যেমন – মহৎ যে জ্ঞান= মহাজ্ঞান, মহান যে নবি = মহানবি ।

৬. পূর্বপদে ‘কু’ বিশেষণ থাকলে এবং পরপদের প্রথমে স্বরধ্বনি থাকলে ‘কু’ স্থানে ‘কৎ’ হয়। যেমন - কু যে অর্থ = কদর্থ, কু যে আচার কদাচার। =

৭. পরপদে ‘রাজা’ শব্দ থাকলে কর্মধারয় সমাসে 'রাজ' হয়। যেমন - মহান যে রাজা = মহারাজ।

৮. বিশেষণ ও বিশেষ্য পদে কর্মধারয় সমাস হলে কখনো কখনো বিশেষণ পরে আসে, বিশেষ্য আগে যায়। যেমন –সিদ্ধ যে আলু = আলুসিদ্ধ, অধম যে নর নরাধম ।=

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দ্বন্দ্ব সমাস
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি
অব্যয়ীভাব সমাস

সাধারণ কর্মধারয়

99
99

সাধারণ কর্মধারয় সমাস :

অ) বিশেষ্য+ বিশেষ্য :--

এখানে দুটি বিশেষ্য পদ যোগে একটি বিশেষ্যপদ ই তৈরী হবে সমাসবদ্ধ পদ হিসেবে |

যেমন:--

জ্ঞাতি যিনি শত্রুও তিনি = জ্ঞাতিশত্রু

যিনি রাম তিনিই কৃষ্ণ = রামকৃষ্ণ

যিনি রাজা তিনিই ঋষি = রাজর্ষি

আ) বিশেষণ + বিশেষণ :--

এই সমাসে দুটি বিশেষণ ই একসঙ্গে একই ব্যক্তি/ বস্তু তে উপস্থিত বোঝাবে |

যেমন--

কাঁচা অথচ মিঠে = কাঁচামিঠে ( একটি ফল)

আগে ধোয়া পরে মোছা = ধোয়ামোছা ( একটি স্থান )

ই) বিশেষণ + বিশেষ্য ::-

এখানে বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ পূর্বপদ - পরপদ রূপে বসে একই ব্যক্তি / বস্তু কে প্রকাশ করে |

যেমন:-

সাধারণ যে জন = জনসাধারণ

পাণ্ডু ( খসড়া ) যে লিপি = পাণ্ডুলিপি

প্রিয় যে সখা = প্রিয়সখ

Content added By

মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস

111
111

মধ্যপদলোপী কর্মধারয় - যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন, সাহিত্য বিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা, স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ, ব্রাহ্মণ ধর্মীয় প্রধান পুরোহিত = ব্রাহ্মণ পুরোহিত, জগতের রক্ষাকারী ঈশ্বর = জগদীশ্বর ।

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ঘর থেকে ছাড়া -----ঘরছাড়া
অরুণের মতো রাঙা -----অরুণরাঙা
হাসিমাখা মুখ -----হাসিমুখ
ক্ষণ ব্যাপিয়া স্থায়ী -----ক্ষণস্থায়ী
ষষ্ঠী তৎপুরুষ
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
নিমিত্তার্থে চতুর্থী
নিত্য সমাস

উপমিত কর্মধারয় সমাস

91
91

উপমিত কর্মধারয় : সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপমানের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে (এ ক্ষেত্রে সাধারণ গুণটিকে অনুমান করে নেওয়া হয়) এ সমাসে উপমেয় পদটি পূর্বে বসে। যেমন – মুখ চন্দ্রের ন্যায় = চন্দ্রমুখ। পুরুষ সিংহের ন্যায় = সিংহপুরুষ।

Content added By

রূপক কর্মধারয় সমাস

108
108

রূপক কর্মধারয় : উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হলে রূপক কর্মধারয় সমাস হয়। এ সমাসে উপমেয় পদ পূর্বে বসে এবং উপমান পদ পরে বসে এবং সমস্যমান পদে 'রূপ' অথবা ‘ই’ যোগ করে ব্যাসবাক্য গঠন করা হয়। যেমন- ক্রোধ রূপ অনল =ক্রোধানল, বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু, মন রূপ মাঝি= মনমাঝি

আরও কয়েক ধরনের কর্মধারয় সমাস রয়েছে। কখনো কখনো সর্বনাম, সংখ্যাবাচক শব্দ এবং উপসর্গ আগে বসে পরপদের সাথে কর্মধারয় সমাস গঠন করতে পারে। যেমন অব্যয় : কুকর্ম, যথাযোগ্য। সর্বনাম : - সেকাল, একাল। সংখ্যাবাচক শব্দ : একজন, দোতলা। উপসর্গ : বিকাল, সকাল, বিদেশ, বেসুর ।

Content added By

উপমান কর্মধারয় সমাস

93
93

উপমান কর্মধারয় : উপমান অর্থ তুলনীয় বস্তু। প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয় উপমেয়, আর যার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে তাকে বলা হয় উপমান। উপমান ও উপমেয়ের একটি সাধারণ ধর্ম থাকবে। যেমন - ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কেশ = ভ্রমরকৃষ্ণকেশ। এখানে ভ্রমর উপমান এবং কেশ উপমেয়। কৃষ্ণত্ব হলো সাধারণ ধর্ম। সাধারণ ধর্মবাচক পদের সাথে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যথা- তুষারের ন্যায় শুভ্র = তুষারশুভ্র, অরুণের ন্যায় রাঙা = অরুণরাঙা।

Content added By

তৎপুরুষ সমাস

376
376

৩. তৎপুরুষ সমাস

পূর্বপদের বিভক্তির লোপে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।

তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যে কোনো বিভক্তি থাকতে পারে; আর পূর্বপদের বিভক্তি অনুসারে এদের নামকরণ হয়। যেমন বিপদকে আপন্ন= বিপদাপন্ন। এখানে দ্বিতীয়া বিভক্তি ‘কে’ লোপ - পেয়েছে বলে এর নাম দ্বিতীয়া তৎপুরুষ ।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দ্বন্দ্ব সমাস
চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস
প্রাদি সমাস
বহুব্রীহি সমাস
রাজপুত্র
বিয়েপাগল
ছাত্রাবাস
মৃগশিশু
বাগদত্তা ( বাক্ দ্বারা দত্তা )
জীবনবীমা ( জীবন রক্ষার বীমা )
গমনাগমন ( গমন ও আগমন )
নদীমাতৃক ( নদী মাতা যার )

দ্বিতীয়া-তৎপুরুষ

156
156

দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি (কে, রে) ইত্যাদি লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যথা : দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত, বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন ।

ব্যাপ্তি অর্থেও দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন : চিরকাল ব্যাপিয়া সুখী = চিরসুখী। এরকম : গা-ঢাকা, রথদেখা, বীজবোনা, ভাতরাঁধা, ছেলে-ভুলানো (ছড়া), নভেল-পড়া ইত্যাদি । 

Content added By

তৃতীয়া-তৎপুরুষ

95
95

তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলে। যথা : মন দিয়ে গড়া = মনগড়া, শ্রম দ্বারা লব্ধ শ্রমলব্ধ, মধু দিয়ে মাখা= মধুমাখা ।ঊন, হীন, শূন্য প্রভৃতি শব্দ উত্তরপদ হলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যথা : এক দ্বারা উন বিদ্যা দ্বারা হীন = বিদ্যাহীন, জ্ঞান দ্বারা শূন্য = জ্ঞানশূন্য, পাঁচ দ্বারা কম = পাঁচ কম । = একোন,

উপকরণবাচক বিশেষ্য পদ পূর্বপদে বসলেও তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস হয়। যথা : স্বর্ণ দ্বারা মণ্ডিত স্বর্ণমণ্ডিত। এরূপ-হীরকখচিত, চন্দনচর্চিত, রত্নশোভিত ইত্যাদি। =

Content added By

চতুর্থী-তৎপুরুষ

112
112

চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি (কে, জন্য, নিমিত্ত ইত্যাদি) লোপে যে সমাস হয়, তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস বলে । যথা— গুরুকে ভক্তি গুরুভক্তি, আরামের জন্য কেদারা= আরামকেদারা, = বসতের নিমিত্ত বাড়ি= বসতবাড়ি, বিয়ের জন্য পাগলা বিয়েপাগলা ইত্যাদি। এরূপ-ছাত্রাবাস, = ডাকমাশুল, চোষকাগজ, শিশুমঙ্গল, মুসাফিরখানা, হজ্বযাত্রা, মালগুদাম, রান্নাঘর, মাপকাঠি, বালিকা বিদ্যালয়, পাগলাগারদ ইত্যাদি।

Content added By

পঞ্চমী-তৎপুরুষ

149
149

পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদে পঞ্চমী বিভক্তি (হতে, থেকে ইত্যাদি) লোপে যে তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস বলে। যথা খাঁচা থেকে ছাড়া = খাঁচাছাড়া, বিলাত থেকে ফেরত = - বিলাতফেরত ইত্যাদি।

সাধারণত চ্যুত, আগত, ভীত, গৃহীত, বিরত, মুক্ত, উত্তীর্ণ, পালানো, ভ্রষ্ট ইত্যাদি পরপদের সঙ্গে যুক্ত হলে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন : স্কুল থেকে পালানো স্কুলপালানো, জেল থেকে মুক্ত = জেলমুক্ত ইত্যাদি। এ রকম জেলখালাস, বোঁটাখসা, আগাগোড়া, শাপমুক্ত, ঋণমুক্ত ইত্যাদি। কোনো কোনো সময় পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাসের ব্যাসবাক্যে ‘এর’ ‘চেয়ে’ ইত্যাদি অনুসর্গের ব্যবহার হয়। =

যথা— পরাণের চেয়ে প্রিয় পরাণপ্রিয় ৷ = ৫. যষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদে যষ্ঠী বিভক্তির (র, এর) লোপ হয়ে যে সমাস হয়, তাকে যষ্ঠী তৎপুরুষ

সমাস বলে। যথা : চায়ের বাগান = চাবাগান, রাজার পুত্র = রাজপুত্র, খেয়ার ঘাট খেয়াঘাট। অনুরূপভাবে –ছাত্রসমাজ, দেশসেবা, দিল্লীশ্বর, বাঁদরনাচ, পাটক্ষেত, ছবিঘর, ঘোড়দৌড়, শ্বশুরবাড়ি, বিড়ালছানা ইত্যাদি।

Content added By

ষষ্ঠী-তৎপুরুষ

118
118

ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসে ‘রাজা’ স্থলে ‘রাজ’, পিতা, মাতা, ভ্রাতা স্থলে যথাক্রমে ‘পিতৃ’, ‘মাতৃ’, ‘ভ্রাতৃ’ হয় ৷ যেমন গজনীর রাজা = গজনীরাজ, রাজার পুত্র রাজপুত্র, পিতার ধন = পিতৃধন, মাতার সেবা = = মাতৃসেবা, ভ্রাতার স্নেহ = ভ্রাতৃস্নেহ, পুত্রের বধূ=পুত্রবধূ ইত্যাদি।

পরপদে সহ, তুল্য, নিভ, প্রায়, সহ, প্রতিম – এসব শব্দ থাকলেও যষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস হয়। যেমন - পত্নীর সহ =পত্নীসহ, কন্যার সহ কন্যাসহ, সহোদরের প্রতিম সহোদরপ্রতিম / সোদরপ্রতিম = ইত্যাদি ।

৩. কালের কোনো অংশবোধক শব্দ পরে থাকলে তা পূর্বে বসে। যথা- অহ্নের (দিনের) পূর্বভাগ = পূর্বাহ্ণ।

8. পরপদে রাজি, গ্রাম, বৃন্দ, গণ, যূথ প্রভৃতি সমষ্টিবাচক শব্দ থাকলে যষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস হয়। যথা— ছাত্রের বৃন্দ =ছাত্রবৃন্দ, গুণের গ্রাম=গুণগ্রাম, হস্তীর যূথ হস্তীযূথ ইত্যাদি। =

৫. অর্ধ শব্দ পরপদ হলে সমস্তপদে তা পূর্বপদ হয়। যেমন – পথের অর্ধ= অর্ধপথ, দিনের অর্ধ=অর্ধদিন।

৬. শিশু, দুগ্ধ ইত্যাদি শব্দ পরে থাকলে স্ত্রীবাচক পূর্বপদ পুরুষবাচক হয়। যেমন – মৃগীর শিশু মৃগশিশু, = ছাগীর দুগ্ধ = ছাগদুগ্ধ ইত্যাদি।

৭. ব্যাসবাক্যে 'রাজা' শব্দ পরে থাকলে সমস্তপদে তা আগে আসে। যেমন

রাজা = রাজহাঁস।

পথের রাজা=রাজপথ, হাঁসের

Content added By

সপ্তমী-তৎপুরুষ

93
93

সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদে সপ্তমী বিভক্তি (এ, য়, তে ) লোপ হয়ে যে সমাস হয় তাকে সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন : গাছে পাকা = গাছপাকা, দিবায় নিদ্ৰা দিবানিদ্রা। এরূপ - বাকপটু, গোলাভরা, = তালকানা, অকালমৃত্যু, বিশ্ববিখ্যাত, ভোজনপটু, দানবীর, বাক্সবন্দি, বস্তাপচা, রাতকানা, মনমরা ইত্যাদি।

সপ্তমী তৎপুরুষ সমাসে কোনো কোনো সময় ব্যাসবাক্যে পরপদ সমস্তপদের পূর্বে আসে। যেমন - পূর্বে ভূত = ভূতপূর্ব, পূর্বে অশ্ৰুত = অশ্রুতপূর্ব, পূর্বে অদৃষ্ট = অদৃষ্টপূর্ব।

Content added By

উপসর্গ-তৎপুরুষ সমাস (=অব্যয়ীভাব)

119
119
Please, contribute by adding content to উপসর্গ-তৎপুরুষ সমাস (=অব্যয়ীভাব).
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

উপপদ-তৎপুরুষ সমাস

77
77

উপপদ তৎপুরুষ সমাস :

উপপদের সঙ্গে কৃদন্ত পদের সমাসকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে |

 

Content added By

বহুব্রীহি সমাস

297
297

বহুব্রীহি সমাস

যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যথা— বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার = বহুব্রীহি। এখানে ‘বহু’ কিংবা ‘ব্রীহি' কোনোটিরই অর্থের প্রাধান্য নেই, যার বহু ধান আছে এমন লোককে বোঝাচ্ছে।

বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যথা : আয়ত লোচন যার আয়তলোচনা (স্ত্রী), মহান আত্মা যার মহাত্মা, স্বচ্ছ সলিল যার স্বচ্ছসলিলা, নীল বসন যার = নীলবসনা, স্থির প্রতিজ্ঞা যার = স্থিরপ্রতিজ্ঞ, ধীর বুদ্ধি যার = ধীরবুদ্ধি। 

 

‘সহ’ কিংবা ‘সহিত’ শব্দের সঙ্গে অন্য পদের বহুব্রীহি সমাস হলে ‘সহ' ও 'সহিত' এর স্থলে ‘স’ হয়। যেমন : বান্ধবসহ বৰ্তমান সলজ্জ, সকল্যাণ ইত্যাদি। = সবান্ধব, সহ উদর যার সহোদর > সোদর। এরূপ– সজল, সফল, সদৰ্প, 

 

বহুব্রীহি সমাসে পরপদে মাতৃ, পত্নী, পুত্র, স্ত্রী ইত্যাদি শব্দ থাকলে এ শব্দগুলোর সঙ্গে ‘ক’ যুক্ত হয়। যেমন : নদী মাতা (মাতৃ) যার = নদীমাতৃক, বি (বিগত) হয়েছে পত্নী যার = বিপত্নীক। এরূপ -সত্ৰীক, অপুত্রক ইত্যাদি। বহুব্রীহি সমাসে সমস্ত পদে ‘অক্ষি' শব্দের স্থলে ‘অক্ষ' এবং ‘নাভি' শব্দ স্থলে ‘নাভ’ হয়। যেমন : কমলের

ন্যায় অক্ষি যার কমলাক্ষ, পদ্ম নাভিতে যার=পদ্মনাভ। এরূপ – ঊর্ণনাভ ৷

 

বহুব্রীহি সমাসে পরপদে ‘জায়া' শব্দ স্থানে ‘জানি' হয় এবং পূর্বপদের কিছু পরিবর্তন হয়। যেমন : যুবতী জায়া যার = যুবজানি (যুবতী স্থলে ‘যুব’ এবং ‘জায়া' স্থলে জানি হয়েছে)। বহুব্রীহি সমাসে পরপদে ‘চূড়া' শব্দ সমস্ত পদে ‘চূড়’ এবং ‘কর্ম’ শব্দ সমস্ত পদে ‘কর্মা' হয়। যেমন : চন্দ্ৰ চূড়া যার = চন্দ্রচূড়, বিচিত্র কর্ম যার = বিচিত্রকর্মা।

 

বহুব্রীহি সমাসে ‘সমান' শব্দের স্থানে ‘স’ এবং ‘সহ’ হয়। যেমন : সমান কর্মী যে = সহকর্মী, সমান বৰ্ণ

যার = সমবর্ণ, সমান উদর যাদের = সহোদর।

 

বহুব্রীহি সমাসে পরপদে ‘গন্ধ’ শব্দ স্থানে ‘গন্ধি’ বা ‘গন্ধা’ হয়। যথা : সুগন্ধ যার = সুগন্ধি, পদ্মের ন্যায় গন্ধ যার = পদ্মগন্ধি, মৎস্যের ন্যায় গন্ধ যার = মৎস্যগন্ধা।

 

বহুব্রীহি সমাসের প্রকারভেদ

বহুব্রীহি সমাস আট প্রকার : সমানাধিকরণ, ব্যাধিকরণ, ব্যতিহার, নঞ, মধ্যপদলোপী, প্রত্যয়ান্ত সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি। অলুক

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তৎপুরুষ
বহুব্রীহি
কর্মধারয়
অব্যয়ীভাব

সমানাধিকরন বহুব্রীহি

77
77

সমানাধিকরণ বহুব্রীহি

পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য হলে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়। যেমন : হত হয়েছে শ্রী যার = হতশ্রী, খোশ মেজাজ যার খোশমেজাজ। এরকম : হৃতসর্বস্ব, উচ্চশির, পীতাম্বর, নীলকণ্ঠ, জবরদস্তি, = সুশীল, সুশ্রী, বদবত, কমবখ্ত ইত্যাদি ।

Content added By

ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি

147
147

ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি

বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ কোনোটিই যদি বিশেষণ না হয়, তবে তাকে বলে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি । যথা : আশীতে (দাঁতে) বিষ যার = আশীবিষ, কথা সর্বস্ব যার = কথাসর্বস্ব।

পরপদ কৃদন্ত বিশেষণ হলেও ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়। যেমন : দুই কান কাটা যার = দু কানকাটা, বোঁটা খসেছে যার = বোঁটাখসা। অনুরূপভাবে – ছা-পোষা, পা-চাটা, পাতা-চাটা, পাতাছেঁড়া, ধামাধরা ইত্যাদি।

Content added By

মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

74
74

মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

বহুব্রীহি সমাসের ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ যদি সমস্তপদে লোপ পায়, তবে তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে। যেমন : বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর = বিড়ালচোখী, হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে = হাতেখড়ি। এমনি ভাবে – গায়ে হলুদ, মেনিমুখো ইত্যদি। -

Content added By

অলুক বহুব্রীহি

89
89

অলুক বহুব্রীহি

যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না, তাকে অলুক বহুব্রীহি বলে। অলুক বহুব্রীহি সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষণ হয়। যথা : মাথায় পাগড়ি যার মাথায়পাগড়ি, গলায় গামছা যার= গলায়গামছা (লোকটি)। এরূপ হাতে-ছড়ি, কানে কলম, গায়ে-পড়া, হাতে-বেড়ি, মাথায় ছাতা, - মুখে-ভাত, কানে খাটো ইত্যাদি।

Content added By

ব্যাতিহার বহুব্রীহি

185
185

ব্যতিহার বহুব্রীহি

ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়। এ সমাসে পূর্বপদে ‘আ’ এবং উত্তরপদে ‘ই’ যুক্ত হয় । যথা : হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা কানাকানি। এমনি ভাবে – চুলাচুলি, = কাড়াকাড়ি, গালাগালি, দেখাদেখি, কোলাকুলি, লাঠালাঠি, হাসাহাসি, গুঁতাগুঁতি, ঘুষাঘুষি ইত্যাদি।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সমানাধিকরণ বহুব্রীহি
ব্যতিহার বহুব্রীহি
ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

না বহুব্রীহি

88
88

নঞ বহুব্রীহি

বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ (না অর্থবোধক) অব্যয় যোগ করে বহুব্রীহি সমাস করা হলে তাকে নঞ বহুব্রীহি বলে । নঞ বহুব্রীহি সমাসে সাধিত পদটি বিশেষণ হয়। যেমন : ন (নাই) জ্ঞান যার = অজ্ঞান, বে (নাই) হেড যার = বেহেড, না (নাই) চারা (উপায়) যার নাচার। নি (নাই) ভুল যার = নির্ভুল, না = (নয়) জানা যা নাজানা, অজানা ইত্যাদি। এরকম-নাহক, নিরুপায়, নির্ঝঞ্ঝাট, অবুঝ, অকেজো, বে- = পরোয়া, বেহুঁশ, অনন্ত, বেতার ইত্যাদি।

Content added By

সহার্থক বহুব্রীহি

102
102

সহার্থক বহুব্রীহি সমাস :

পূর্বপদ বিশেষ্যের সঙ্গে, সহার্থক পরপদের বহুব্রীহি সমাসকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে |

যেমন:--

শ্রদ্ধার সহিত বর্তমান= সশ্রদ্ধ

প্রতিভার সহিত বর্তমান= সপ্রতিভ

বেগের সহিত বর্তমান = সবেগ

চকিতের সহিত বর্তমান= সচকিত

** পূর্বপদ যদি বিশেষণ হয় , তবে তা সহার্থক বহুব্রীহি হয় না |

Content added || updated By

দ্বিগু সমাস

141
141

যে সমাসে সমস্যমান পদসমূহে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণ হয় এবং উত্তর পদ বিশেষ্য থাকে তাকে দ্বিগু সমাস বলে। অথবা সমাহার বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদে যে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাস সর্বদা সমাহার বা সমষ্টি বোঝায়।

লক্ষনীয়ঃ পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকলে, ওই শব্দ দিয়ে যদি সমাহার বা সমষ্টি  না বোঝায়  এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য না পায়, তবে তা দ্বিগু সমাস নয়। অর্থের দিক থেকে দ্বিগু সমাসে পরপদের অর্থই  প্রধান। 

সমাসবদ্ধ শব্দটির বিশেষণ হলে বা পূর্বপদ ও পরপদের অর্থ প্রাধান্য না পেয়ে তৃতীয় কোনো অর্থ প্রাধান্য পেলে তা হবে বহুব্রীহি সমাস।  যেমনঃ তে (তিন)  পায়া যায় = তেপায়া; দোনলা, ত্রিনয়ন

উভয় পদের অর্থ প্রদান হলে তা হবে দ্বন্দ্ব সমাস।  যেমনঃ সাতপাঁচ।

সমষ্টি বা সমাহার না বুঝিয়ে পরপদের অর্থ প্রধান হলেন কর্মধারায় সমাস হয়। যেমনঃ চতুর্দোলা।

দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায়

দ্বিগু সমাসে সাধারণত প্রথম পদটি সংখ্যাবাচক হয় এবং পর পদটি হবে বিশেষ্য।

সমস্তপদটি দ্বারা সমষ্টি বা সমাহার বোঝায় এবং সমস্তপদটি বিশেষ্য পদ হয়। যেমনঃ তে (তিন) মাথার সমাহার = তেমাথা,  নব (নয় ) রত্নের সমাহার = নবরত্ন ইত্যাদি। 

দ্বিগু সমাস কখনো অ-কারান্ত হলে আ-কারান্ত হলে বা ই-কারান্ত হয়। যেমনঃ শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী। এ রুপ - ত্রিপদী, পঞ্চনদ (নদী নয়)।

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

আপাদমস্তক
রুই কাতলা
একরোখা
কোনোটিই নয়
দম্পতি
ক্রোধানল
ষড়ঋতু
তৈলাক্ত
কোনোটিই নয়

অব্যয়ীভাব সমাস (উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস)

132
132

অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে

পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অব্যয়ীভাব সমাসে অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। যেমনঃ

জানু পর্যন্ত লম্বিত (পর্যন্ত শব্দের অব্যয় "আ") = আজানুলম্বিত (বাহু)

মরণ পর্যন্ত = আমরণ।

সামীপ্য, বিপ্সা (পুনঃ পুনঃ অর্থে), অভাব, পর্যন্ত, সাদৃশ্য, অনতিক্রম্যতা, পশ্চাৎ, যােগ্যতা ইত্যাদি অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। “অব্যয়” কথা থেকেই ‘অব্যয়ীভাব’ শব্দ এসেছে। ‘অব্যয়ীভাব’ মানে যা পূর্বে অব্যয় ছিল না, তার অব্যয় রূপ ধারণ।

Content added By

নিত্য সমাস

224
224

নিত্যসমাস : যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না, তাকে নিত্যসমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়। যেমন : অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, কেবল দর্শন দর্শনমাত্র, অন্য গৃহ = গৃহান্তর, (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল = বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ, তুমি আমি ও সে = আমরা, দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

নিত্য সমাস
দ্বন্দ্ব সমাস
বহুব্রীহি সমাস
কর্মধারয় সমাস

অলোপ সমাস

102
102

অলোপ / অলুক সমাস 

সমাসবদ্ধ পদ গঠনের পরও যে সমস্ত সমাসে , পূর্বপদের বিভক্তিচিহ্নের কোনো লোপ ঘটে না, তাকে অলোপ বা অলুক সমাস বলে |

** 'লুক' কথার অর্থ হল 'লোপ' |

যেমন--

মনের মানুষ = মনের মানুষ ( বিভক্তির লোপ হয়নি ) |

 

Content added || updated By

উপপদ সমাস

291
291

উপপদ কাকে বলে?

কৃদন্ত পদের পূর্ববর্তী পদকে ব্যাকরণে উপপদ বলে। যেমন - জলচর পদের 'চর' (অর্থাৎ চরা) কৃদন্ত পদটির পূর্বপদ 'জল' পদটি হল উপপদ।

উদাহরণ--

পঙ্কে জন্মে যে =পঙ্কজ

মুখে থাকে যা =মুখস্থ

গণিত জানেন যিনি =গণিতজ্ঞ

দিবাকর = দিবা করে যে । 

জলচর = জলে চরে যে । 

সূত্রধর = সূত্র ধরে যে । 

খেচর = খ-তে(আকাশে) চরে যে । 

বিজ্ঞ = বিশেষভাবে জানেন যিনি । 

পাদপ = পা দিয়ে পান করে যে । 

শুভদা = শুভ দান করে যে । 

অভ্রভেদী = অভ্র ভেদ করে যে । 

পঙ্কজ = পঙ্কে জন্মে যা । 

ইন্দ্রজিৎ = ইন্দ্রকে জয় করিয়াছে যে । 

যাদুকর = যাদু করে যে । 

নীরদ = নীর দান করে যে । 

মধুকর = মধু করে যে । 

বসুন্ধরা = বসু(ধন) ধরে যে । 

গুপ্তচর = গুপ্তভাবে চরে যে । 

সারদা = সার দেন যে দেবী । 

নৃপ = নৃ(নরগনকে) পালন করেন যিনি ।

সহজ = সহ(সঙ্গে সঙ্গে) জন্মে যাহা ।

রসজ্ঞ = রস জানেন যিনি । 

একদেশদর্শী = এক দেশ দেখে যে । 

মনোমোহী = মনকে মহীত করে যে । 

গোপ = গোপালন করে যে ।   

একান্নবর্তী = একান্নে বর্তন করে যে । 

মুখস্থ = মুখে থাকে যে । 

বরদ = বর দান করেন যিনি । 

পয়োধর = পয়ঃ ধারন করে যে । 

পত্রচর = পত্রে পত্রে চরে যে । 

রুচিকর = রুচি করে যে । 

সব্যসাচী = সব্য দারা সচন করেন যিনি । 

মলয়জ = মলয়ে জন্মে যে । 

বোলধরা = বোল ধরিয়াছে যে । 

কাঠঠোকরা = কাঠে ঠোকরায় যে । 

ডানপিতে = ডান্ডা পিটিয়া থাকে যে । 

মনোলোভা = মন লুব্ধ করে যে । 

পুঁথিপড়ো = পুঁথি পড়ে যে । 

দুনিয়াজোড়া = দুনিয়া জুড়ে থাকে যে । 

কুলমজানী = কুল মজায় যে নারী ।

পথিকৃৎ = পথ করেন যিনি । 

পেশকার = পেশ করে যে । 

গিরিশ = গিরিতে শয়ন করেন যিনি । 

ছেলেধরা = ছেলে ধরে যে । 

পকেটমার = পকেট মারে যে । 

বর্ণচোরা = বর্ণ চুরি করে যে । 

মিথ্যাবাদী = মিথ্যা বলে যে । 

বিহগ = বিহায়সে(আকাশে) গমন করে যে। 

শত্রুঘ্ন = শত্রুকে বধ করে যে । 

দ্বিপ = দ্বি(দুইয়ের দ্বারা) পান করে যে । 

পারদর্শী = পার(সীমা) দর্শন করে যে । 

হৃদয়হরন = হৃদয় হরন করে যে । 

ভূমিষ্ঠ = ভূমিতে থাকে যে । 

পাসকরা = পাস করিয়াছে যে ।

Content added By

প্রাদি সমাস

397
397

প্রাদি সমাস : প্র, প্রতি, অনু প্রভৃতি অব্যয়ের সঙ্গে যদি কৃৎ প্রত্যয় সাধিত বিশেষ্যের সমাস হয়, তবে তাকে বলে প্রাদি সমাস। যথা : প্র (প্রকৃষ্ট ) যে বচন = প্রবচন। এরূপ –পরি (চতুর্দিকে) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ, অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ =অনুতাপ, প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) ভাত (আলোকিত) ) প্রভাত, প্ৰ (প্ৰকৃষ্ট = রূপে) গতি = প্রগতি ইত্যাদি।

 

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পুরুষসিংহ
কাপুরুষ
হাটবাজার
প্রবচন
কোনোটিই নয়

বাক্যাশ্রয়ী সমাস

123
123

বাক্যাশ্রয়ী সমাস 

কোনো বাক্য বা বাক্যখণ্ড কে সুসংহতরূপে একটি শব্দে পরিণত করে, তাকে বিশেষ্য / বিশেষণের রূপ দিলে অথবা কোনো সমাসবদ্ধ পদকে আশ্রয় করে, একটি বাক্যের অর্থ প্রকাশ পেলে , তাকে বাক্যাশ্রয়ী সমাস বলে |

উদাহরণ :---

গল্পকে বলা (কর্ম তৎপুরুষ), তার প্রতিযোগিতা (সম্বন্ধ তৎপুরুষ) = গল্পবলা-প্রতিযোগিতা

সবুজকে বাঁচাও (কর্ম তৎপুরুষ) , তার জন্য কমিটি (নিমিত্ত তৎপুরুষ) = সবুজ-বাঁচাও-কমিটি

 

Content added By

দ্বিরুক্ত শব্দ/শব্দদ্বিত্ব

618
618

দ্বিরুক্ত অর্থ দুবার উক্ত হয়েছে এমন। বাংলা ভাষায় কোনো কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ, একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলো দুইবার ব্যবহার করলে অন্য কোনো সম্প্রসারিত অর্থ প্রকাশ করে। এ ধরনের শব্দের পরপর দুইবার প্রয়োগেই দ্বিরুক্ত শব্দ গঠিত হয়। যেমন— ‘আমার জ্বর জ্বর লাগছে। ' অর্থাৎ ঠিক জ্বর নয়, জ্বরের ভাব অর্থে এই প্রয়োগ

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শব্দের দ্বিরুক্তি বা শব্দদ্বৈত

115
115

ক) শব্দের দ্বিরুক্তি

১. একই শব্দ দুইবার ব্যবহার করা হয় এবং শব্দ দুটি অবিকৃত থাকে। যথা— ভালো ভালো ফল, ফোঁটা ফোঁটা পানি, বড় বড় বই ইত্যাদি।

২. একই শব্দের সঙ্গে সমার্থক আর একটি শব্দ যোগ করে ব্যবহৃত হয়। যথা— ধন-দৌলত, খেলা- ধুলা, লালন-পালন, বলা-কওয়া, খোঁজ-খবর ইত্যাদি। ৩. দ্বিরুক্ত শব্দ—জোড়ার দ্বিতীয় শব্দটির আংশিক পরিবর্তন হয়। যেমন— মিট-মাট, ফিট-ফাট, বকা-

ঝকা, তোড়জোড়, গল্প-সল্প, রকম-সকম ইত্যাদি ।

৪. সমার্থক বা বিপরীতার্থক শব্দ যোগে। যেমন— লেন-দেন, দেনা-পাওনা, টাকা-পয়সা, ধনী-গরিব,

আসা-যাওয়া ইত্যাদি।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পদের দ্বিরুক্তি বা পদদ্বৈত

246
246

পদের দ্বিরুক্তি

১. দুটি পদে একই বিভক্তি প্রয়োগ করা হয়, শব্দ দুটি ও বিভক্তি অপরিবর্তিত থাকে। যেমন— ঘরে ঘরে লেখাপড়া হচ্ছে। দেশে দেশে ধন্য ধন্য করতে লাগল। মনে মনে আমিও এ কথাই ভেবেছি।

২. দ্বিতীয় পদের আংশিক ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে, কিন্তু পদ-বিভক্তি অবিকৃত থাকে। যেমন— চোর হাতে নাতে ধরা পড়েছে। আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে ।

পদের দ্বিরুক্তির প্রয়োগ

(ক) বিশেষ্য শব্দযুগলের বিশেষণরূপে ব্যবহার

১. আধিক্য বোঝাতে : রাশি রাশি ধন, ধামা ধামা ধান ৷

২. সামান্য বোঝাতে  :আমি আজ জ্বর জ্বর বোধ করছি।

৩. পরস্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে  :তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ। তুমি বাড়ি বাড়ি হেঁটে চাঁদা তুলেছ।

৪. ক্রিয়া বিশেষণ: ধীরে ধীরে যায়, ফিরে ফিরে চায়।

৫. অনুরূপ কিছু বোঝাতে : তার সঙ্গী সাথী কেউ নেই ৷

৬. আগ্রহ বোঝাতে: ও দাদা দাদা বলে কাঁদছে।

(খ) বিশেষণ শব্দযুগলের বিশেষণ রূপে ব্যবহার

১. আধিক্য বোঝাতে: ভালো ভালো আম নিয়ে এসো। ছোট ছোট ডাল কেটে ফেল।

২. তীব্রতা বা সঠিকতা বোঝাতে : গরম গরম জিলাপি, নরম নরম হাত

৩. সামান্যতা বোঝাতে: উড়ু উড়ু ভাব; কালো কালো চেহারা ।

(গ) সর্বনাম শব্দ

বহুবচন বা আধিক্য বোঝাতে: কে কে এলো? কেউ কেউ বলে।

(ঘ) ক্রিয়াবাচক শব্দ

১. বিশেষণ রূপে : এদিকে রোগীর তো যায় যায় অবস্থা। তোমার নেই নেই ভাব গেল না ।

২. স্বল্পকাল স্থায়ী বোঝাতে: দেখতে দেখতে আকাশ কালো হয়ে এলো।

৩. ক্রিয়া বিশেষণ : দেখে দেখে যেও। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শুনলে কীভাবে?

৪. পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে: ডেকে ডেকে হয়রান হয়েছি।

(ঙ) অব্যয়ের দ্বিরুক্তি

১. ভাবের গভীরতা বোঝাতে : তার দুঃখ দেখে সবাই হায় হায় করতে লাগল। ছি ছি, তুমি কী করেছ?

২. পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে : বার বার সে কামান গর্জে উঠল।

৩. অনুভূতি বা ভাব বোঝাতে: ভয়ে গা ছম ছম করছে। ফোঁড়াটা টন টন করছে।

৪. বিশেষণ বোঝাতে পিলসুজে বাতি জ্বলে মিটি মিটি ।

৫. ধ্বনিব্যঞ্জনা:ঝির ঝির করে বাতাস বইছে। বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।

যুগ্মরীতিতে দ্বিরুক্ত শব্দের গঠন

একই শব্দ ঈষৎ পরিবর্তন করে দ্বিরুক্ত শব্দ গঠনের রীতিকে বলে যুগ্মরীতি। যুগ্মরীতিতে দ্বিরুক্ত গঠনের কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যেমন-

১. শব্দের আদি স্বরের পরিবর্তন করে: চুপচাপ, মিটমাট, জারিজুরি।

২. শব্দের অন্ত্যস্বরের পরিবর্তন করে: মারামারি, হাতাহাতি, সরাসরি, জেদাজেদি।

৩. দ্বিতীয়বার ব্যবহারের সময় ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তনে : ছটফট, নিশপিশ, ভাতটাত ৷

৪. সমার্থক বা একার্থক সহচর শব্দ যোগে: চালচলন, রীতিনীতি, বনজঙ্গল, ভয়ডর।

৫. ভিন্নার্থক শব্দ যোগে: ডালভাত, তালাচাবি, পথঘাট, অলিগলি।

৬. বিপরীতার্থক শব্দ যোগে: ছোট-বড়, আসা–যাওয়া, জন্ম-মৃত্যু, আদান-প্রদান ৷

Content added By

ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি

188
188

ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি

কোনো কিছুর স্বাভাবিক বা কাল্পনিক অনুকৃতিবিশিষ্ট শব্দের রূপকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। এ জাতীয় ধ্বন্যাত্মক শব্দের দুইবার প্রয়োগের নাম ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি। ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি দ্বারা বহুত্ব, আধিক্য ইত্যাদি বোঝায়। ধ্বন্যাত্মক দ্বিরক্ত শব্দ কয়েকটি উপায়ে গঠিত হয়। যেমন-

১. মানুষের ধ্বনির অনুকার ভেউ ভেউ – মানুষের উচ্চস্বরে কান্নার ধ্বনি। এরূপ –ট্যা ট্যা, হি হি ইত্যাদি ।

২. জীবজন্তুর ধ্বনির অনুকার : ঘেউ ঘেউ (কুকুরের ধ্বনি)। এরূপ-মিউ মিউ (বিড়ালের ডাক), কুহু কুহু (কোকিলের ডাক), কা কা (কাকের ডাক) ইত্যাদি।

৩. বস্তুর ধ্বনির অনুকার : ঘচাঘচ (ধান কাটার শব্দ)। এরূপ-মড়মড় (গাছ ভেঙে পড়ার শব্দ) ঝমঝম (বৃষ্টি পড়ার শব্দ), হু হু (বাতাস প্রবাহের শব্দ) ইত্যাদি।

৪. অনুভূতিজাত কাল্পনিক ধ্বনির অনুকার: ঝিকিমিকি (ঔজ্জ্বল্য)। এরূপ— ঠা ঠা (রোদের তীব্রতা), কুট কুট (শরীরে কামড় লাগার মতো অনুভূতি)। অনুরূপভাবে— মিন মিন, পিট পিট, ঝি ঝি ইত্যাদি।

ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি গঠন

১. একই (ধ্বন্যাত্মক) শব্দের অবিকৃত প্রয়োগ : ধক ধক, ঝন ঝন, পট পট।

২. প্রথম শব্দটির শেষে আ যোগ করে : গপাগপ, টপাটপ, পটাপট ।

৩. দ্বিতীয় শব্দটির শেষে ই যোগ করে: ধরাধরি, ঝমঝমি, ঝনঝনি ।

৪. যুগ্মরীতিতে গঠিত ধ্বন্যাত্মক শব্দ : কিচির মিচির (পাখি বা বানরের শব্দ), টাপুর টুপুর

(বৃষ্টি পতনের শব্দ), হাপুস হুপুস (গোগ্রাসে কিছু খাওয়ার শব্দ)।

৫. আনি-প্রত্যয় যোগেও বিশেষ্য দ্বিরুক্ত গঠিত হয় : পাখিটার ছটফটানি দেখলে কষ্ট হয়। তোমার বকবকানি আর ভালো লাগে না ।

বিভিন্ন পদরূপে ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্ত শব্দের ব্যবহার

১. বিশেষ্য: বৃষ্টির ঝমঝমানি আমাদের অস্থির করে তোলে।

২. বিশেষণ: ‘নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়। ’

৩. ক্রিয়া :কলকলিয়ে উঠল সেথায় নারীর প্রতিবাদ ।

৪. ক্রিয়া বিশেষণ : ‘চিকচিক করে বালি কোথা নাহি কাদা

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পুরুষ বা পক্ষ

243
243

পুরুষ একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ হলো ক্রিয়ার আশ্রয়। ব্যাকরণে এর সাথে স্ত্রী – পুরুষ লিঙ্গবেধে কোন সম্পর্ক নেই। ব্যাকরণের মতে, বিশ্বের সব ব্যক্তি বা বস্তু কোন না কোন ভাবে পুরুষ। যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পাদিত হয়, ব্যাকরণে তাকে পুরুষ বলে। সাধারণত বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সর্বনামগুলো দ্বারায় বিভিন্ন পুরুুষ বোঝায়। যেমন- আমি, তুমি, সে ইত্যাদি।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শওকত ওসমান
জহির রায়হান
শহীদুল্লাহ কায়সার
রশীদ করিম
শওকত ওসমান
জহির রায়হান
শহীদুল্লাহ কায়সার
রশীদ করিম
২ প্রকার
৩ প্রকার
৪ প্রকার
৫ প্রকার
কোনটিই নয়

উত্তম পুরুষ

96
96

প্রথম / উত্তম পুরুষঃ ব্যক্তা নিজের নামের পরিবর্তে যে সর্বনাম ব্যবহার করে অর্থাৎ, যে পদ দ্বারা উত্তম পুরুষ অর্থাৎ বক্তা নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে আমি, আমরা, আমাকে, আমাদের, আমার ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে, তাকে প্রথম / উত্তম পুরুষ বলে।

অর্থাৎ, স্বয়ং বক্তাই উত্তম পুরুষ। যেমন – আমি, আমরা, আমাদের, আমার।

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

শওকত ওসমান
জহির রায়হান
শহীদুল্লাহ কায়সার
রশীদ করিম
শওকত ওসমান
জহির রায়হান
শহীদুল্লাহ কায়সার
রশীদ করিম
আলাউদ্দিন আল আজাদ
শওকত ওসমান
রশীদ করিম
মাহমুদুল হক
রশীদ করিম
শওকত ওসমান
আবু জাফর শামসুদ্দীন
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

মধ্যম পুরুষ

83
83

দ্বিতীয় / মধ্যম পুরুষঃ বাক্যের বক্তা কর্তাকে সম্বোধন করতে যেসব সম্বোধনবাচক শব্দ ব্যবহার করে তাকে, দ্বিতীয় / মধ্যম পুরুষ বলে।

কাউকে কিছু বলবার সময় বক্তা সেই শ্রোতার পরিবর্তে যে সর্বনাম ব্যবহার করে তাকে মধ্যম পুরুষ বলে। এক কথায় বলা যায়, প্রত্যক্ষপরোক্ষভাবে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি বা শ্রোতাকে মধ্যম পুরুষ বলা হয়।

যেমন – তুমি, তোমরা, তোমাকে, তোমার, তোমাদের, আপনি, আপনারা, তুই, তোকে ইত্যাদি।

মধ্যম পুরুষকে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো –

সাধারণ মধ্যম পুরুষ (যেমন- তুমি, তোমরা, তোমাদের, তোমাকে ইত্যাদি)

সম্মানসূচক মধ্যম পুরুষ (যেমন- আপনি, আপনারা, আপনাকে, আপনাদের)

অবজ্ঞাসূচক মধ্যম পুরুষ (যেমন- তুই, তোরা, তোকে)

Content added By

নাম পুরুষ বা প্রথম পুরুষ

332
332

তৃতীয় / নাম পুরুষঃ আমি বাচক ও তুমি বাচক পদ ব্যতীত অন্য সব বিশেষ্য পদ ও সর্বনাম পদকে তৃতীয় / নাম পুরুষ বলে। অর্থাৎ, অনুপস্থিত পরোক্ষভাবে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীই নাম পুরুষ

যেমন – সে, তারা, তার, তিনি, তাহারা ইত্যাদি।

Content added By

বচন

387
387

বচন অর্থ সংখ্যার ধারণা । যা দ্বারা সংখ্যা বুঝায় , তাকে বচন বলে । বচন দু " প্রকার । যথা- একবচন (Singular Number)বহুবচন (Plural Number)

একবচন:- যে বচন দ্বারা একটি মাত্র ব্যক্তি , প্রাণী বা বস্তুকে বুঝায় , তাকে একবচন বলে । যেমন — একটি গরু । একজন ছাত্র । একটি টাকা ।

( ক ) সাধারণত ' এক ’ শব্দ যােগে একবচন নির্দেশ করা হয় । তবে এর সাথে টি , টা , খানা , খানি , থান , গাছি ইত্যাদি প্রত্যয় যােগ করেও একবচন নির্দেশ করা হয় । যেমন একটি কলম । কলমটি । বইখানা । গামছাখানা । চুড়িগাছি ইত্যাদি । আবার শব্দের মূল রূপটি দ্বারাও একবচন বুঝায় । যেমন — গরু , মানুষ , ফল , ফুল ইত্যাদি ।

( খ ) এক বচনে বিভক্তি যােগেও এক বচন বুঝানাে হয় । যেমন – ভাইকে , পিতাকে , মাতাকে ইত্যাদি।

বহুবচন:- যে বচন দ্বারা একের অধিক ব্যক্তি বা বস্তুকে বুঝায় , তাকে বহুবচন বলে । যেমন — দু'জন বালক , দশটি গরু , শিশুরা , ছাত্রগণ , বইগুলাে , বৃক্ষরাজি , শিক্ষকবৃন্দ , সম্পাদকমণ্ডলী ইত্যাদি ।

একবচন হতে বহুবচন করার বিবিধ উপায়

( ১ ) একবচন শব্দের সঙ্গে রা , এরা , গুলাে , গুলি , গণ , বৃন্দ , দিগকে , দেরকে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত করলে বহুবচন বুঝায় । যেমন-

রা- ছাত্ররা , ধনীরা , গরীবেরা , পাখীরা ইত্যাদি ।
এরা- মানুষেরা , মায়েরা , ঝিয়েরা , বড়লােকেরা ইত্যাদি ।
গুলি- প্রাণীবাচক ও অপ্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয় । যেমন- লােকগুলি , আমগুলি , টাকাগুলি ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য- ‘গুলাে' চলতি ভাষায় ব্যবহৃত হয় । যেমন- টাকাগুলাে দিয়ে দাও । মাছগুলাে নিয়ে এস । বইগুলাে আন।

উন্নত প্রাণীবাচক শব্দে ব্যবহৃত বহুবচন

গণ- শিশুগণ , জনগণ , দেবগণ , নর - নারীগণ ইত্যাদি ।
বৃন্দ- শিক্ষকবৃন্দ , ভক্তবৃন্দ , সুধীবৃন্দ , অতিথিবৃন্দ ইত্যাদি ।
মণ্ডলী- শিক্ষকমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী , অভিভাবকমণ্ডলী ইত্যাদি ।
বর্গ- ছাত্রবর্গ , পণ্ডিতবর্গ , প্রজাাবর্গ , রাজন্যবর্গ ইত্যাদি ।

প্রাণীবাচক ও অপ্রাণীবাচক শব্দে ব্যবহৃত বহুবচন

কুল- পক্ষিকুল , মাতৃকুল , কবিকুল , কৃষককুল ইত্যাদি ।
সকল- মনুষ্য সকল , পর্বত সকল , লােক সকল ইত্যাদি ।
নিচয়- পৰ্বত নিচা কুসুম নিচয় , বৃক্ষ নিচয়া ইত্যাদি ।
সব- ভাইসব , পাখীসব , নথিস ইত্যাদি ।
সমূহ- বৃক্ষসমূহ , পর্বতসমূহ , নদীসমূহ , গ্রামসমূহ ইত্যাদি ।
মহল- ছাত্রমহল , রাজনৈতিকমহল , বুদ্ধিজীবীমহল , সাহিত্যিকমহল ইত্যাদি ।

কেবল অপ্রাণীবাচক শব্দে ব্যবহৃত বহুবচন

মালা - পর্বতমালা , তরঙ্গমালা ইত্যাদি ।
রাজি - বৃক্ষরাজি , তারকারাজি ইত্যাদি ।
পুঞ্জ – মেঘপুঞ্জ , নক্ষত্রপুঞ্জ , দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি ।
গুচ্ছ - কবিতাগুচ্ছ , ফুলগুচ্ছ , গল্পগুচ্ছ ইত্যাদি ।
দাম - কেশদাম , শৈবালদাম ইত্যাদি ।
রাশি - বালুকারাশি , আবর্জনারাশি ইত্যাদি ।
বলী - পুস্তকাবলী , গুণাবলী , রত্নাবলী ইত্যাদি ।
বিঃ দ্রঃ – পাল ও যুথ কেবল জন্তুর বহুবচনে ব্যবহৃত হয় । যেমন- গরুরপাল , হস্তিযুথ ইত্যাদি ।
যেমন — রাখাল গরুরপাল নিয়ে যাচ্ছে । হস্তিযুথ ফসল নষ্ট করেছে ।

( ২ ) একবচন শব্দের পূর্বে বহুত্ববােধক শব্দ বসিয়ে বহুবচন করা যায় । যেমন — বহু লােক , অনেক ছাত্র , বিস্তর টাকা , নানা কথা , অসংখ্য বাড়ী , অজস্র মানুষ , ঢের খরচ ।

( ৩ ) শব্দের পূর্বে একই বিশেষণ দু'বার ব্যবহার করে বহুবচন করা হয় । যেমন - বড় বড় গাছ , কচি কচি পাতা , লাল লাল ফুল , সাদা সাদা মেঘ , উঁচু উঁচু পাহাড় , কাড়ি কাড়ি লাউ ।

( ৪ ) সংখ্যাবাচক বিশেষণ যােগ করেও বহুবচন গঠন করা যায় । যেমন — দশটি আম , পাঁচশত টাকা , এক হাজার লােক , পনর কেজি চাউল ।

( ৫ ) সর্বনাম পদ দু'বার ব্যবহার করে বহুবচন করা যায় । যেমন – কি কি বই , যে যে বালক , যেখানে যেখানে দরকার , সেই সেই দোকান ইত্যাদি ।

( ৬ ) বিশেষ্য পদ দু’বার ব্যবহার করেও বহুবচন গঠন করা হয় । যেমন- মাঠে মাঠে ধান , ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী , ঘরে ঘরে উৎসৰ , চুলে চুলে মারামারি ইত্যাদি ।

( ৭ ) ক্রিয়াপদের দু’বার প্রয়ােগেও বহুবচন হয় । যেমন— খেটে খেটে মরছি । বলে বলে হানা হলাম ।

( ৮ ) বিশেষ্য পদে একবচনে ব্যবহারেও অনেক সময় বহুবচন বুঝায় । যেমন — বাঘ বনে থাকে । ( একবচন ও বহুবচন দুই - ই বুঝাচ্ছে ) । মাছের বাজারে লােক জমেছে ( বহু লোক ) । বাগানে ফুল ফুটেছে ( বহু ফুল ) ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য একই সাথে দু'বার বহুবচনবাচক প্রত্যায় বা শব্দের ব্যবহার অশুদ্ধ।যেমন

অশুদ্ধ — সব শিক্ষকেরাই উপস্থিত ছিলেন ।
শুদ্ধ — সব শিক্ষকই উপস্থিত ছিলেন ।
অশুদ্ধ - সব মানুষেরাই মরণশীল ।
শুদ্ধ — সব মানুষ মরণশীল , অথবা মানুষ মরণশীল , অথবা মানুষেরা মরণশীল ।

এইরূপে , এখানে যাবতীয় দ্রব্যসমূহ পাওয়া যায় । এই বাক্য অশুদ্ধ , কিন্তু এখানে যাবতীয় দ্রব্য পাওয়া যায় । এটা শুদ্ধ বাক্য । কেননা যাবতীয় ও সমূহ উভয়ই বহুবচনবাচক শব্দ । তদ্রুপ , অন্যান্য পণ্ডিত ব্যক্তিগণ এ মত পােষণ করেন - এটা ভুল , কিন্তু অন্যান্য পণ্ডিত ব্যক্তি এ মত পােষণ করেন- এটা শুদ্ধ ।

 

Content added By
Content updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বিশেষণ
প্রত্যয়
বহুবচনবাচক শব্দ
পদাশ্রিত নির্দেশক
সাহেবান
সাহেবগণ
সাহেবকুল
সাহেবমণ্ডলী
মানুষ মরণশীল
রচনাবলি দিও
শিক্ষক পড়াচ্ছেন
লোকে বলে

বিশেষ্য ও বিশেষণ

বিশেষণ ও ক্রিয়া

বিশেষ্য ও বিশেষ্য

বিশেষণ ও বিশেষণ

একবচন

121
121

একবচন : যে শব্দ দ্বারা কোনো প্রাণী, বস্তু বা ব্যক্তির একটিমাত্র সংখ্যার ধারণা হয়, তাকে একবচন বলে।

যেমন – সে এলো। মেয়েটি স্কুলে যায়নি

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মানুষ মরণশীল
রচনাবলি দিও
শিক্ষক পড়াচ্ছেন
লোকে বলে
মানুষ মরণশীল
লোকে বলে
ডাক্তার রোগী দেখছে
বনে বাঘ বাস করে
মানুষ মরণশীল
লোকে বলে
ডাক্তার রোগী দেখছে
বনে বাঘ বাস করে
মেয়েটি
একজন কবি
একটি জীবন
বড়ো বড়ো গাছ

বহুবচন

161
161

বহুবচন : যে শব্দ দ্বারা কোনো প্রাণী, বস্তু বা ব্যক্তির একের অধিক অর্থাৎ বহু সংখ্যার ধারণা হয়, তাকে বহু বচন বলে। যেমন : তারা গেল। মেয়েরা এখনও আসেনি।

কেবলমাত্র বিশেষ্য ও সর্বনাম শব্দের বচনভেদ হয়। কোনো কোনো সময় টা, টি, খানা, খানি ইত্যাদি যোগ করে বিশেষ্যের একবচন নির্দেশ করা হয়। যেমন – গরুটা, বাছুরটা, কলমটা, খাতাখানা, বইখানি ইত্যাদি ।

বাংলায় বহুবচন প্রকাশের জন্য রা, এরা, গুলা, গুলি, গুলো, দিগ, দের প্রভৃতি বিভক্তি যুক্ত হয় এবং সব, সকল, সমুদয়, কূল, বৃন্দ, বর্গ, নিচয়, রাজি, রাশি, পাল, দাম, নিকর, মালা, আবলি প্রভৃতি সমষ্টিবোধক শব্দ ব্যবহৃত হয়। সমষ্টিবোধক শব্দগুলোর বেশিরভাগই তৎসম বা সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত ৷

প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক এবং ইতর প্রাণিবাচক ও উন্নত প্রাণিবাচক শব্দভেদে বিভিন্ন ধরনের বহু বচনবোধক

প্রত্যয় ও সমষ্টিবোধক শব্দ যুক্ত হয়। যেমন-

(ক) রা–কেবল উন্নত প্রাণিবাচক শব্দের সঙ্গে ‘রা’ বিভক্তির ব্যবহার পাওয়া যায়। যেমন- ছাত্ররা খেলা দেখতে গেছে। তারা সকলেই লেখাপড়া করে। শিক্ষকেরা জ্ঞান দান করেন।

যে ধরনের শব্দে ‘রা' যুক্ত, সে ধরনের শব্দের শেষে কোনো কোনো সময় ‘এরা' ব্যবহৃত হয়। যেমন মেয়েরা ঝিয়েরা একত্র হয়েছে। সময় সময় কবিতা বা অন্যান্য প্রয়োজনে অপ্রাণী ও ইতর প্রাণিবাচক শব্দেও রা, এরা যুক্ত হয়। যেমন – ‘পাখিরা আকাশে উড়ে দেখিয়া হিংসায় পিপীলিকারা বিধাতার কাছে পাখা চায়।” কাকেরা এক বিরাট সভা করল। -

(খ) গুলা, গুলি, গুলো প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে যুক্ত হয়। যেমন – অতগুলো কুমড়া দিয়ে কী হবে? আমগুলো টক। টাকাগুলো দিয়ে দাও। ময়ূরগুলো পুচ্ছ নাড়িয়ে নাচছে।

(ক) উন্নত প্রাণিবাচক মনুষ্য শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ

গণ :দেবগণ, নরগণ, জনগণ ইত্যাদি ।

বৃন্দ : সুধীবৃন্দ, ভক্তবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ইত্যাদি ৷

মণ্ডলী: শিক্ষকমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ইত্যাদি।

বর্গ: পণ্ডিতবর্গ, মন্ত্রিবর্গ ইত্যাদি।

(খ) প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দে বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ

কুল : কবিকুল, পক্ষিকুল, মাতৃকুল, বৃক্ষকুল ইত্যাদি।

সকল: পর্বতসকল, মনুষ্যসকল ইত্যাদি।

সব : ভাইসব, পাখিসব ইত্যাদি।

সমূহ: বৃক্ষসমূহ, মনুষ্যসমূহ ইত্যাদি।

(গ) অপ্রাণিবাচক শব্দে ব্যবহৃত বহুবচনবোধক শব্দ

আবলি, গুচ্ছ, দাম, নিকর, পুঞ্জ, মালা, রাজি, রাশি। যেমন-গ্রন্থাগারে রক্ষিত পুস্তকাবলি, কবিতাগুচ্ছ, কুসুমদাম, কমলনিকর, মেঘকুঞ্জ, পর্বতমালা, তারকারাজি, বালিরাশি, কুসুমনিচয় ইত্যাদি ।

দ্রষ্টব্য : পাল ও যূথ শব্দ দুটি কেবল জন্তুর বহুবচনে ব্যবহৃত হয়। যেমন - রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে ।

হস্তিযূথ মাঠের ফসল নষ্ট করছে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সাহেবান
সাহেবগণ
সাহেবকুল
সাহেবমণ্ডলী

বিশেষ্য ও বিশেষণ

বিশেষণ ও ক্রিয়া

বিশেষ্য ও বিশেষ্য

বিশেষণ ও বিশেষণ

কবিতাগুচ্ছ
কবিতামালা
কবিতারাজি
কবিতাসমূহ

সংখ্যাবাচক শব্দ

434
434

সংখ্যাবাচক শব্দ

সংখ্যা মানে গণনা বা গণনা দ্বারা লব্ধ ধারণা। সংখ্যা গণনার মূল একক ‘এক’। কাজেই সংখ্যাবাচক শব্দে এক একাধিক, প্রথম, প্রাথমিক ইত্যাদির ধারণা করতে পারি। যেমন : এক টাকা, দশ টাকা। এক টাকাকে এক এক করে দশবার নিলে হয় দশ টাকা ।

সংখ্যাবাচক শব্দ চার প্রকার

১. অঙ্কবাচক,

২. পরিমাণ বা গণনাবাচক,

৩. ক্রম বা পূরণবাচক ও ৪. তারিখবাচক

Content added By

অঙ্কবাচক সংখ্যা

151
151

১. অঙ্কবাচক সংখ্যা

‘তিন টাকা’ বলতে এক টাকার তিনটি একক বা এককের সমষ্টি বোঝায়। আমাদের একক হলো ‘এক’। সুতরাং এক + এক + এক = তিন। এভাবে আমরা এক থেকে একশ পর্যন্ত গণনা করতে পারি। এক থেকে একশ পর্যন্ত এভাবে গণনার পদ্ধতিকে

বলা হয় দশ গুণোত্তর পদ্ধতি।

এক থেকে দশ পর্যন্ত আমরা এভাবে লিখে থাকি : এক (১), দুই (২), তিন (৩), চার (৪), পাঁচ (৫), ছয় (৬), সাত (৭), আট (৮), নয় (৯), দশ (১০)। এখানে যেসব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলোকে বলে অঙ্ক। এক থেকে নয় পর্যন্ত অঙ্কে লিখিত। দশ লিখতে এক লিখে তার ডানে একটি শূন্য (১০) দিতে হয়। এই শূন্যের অর্থ বাম দিকে লিখিত পূর্ণ সংখ্যাটির দশগুণ। এটিই দশ গুণোত্তর প্রণালীর নিয়ম। এ ধরনের প্রতিটি ‘দশ’কে একক ধরে আমরা বিশ বা কুড়ি (২০), ত্রিশ (৩০), চল্লিশ (৪০), পঞ্চাশ (৫০), ষাট (৬০), সত্তর (৭০), আশি (৮০), নব্বই (৯০) পর্যন্ত গণনা করি। তারপরের দশকের একককে বলা হয় একশ (১০০)। এভাবে আমরা দশের গুণন ও এককের সংকলন করে বিভিন্ন সংখ্যা লিখে থাকি। যেমন : এক দশ + এক = এগার (১০+১=১১), এক দশ চার = চৌদ্দ (১০+৪=১৪) ইত্যাদি। এভাবে দশকের ঘরে দুই (২) হলে বলি দুই দশ = বিশ (১০+১০=২০) এবং দুই দশ এক একুশ (১০+১০+১=২১)। এরূপ – তিন দশ + এক = = একত্রিশ, চার দশ + এক = একচল্লিশ ইত্যাদি।

Content added By

পরিমাণ বা গণনাবাচক সংখ্যা

147
147

২. পরিমাণ বা গণনা বাচক সংখ্যা

একাধিকবার একই একক গণনা করলে যে সমষ্টি পাওয়া যায়, তা-ই পরিমাণ বা গণনাবাচক সংখ্যা। যেমন— সপ্তাহ বলতে আমরা সাত দিনের সমষ্টি বুঝিয়ে থাকি। সপ্ত (সাত) অহ (দিনক্ষণ) সপ্তাহ। এখানে দিন একটি একক। এরূপ—সাতটি দিন বা সাতটি একক মিলে হয়েছে সপ্তাহ । =

পূর্ণসংখ্যার গুণবাচক সংখ্যা : একগুণ এক। যেমন— একেক্কে এক (অর্থাৎ ১×১=১), এরকম—দুয়েক্কে দুই, = সাতেকে সাত ইত্যাদি। দুই গুণ= দ্বিগুণ বা দুগুণ। যেমন –দুই দু গুণে চার (২×২=৪)।

অনুরূপভাবে, পাঁচ দু গুণে দশ (৫×২=১০), সাত দু গুণে চৌদ্দ (৭x২=১৪)। তিন গুণ = তিরিক্কে। যেমন— তিন তিরিক্কে নয় (৩×৩=৯)।

চার গুণ = চার বা চৌকা। যেমন— তিন চারে বা চৌকা বার (৩X৪=১২) পাঁচ গুণ = পাঁচা। যেমন— পাঁচ পাঁচা পঁচিশ (৫X৫=২৫)।

ছয় গুণ = ছয়ে। যেমন— তিন ছয়ে আঠার (৩২৬=১৮)।

সাত গুণ = সাতা। যেমন— তিন সাতা একুশ (৩×৭=২১) আট গুণ = আটা। যেমন— তিন আটা (বা তে আটা) চব্বিশ (৩৮=২৪)।

নয় গুণ = নং বা নয়। যেমন— তিন নং (বা তিন নয়) সাতাশ (৩X৯=২৭)। দশ গুণ = দশং বা দশ। যেমন— তিন দশং (বা তিন দশে) ত্রিশ (৩x১০=৩০)।

বিশ গুণ = বিশং বা বিশ। যেমন – তিন বিশৎ (বা তিন বিশ) ষাট (৩X২০=৬০)। ত্রিশ গুণ = ত্রিশং বা ত্রিশ। যেমন— তিন ত্রিশং (বা তিন ত্রিশ) নব্বই (৩x৩০=৯০)।

এরূপ— চল্লিশ, পঞ্চাশ, ষাট, সত্তর, আশি, নব্বই, বা শ'-এর পূরণবাচক সংখ্যা গণনা করা হয়।

পূর্ণসংখ্যার ন্যূনতা বা আধিক্য বাচক ‘সংখ্যা শব্দ'

(ক) ন্যূন

Content added By

ক্রম বা পূরণবাচক সংখ্যা

459
459

৩. ক্রমবাচক সংখ্যা : একই সারি, দল বা শ্রেণিতে অবস্থিত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সংখ্যার ক্রম বা পর্যায় বোঝাতে ক্রম বা পূরণবাচক সংখ্যা ব্যবহৃত হয়। যেমন— দ্বিতীয় লোকটিকে ডাক। এখানে গণনায় একজনের পরের লোকটিকে বোঝানো হয়েছে। দ্বিতীয় লোকটির আগের লোকটিকে বলা হয় 'প্রথম' এবং প্রথম লোকটির পরের লোকটিকে বলা হয় দ্বিতীয়। এরূপ— তৃতীয়, চতুর্থ ইত্যাদি ।

Content added By

তারিখবাচক সংখ্যা

152
152

৪. তারিখবাচক শব্দ : বাংলা মাসের তারিখ বোঝাতে যে সংখ্যাবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়, তাকে তারিখবাচক শব্দ

বলে।যেমন—পয়লা বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ ইত্যাদি। তারিখবাচক শব্দের প্রথম চারটি অর্থাৎ ১ থেকে ৪ পর্যন্ত হিন্দি নিয়মে সাধিত হয়। বাকি শব্দ বাংলার নিজস্ব ভঙ্গিতে গঠিত।

নিচে বাংলা অঙ্কবাচক, গণনাবাচক, পূরণবাচক ও তারিখবাচক সংখ্যাগুলো দেওয়া হলো

Content added By

কারক ও বিভক্তি

610
610
Please, contribute by adding content to কারক ও বিভক্তি.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

করণে সপ্তমী
কর্তৃকারকে সপ্তমী
অপাদানে সপ্তমী
অধিকরণে সপ্তমী

কারক

175
175
Please, contribute by adding content to কারক.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

কারক কারক
অপাদান কারক
অধিকরণ কারক
কর্ম কারক
অপাদানে শূন্য
অপাদানে সপ্তমী
করণে সপ্তমী
অধিকরণে সপ্তমী
চার প্রকার
পাঁচ প্রকার
ছয় প্রকার
সাত প্রকার

কর্তৃকারক

347
347

ব্যাকরণে, বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলা হয়।ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা কর্তৃকারককে নির্দেশ করে। একে "কর্তাকারক"ও বলা হয়

উদাহরণ: খোকা বই পড়ে। (কে বই পড়ে? খোকা - কর্তৃকারক)। মেয়েরা ফুল তোলে। (কে ফুল তোলে? মেয়েরা - কর্তৃকারক)।

প্রকারভেদ

কর্তৃকারকের বহুবিধ প্রকারভেদ বিদ্যমান।

  • কর্তৃকারক বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের বৈচিত্র্য বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চার প্রকারের হয়ে থাকে:
  1. মুখ্য কর্তা: যে নিজে নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে, সে মুখ্য কর্তা। যেমন- ছেলেরা ফুটবল খেলছে। মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে।
  2. প্রযোজক কর্তা: মূল কর্তা যখন অন্যকে কোনো কাজে নিয়োজিত করে তা সম্পন্ন করায়, তখন তাকে প্রযোজক কর্তা বলে। যেমন- শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন।
  3. প্রযোজ্য কর্তা: মূল কর্তার করণীয় কাজ যাকে দিয়ে সম্পাদিত হয়, তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলা হয়। যেমন- শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন।
  4. ব্যতিহার কর্তা: কোনো বাক্যে যে দুটো কর্তা একত্রে একজাতীয় কাজ সম্পাদন করে, তাদের ব্যতিহার কর্তা বলে। যেমন- বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খায়। রাজায়-রাজায় লড়াই, উলুখাগড়ার প্রাণান্ত।
  • বাক্যের বাচ্য বা প্রকাশভঙ্গি অনুসারে কর্তা তিন রকমের হতে পারে:
  1. কর্মবাচ্যের কর্তা: কর্মপদের প্রাধান্যসূচক বাক্যে বসে। যেমন- পুলিশ দ্বারা চোর ধৃত হয়েছে।
  2. ভাববাচ্যের কর্তা: ক্রিয়ার প্রাধান্যসূচক বাক্যে বসে। যেমন- আমার যাওয়া হবে না।
  3. কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা: বাক্যে কর্মপদই যখন কর্তৃস্থানীয় হয়। যেমন- বাঁশি বাজে। কলমটা লেখে ভালো।
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

কোদালে মাটি কাটব
জাহাজ চট্টগ্রাম ছাড়ল
সাপের হাসি বেদেয় চেনে
আমারে তুমি রক্ষা করো
ছাগলে কি না খায়
টাকায় টাকা আনে
আরিফ বই পড়ে
ডাক্তার ডাক

মুখ্য কর্তা

72
72
Please, contribute by adding content to মুখ্য কর্তা.
Content

প্রযোজক কর্তা

81
81
Please, contribute by adding content to প্রযোজক কর্তা.
Content

প্রযোজ্য কর্তা

85
85
Please, contribute by adding content to প্রযোজ্য কর্তা.
Content

ব্যতিহার কর্তা

119
119
Please, contribute by adding content to ব্যতিহার কর্তা.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

কর্মবাচ্যের কর্তা

63
63
Please, contribute by adding content to কর্মবাচ্যের কর্তা.
Content

ভাববাচ্যের কর্তা

76
76
Please, contribute by adding content to ভাববাচ্যের কর্তা.
Content

কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা

71
71
Please, contribute by adding content to কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা.
Content

কর্ম কারক

191
191
Please, contribute by adding content to কর্ম কারক.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

তোমাকে সেদিন দেখেছিলাম

তোমাকে আজই যেতে হবে

বাবাকে বড় ভয় করে

তোমাকে অনেক কথা শুনতে হবে

কর্মকারকে শূণন্য
করণকারকে শূন্য
সম্প্রদানকারকে শূন্য
অধিকরণকারকে শূন্য

সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম

84
84
Please, contribute by adding content to সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম.
Content

প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম

70
70
Please, contribute by adding content to প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম.
Content

সমধাতুজ কর্ম

97
97
Please, contribute by adding content to সমধাতুজ কর্ম.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সে বই পড়ছে
সে গভীর চিন্তায় মগ্ন
সে ঘুমিয়ে আছে
সে যে চাল চেলেছে তাতে তাকে ষড়যন্ত্রকারী ছাড়া আর কিছু বলা যায় না

উদ্দেশ্য ও বিধেয়

76
76
Please, contribute by adding content to উদ্দেশ্য ও বিধেয়.
Content

করণ কারক

133
133
Please, contribute by adding content to করণ কারক.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ছাত্ররা বল খেলে
ডাক্তার ডাক
হামিদ বই পড়ে
বৃষ্টি পড়ে
সালমান বাড়ি যায়
ঘোড়াকে চাবুক মার
এ দেহে প্রান নেই
এ কলমে ভালো লেখা হয়

ঘোড়াকে "চাবুক" মার

"ডাক্তার" ডাক

গাড়ি 'স্টেশন" ছেড়েছে

"মুষলধারে" বৃষ্টি পড়ছে

সম্প্রদান কারক

107
107
Please, contribute by adding content to সম্প্রদান কারক.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ভিক্ষা দাও দেখিলে ভিক্ষুক
ভিক্ষা দাও দুয়ারে ভিক্ষুক
ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও
কোনোটিই নয়
ভিক্ষা দাও দেখিলে ভিক্ষুক ।
ভিক্ষা দাও দুয়ারে ভিক্ষুক ।
ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও
কোনোটিই নয়
ভিক্ষা দাও দেখিলে ভিক্ষুক ।
ভিক্ষা দাও দুয়ারে ভিক্ষুক।
ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও।
কোনোটিই নয়।
ভিক্ষা দাও দেখিলে ভিক্ষুক
ভিক্ষা দাও দুয়ারে ভিক্ষুক
ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়
ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও
ভিক্ষুক ভিক্ষা পায়

অপাদান কারক

109
109

অপাদান কারক মূলত বিশেষ্য পদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত পদ যেমন বিশেষণ বা সর্বনাম এর উপর প্রযুক্ত হয়। অপাদান কারক দিয়ে সাধারণত কোনো কিছু থেকে সরে যাওয়া অর্থ বোঝানো হয়। বাংলা ভাষাতে বিশেষ্যের পরে হতে, থেকে,চেয়ে (পঞ্চমী বিভক্তি), দিয়া, দিয়ে (তৃতীয়া বিভক্তি) ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহার করে সাধারণত অপাদান কারক বোঝানো হয়।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

কর্ম কারক
করণ কারক
অপাদান কারক
অধিকরণ কারক
বনে বাঘ আছে
ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে
গৃহহীনে গৃহ দাও
জিজ্ঞাসিব জনে জনে
গৃহহীনে গৃহ দাও
জিজ্ঞাসিব জনে জনে
ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে
বনে বাঘ আছে

অধিকরণ কারক

128
128
Please, contribute by adding content to অধিকরণ কারক.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সারারাত বৃষ্টি ছিল।
সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু।
বাড়ি খেকে নদী দেখা যায়।
ভোরে সূর্য উঠে।
আমার আহারে রুচি নাই
আগামীকাল বাড়ি যাব
আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন
কাজে অবসর নিলাম
লোকে কিনা বলে
তুমি যে আমার কবিতা
গগণে গরজে মেঘ ঘন বরষা
জলে বাষ্প হয়
জমি থেকে বাড়ি দেখা যায়
তিনি বইটি কিনে এনেছেন
লোকটি হঠাৎ লাফ দিল
ছেলেটি পরীক্ষার ফল ভালো করেছে

কালাধিকরণ

82
82
Please, contribute by adding content to কালাধিকরণ.
Content

ভাবাধিকরণ

67
67
Please, contribute by adding content to ভাবাধিকরণ.
Content

আধারাধিকরণ

63
63
Please, contribute by adding content to আধারাধিকরণ.
Content

ঐকদেশিক আধারাধিকরণ

67
67
Please, contribute by adding content to ঐকদেশিক আধারাধিকরণ.
Content

অভিব্যাপক আধারাধিকরণ

67
67
Please, contribute by adding content to অভিব্যাপক আধারাধিকরণ.
Content

বৈষয়িক আধারাধিকরণ

67
67
Please, contribute by adding content to বৈষয়িক আধারাধিকরণ.
Content

সম্বন্ধ পদ

63
63
Please, contribute by adding content to সম্বন্ধ পদ.
Content

হেতু সম্বন্ধ

71
71
Please, contribute by adding content to হেতু সম্বন্ধ.
Content

ব্যাপ্তি সম্বন্ধ

86
86
Please, contribute by adding content to ব্যাপ্তি সম্বন্ধ.
Content

ক্রম সম্বন্ধ

69
69
Please, contribute by adding content to ক্রম সম্বন্ধ.
Content

অংশ সম্বন্ধ

62
62
Please, contribute by adding content to অংশ সম্বন্ধ.
Content

ব্যবসায় সম্বন্ধ

73
73
Please, contribute by adding content to ব্যবসায় সম্বন্ধ.
Content

ভগ্নাংশ সম্বন্ধ

74
74
Please, contribute by adding content to ভগ্নাংশ সম্বন্ধ.
Content

কৃতি সম্বন্ধ

62
62
Please, contribute by adding content to কৃতি সম্বন্ধ.
Content

আধার- আধেয়

57
57
Please, contribute by adding content to আধার- আধেয়.
Content

অভেদ সম্বন্ধ

136
136
Please, contribute by adding content to অভেদ সম্বন্ধ.
Content

উপমান-উপমেয় সম্বন্ধ

83
83
Please, contribute by adding content to উপমান-উপমেয় সম্বন্ধ.
Content

বিশেষণ সম্বন্ধ

70
70
Please, contribute by adding content to বিশেষণ সম্বন্ধ.
Content

নির্ধারণ সম্বন্ধ

72
72
Please, contribute by adding content to নির্ধারণ সম্বন্ধ.
Content

কারক সম্বন্ধ

84
84
Please, contribute by adding content to কারক সম্বন্ধ.
Content

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ধ্বনিতত্ত্বে

অর্থতত্ত্বে

বাক্যতত্ত্বে

রূপতত্ত্বে

সম্বোধন পদ

86
86
Please, contribute by adding content to সম্বোধন পদ.
Content

বিভক্তি

120
120

লিঙ্গ (বাংলা ব্যাকরণ)

391
391

যে সকল শব্দ দ্বারা পুরুষ, স্ত্রী ও অচেতন বস্তুকে চিহ্নিত করা যায়, তাকে লিঙ্গ বলে। লিঙ্গ চার

প্রকার যথা-

1. পুংলিঙ্গ

2. স্ত্রীলিঙ্গ

3. ক্লীবলিঙ্গ

4. উভয় লিঙ্গ

লিঙ্গ প্রসঙ্গে আর একটি কথা বিশেষভাবে মনে রাখতে

হবে—কেবলমাত্র প্রাণীবাচক শব্দগুলি পুংলিঙ্গ অথবা

স্ত্রীলিঙ্গের পর্যায়ে পড়ে। অপ্রাণীবাচক শব্দ ক্লীবলিগের অন্তর্গত। সংস্কৃত ব্যাকরণে উভয় লিঙ্গ বলে কোন কিছু নেই; কিন্তু ইংরেজি ব্যাকরণে Common Gender অর্থাৎ উভয় লিঙ্গ আছে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পুংলিঙ্গ

119
119

যেসব শব্দ পুরুষ জাতিকে বোঝায়, তাদের পুংলিঙ্গ বলে। যেমন—মানুষ, শিক্ষক, ছাত্র, গোয়ালা, সিংহ

ইত্যাদি।

Content added By

স্ত্রীলিঙ্গ

117
117

যেসব শব্দ স্ত্রী জাতিকে বোঝায়, তাদের স্ত্রীলিঙ্গ

বলে। যেমন— মা, ছাত্রী, শিক্ষিকা, সিংহী, ইত্যাদি।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মর্মার্থে
ক্ষুদ্রার্থে
বৃহদার্থে
বিপরীতার্থে

উভয় লিঙ্গ

143
143

যেসব শব্দ দ্বারা পুরুষ ও স্ত্রী উভয়কে বোঝানো হয়, তাদের উভয় লিঙ্গ বলে। যেমন- ডাক্তার, শিশু, বহু

কবি, শিল্পী ইত্যাদি।

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ক্লীব লিঙ্গ

213
213

এমন কিছু শব্দ আছে যাদের দ্বারা পুরুষ অথবা স্ত্রী না বুঝিয়ে অচেতন বস্তুকে বোঝায়, তাদের ক্লীবলিঙ্গ বলে। যেমন—গাছ, ফুল, জামা, বাড়ি, পর্বত, বৃক্ষ

ইত্যাদি।

Content added By
Promotion